আমদানি

আমদানি বলতে মুদ্রার বিনিময়ে পণ্য সামগ্রী একটি জাতীয় সীমানার বাহ্যিক উৎস হতে সীমানার অভ্যন্তরে বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে নিয়ে আসা বুঝানো হয়। যে পণ্য সামগ্রী নিয়ে আসে তাকে আমদানিকারক বলা হয়।[1][2] গ্রহণকারী দেশে আমদানিকে প্রেরণকারী দেশ থেকে রফতানি বলা হয়। আমদানি ও রফতানি আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের আর্থিক লেনদেনের মাধ্যম।

জিগার্কার্স উত্তর আমেরিকা থেকে ইউরোপে গাড়ি আমদানি করে

বাণিজ্য ভারসাম্য

কোন দেশের অর্থনীতির একটি নির্দিষ্ট সময়ের মোট রপ্তানি ও মোট আমদানির আর্থিক মূল্যের পার্থক্য হচ্ছে বাণিজ্য ভারসাম্য। অনেক সময় একে NX বর্ণদ্বয় দ্বারা প্রকাশ করা হয়। প্রকৃতপক্ষে এটি একটি দেশের আমদানি ও রপ্তানির মধ্যকার সম্পর্ক। ইতিবাচক ভারসাম্যকে বাণিজ্য উদ্বৃত্ত বলে যখন আমদানির থেকে রপ্তানি বেশি হয়; ইতিবাচক ভারসামকে বলা হয় বাণিজ্য ঘাটতি যা রপ্তানির থেকে আমদানি বেশি হলে হয়।

আমদানির প্রকারভেদ

দুটি মৌলিক ধরনের আমদানি আছে:

  1. শিল্প ও ভোগ্যপণ্য
  2. মধ্যবর্তী পণ্য এবং পরিষেবা

দেশীয় বাজারে উৎপাদিত পণ্যের তুলনায় কম দামে এবং ভালো মানের অভ্যন্তরীণ বাজারে সরবরাহ করার জন্য কোম্পানিগুলো পণ্য ও সেবা আমদানি করে। কোম্পানিগুলো এমন পণ্য আমদানি করে যা স্থানীয় বাজারে পাওয়া যায় না।

সাধারণত তিন ধরনের আমদানিকারক রয়েছেন:

  1. আমদানি এবং বিক্রি করার জন্য বিশ্বজুড়ে যে কোনও পণ্য খুঁজছেন।
  2. সস্তা দামে তাদের পণ্য পেতে বিদেশী সোর্সিং খুঁজছেন।
  3. তাদের বৈশ্বিক সরবরাহ শৃঙ্খল অংশ হিসাবে বিদেশী সোর্সিং ব্যবহার করা।

আরও দেখুন

তথ্যসূত্র

  1. singh, Rakesh singh, (2009) International Business, Oxford University Press, New Delhi and New York আইএসবিএন ০-১৯-৫৬৮৯০৯-৭
  2. O'Sullivan, Arthur; Shjsnsbeffrin, Steven M. (২০০৩)। Economics: Principles in ActionUpper Saddle River: Pearson Prentice Hall। পৃষ্ঠা 552আইএসবিএন 0-13-063085-3।

বহিঃসংযোগ

This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.