আমতৈল ইউনিয়ন, হালুয়াঘাট

আমতৈল ইউনিয়ন বাংলাদেশের ময়মনসিংহ জেলার হালুয়াঘাট উপজেলার অন্তর্গত একটি ইউনিয়ন[1][2]

আমতৈল
ইউনিয়ন
আমতৈল ইউনিয়ন পরিষদ
আমতৈল
আমতৈল
বাংলাদেশে আমতৈল ইউনিয়ন, হালুয়াঘাটের অবস্থান
স্থানাঙ্ক: ২৫°৭′২০″ উত্তর ৯০°২০′৫৭″ পূর্ব
দেশবাংলাদেশ
বিভাগময়মনসিংহ বিভাগ
জেলাময়মনসিংহ জেলা
উপজেলাহালুয়াঘাট উপজেলা 
সময় অঞ্চলবিএসটি (ইউটিসি+৬)
ওয়েবসাইটপ্রাতিষ্ঠানিক ওয়েবসাইট

অবস্থান ও সীমানা

১১নং আমতৈল ইউনিরয়নটি প্রায় ২৭.০০ বর্গ কিলোমিটার।জনসংখ্যায় প্রায় ২৮ হাজার। ইউনিয়নটির মধ্যেদিয়ে কংশ নদী প্রবাহিত।ইউনিয়নটির পূর্বে স্বদেশী ইউনিয়ন, পশ্চিমে ১০নং ধুরাইল ইউনিয়ন, উত্তরে ৯নং ধারা ইউনিয়ন এবং পশ্চিমে ৪নং সিংহেশ্বর ইউনিয়ন অবস্থিত। কোদালিয়া খাল নামে একটি খাল ইউনিয়নের উত্তর পার্শ্ব দিয়ে প্রবাহিত হইয়া নাগলা বাজারের নিকটবর্তী হইয়া ১২নং স্বদেশী ইউনিয়ন পযন্ত বিস্তৃত।ইউনিয়নের বাহির শিমূল গ্রাম হইতে খলিশাকুঁড়ি খাল নামকরণ হইয়া বড়বিলা পযন্ত গিয়া শেষ হইয়াছে।ইউনিয়নে বাহির শিমূল এবং নাগলা বাজার নামে দুটি জনপ্রিয় বাজার রহিয়াছে।

ইতিহাস

১১ নং আমতৈল ইউনিয়ন পরিষদটি ১৯৬৫ খ্রী. সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রতিষ্ঠাকালে চেয়ারম্যান ছিলেন জনাব মরহুম এ.কে.এম মফিজ উদ্দিন সরকার।

ইউনিয়ন প্রশাসন ও প্রশাসনিক এলাকা

বর্তমান চেয়ারম্যানঃ মোঃ শফিকুর রহমান (শফিক) বর্তমান মেম্বারগণের তালিকাঃ ১.মো:ছাইফুল ইসলাম ২. মোঃআনছার আলী ৩.মোঃ আমির হোসেন ৪.মোঃমহাবুল মীর ৫.মোঃআব্দুল মালেক খান (সাইফুল) ৬.মো:জুলমত আলী ৭.মোঃজসিম উদ্দিন ৮.মোঃ মহর আলী ৯.মোঃ আঃ মালেক ১০.মোছাঃশামছুন্নাহার ১১.মোছাঃরোমেলা খাতুন ১২.পারভীন

গ্রাম সমূহের তালিকাঃ ১.আমতৈল ২.বিষমপুর ৩.পশ্চিম বাহির শিমূল ৪.বাহির শিমূল ৫.কোনাপাড়া ৬.সরচাপুর ৭.গাতী ৮.ধোপাগুছিনা ৯.খন্ডল

শিক্ষার হার ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান

শিক্ষার হার :

শিক্ষা প্রতিষ্ঠান

  • বাহির শিমুল উচ্চ বিদ্যালয়
  • কোনাপাড়া যোগানিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়

খাল ও নদী

অত্র ইউনিয়নের ভিতর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে ঐতিহাসিক দুটি খাল। কোদালীয়া ও খলিশা কুঁড়ি। বর্ষাকালে কোদালীয়ার খালকাটাকে কেন্দ্র অনেক রক্তপাত হয়েছে। যাহার স্মৃতিধারণ করে খালটি আজও বহমান। নিম্নে খাল দুটির দৈর্ঘ্য উল্লেখ করা হল : ১। খলিশা কুঁড়ি ৩:০০ কি. মি. ২। কোদালীয়া খাল ৫:০০ কি. মি.। অত্র ইউনিয়নের প্রবাহিত নদী হলো ভোগাই কংস।

খাদ্য উৎপাদন

ইউনিয়নের খাদ্য শস্যের বাৎসরীক চাহিদা ৩৩৩১ মেট্রিক টন উৎপাদন ৯২৮৮ মেট্রিক টন । উদ্বৃত ৫৯৭৫ মেট্রিক টন। প্রধানতঃ ধান, পাট, আলু, মরিচ, কলাই ফসল উৎপন্ন হয়।উৎপাদিত শস্যের মধ্যে উল্লেখযোগ্য শস্য হচ্ছে ধান। ধানের পরেই পাটের স্থান। এরপরে যেসব কৃষিজাত দ্রব্যের নাম করতে হয় সেগুলো হচ্ছে মাসকলাই, মটর, ছোলা ইত্যাদি ডাল জাতীয় শস্য। তৈল বীজের মধ্যে রয়েছে সরিষা ও তিল। কাউন, চিনা, ধুন্দা, গম, যব জাতীয় খাদ্য শস্য উৎপন্ন হয়। এখানকার উল্লেখযোগ্য ফল হচ্ছে ফুটি (বাঙ্গি), তরমুজ, ক্ষীরা ইত্যাদি। এছাড়াও এ জেলায় আম, জাম,কাঁঠাল, পেয়ারা, নারিকেল, সুপারি, তাল, খেজুর, জাম্বুরা (বাতাবি লেবু), লেবু, তেঁতুল, কামরাঙ্গা, জলপাই, বেল, ডালিম, আতা ইত্যাদি ফলও প্রচুর পরিমানে উৎপন্ন হয়। মরিচ, পেঁয়াজ, রসুন, ধনে, আদা ইত্যাদি মসলা জাতীয় শস্য, লাউ, মিষ্টি কুমড়া, চাল কুমড়া, উচ্ছে, করলা, চিচিঙ্গা, ঝিঙ্গা, ধুন্দুল, শিম, বরবটি, কাকরল, ঢেড়শ, গোল আলু, বেগুন, টমেটো ফুলকপি, বাঁধাকপি ইত্যাদি সবজি প্রচুর পরিমানে উৎপাদিত হয়।

দর্শনীয় স্থান

  • বড়বিলা বিল - এই বিলটি এক সময় নানারকম পাখিদের অভয়ারণ্য ছিল। এখনও বর্ষা মৌসুমে হরেকরকম পাখির আগমন ঘটে। ডাহুক, পানকৌড়ি, বালি হাঁস, পাতি হাঁস, ধবল বক এবং শীত মৌসমে অথিতি পাখিদের বিচরণ ছিল নয়নাভিরাম। তাই পাখি শিকারীদের জন্য এ বিলটি সুপরিচিত ছিল।

উল্লেখযোগ্য ব্যক্তি

  • মফিজুল ইসলাম, তাঁর উচ্চ শিক্ষা লাভের জন্য তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট আঃ মোনায়েম খান তাঁকে গোল্ড মেডেল দিয়ে পুরস্কৃত করে ছিলেন।
  • মোঃ আবুল ফাতাহ ব্যক্তি জীবনে কৃষি বিভাগের পরিচালক ছিলেন

তথ্যসূত্র

  1. "আমতৈল ইউনিয়ন"বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন। ৭ এপ্রিল ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৭ এপ্রিল ২০২০
  2. "হালুয়াঘাট উপজেলা"বাংলাপিডিয়া। ২৯ জানুয়ারি ২০১৫। ৮ জুন ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৭ এপ্রিল ২০২০
This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.