আবদুল্লাহিল বাকী
আবদুল্লাহিল বাকী বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের একজন মুক্তিযোদ্ধা। মুক্তিযুদ্ধে সাহসিকতার জন্য তাকে বাংলাদেশ সরকার বীর প্রতীক খেতাব প্রদান করে।[1][2] তার খেতাবের সনদ নম্বর ৩২১। গেজেটে তার নাম মো. বাকী।[3]
আবদুল্লাহিল বাকী | |
---|---|
![]() | |
জাতীয়তা | বাংলাদেশী |
নাগরিকত্ব | ![]() ![]() |
পরিচিতির কারণ | বীর প্রতীক |
প্রারম্ভিক জীবন
আবদুল্লাহিল বাকীর বাবার নাম মো. আবদুল বারী, মা আমেনা খাতুন। ১৯৭১ সালে মো. আবদুল্লাহিল বাকী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পলিটিক্যাল সায়েন্সের শিক্ষার্থী ছিলেন। অসহযোগ আন্দোলন ও ২৫-২৬ মার্চের প্রতিরোধ যুদ্ধে তিনি সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন।
মুক্তিযুদ্ধে অবদান
আবদুল্লাহিল বাকী ১৮ এপ্রিল, ১৯৭১ তারিখে প্রশিক্ষণের জন্য ভারতে পাড়ি জমান। মেলাঘর-এ প্রাথমিক প্রশিক্ষণ নিয়ে মে মাসে কয়েক জনের সঙ্গে ঢাকায় ফিরে আসেন। তারা মতিঝিলের চার স্থানে এক যোগে বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়ে আবার ভারতে চলে যান। এরপর তিনি ভারতের চাকুলিয়ায় উচ্চতর প্রশিক্ষণ নিতে যান। প্রশিক্ষণ গ্রহণ শেষে বাকী বাংলাদেশে এসে বৃহত্তর ঢাকায় গেরিলা যুদ্ধ শুরু করেন। বাকী ঢাকা জেলার বিভিন্ন স্থানে পাকিস্তান সেনাবাহিনী ও রাজাকার বাহিনীর বিরুদ্ধে সাহসিকতার সঙ্গে যুদ্ধ করেন। তিনি ইউনিট কমান্ডার ছিলেন।[3]
১৯৭১ সালের নভেম্বরের শেষ দিকে বাকী তার মুক্তিযোদ্ধা দল নিয়ে ঢাকা শহরের উপকণ্ঠেই অবস্থান করছিলেন। ৪ ডিসেম্বর রাতে কয়েকজন সহযোদ্ধাকে সঙ্গে নিয়ে তিনি খিলগাঁওয়ে তার মা-বাবার সঙ্গে দেখা করতে আসেন। মা-বাবার সঙ্গে দেখা করে ফেরার সময় তারা পাকিস্তানি সেনা ও তাদের সহযোগী একদল মুজাহিদের সামনে পড়ে যান। পাকিস্তানি সেনা ও মুজাহিদরা তাদের গুলি করে। বাকী ও তার সহযোদ্ধারা পাল্টা আক্রমণের চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন। বাকী ও তার সহকারী বাবুল গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান।[3]
সম্মাননা ও স্বীকৃতি
মুক্তিযুদ্ধে সাহসিকতার জন্য তাকে ১৯৭৩ সালের ১৫ ডিসেম্বর বীর প্রতীক খেতাব দেওয়া হয়।
তথ্যসূত্র
- শহীদ আবদুল্লাহিল বাকী বীর প্রতীক| তারিখ: ২৯-০৩-২০১১, http://archive.prothom-alo.com/detail/date/2011-03-29/news/142552%5B%5D
- একাত্তরের বীরযোদ্ধাদের অবিস্মরণীয় জীবনগাঁথা, খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা সম্মাননা স্মারকগ্রহন্থ। জনতা ব্যাংক লিমিটেড। জুন ২০১২। পৃষ্ঠা ১৪০। আইএসবিএন 9789843351449।
- ডেস্ক, প্রথম আলো। "মো. আবদুল্লাহিল বাকী, বীর প্রতীক"। Prothomalo। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-১০-১১।