আফিম
আফিম বা পপি (ইংরেজি: Opium poppy) (বৈজ্ঞানিক নাম: Papaver somniferum) থেকে আফিম এটি তৈরি হয়। পরিবার Papaveraceae. আফিমে রয়েছে ১.৫ ভাগ মরফিন, ০.৫ ভাগ নারকোটিন, ০.১ ভাগ কোডেইন, ০.১ ভাগ পেপাভারেন, ০.৫ ভাগ থিবেইন। আফিমের ত্রিশটি প্রজাতি থেকে পেপাভিরুবিন্স জাতীয় একশ'র বেশি এলকালয়েডস পাওয়া গেছে।[2]
আফিম পপি Papaver somniferum | |
---|---|
Papaver somniferum | |
বৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস | |
জগৎ: | Plantae |
শ্রেণীবিহীন: | Angiosperms |
শ্রেণীবিহীন: | Eudicots |
বর্গ: | Ranunculales |
পরিবার: | Papaveraceae |
গণ: | Papaver |
প্রজাতি: | P. somniferum |
দ্বিপদী নাম | |
Papaver somniferum L.[1] | |
বিবরণ
আফিম বর্ষজীবী খাড়া বীরুৎ। ফুল সাদা, গোলাপী, লাল, বেগুনি অথবা বিবিধ বর্ণের। ফুল ৩ থেকে ৪ সেমি হয়। ফল ক্যাপসিউল, গোলকাকার, উপগোলকাকার। আফিমের বীজ ৩ মিলি। দো-আঁশ মাটি পপি চাষের উপযোগী।
ব্যবহার
সব পপি ফুল থেকে মাদক দ্রব্য তৈরি হয় না, পপি ফুলের আবার অনেক নিরীহ প্রজাতি রয়েছে যা বাগানে শোভা পায়। নিরীহ দর্শন এই গাছটি একটি মাদক দ্রব্যের গাছ। ফল যখন পরিপক্ব হয় তখন ব্লেড দিয়ে ফলে গায়ে গভীর করে আঁচড় দেওয়া হয়। ফলে ৫ থেকে ৬ ঘণ্টা পর এর ফল থেকে কষ বের হয় এবং চাষীরা তা সংগ্রহ করে এটাই হলো আফিমের কাঁচামাল। এর পর বিভিন্ন রাসায়নিক প্রক্রিয়ায় অন্যান্য উপজাত জৈব রাসায়নিক দ্রব্য বানানো হয়। এটি থেকে হিরোইন ছাড়াও মরফিন পাওয়া যায়, যা ঔষধ হিসেবে ব্যবহৃত হয়। ফলের বীজগুলি তরকারি হিসেবে ব্যবহৃত হয়। বিজের নাম পোস্তদানা। ফলের খোসার নাম পোস্তঢেড়ী। গাছটির বোটানিক্যাল নাম Papaver Somniferum Linn.
তথ্যসূত্র
- Linnaeus, Carl von (১৭৫৩)। Species Plantarum। Laurentius Salvius। পৃষ্ঠা 508।
- ভট্টাচার্য, প্রশান্ত কুমার। গাফফার (জুয়েল), মোহাম্মদ আব্দুল, সম্পাদক। বিষাক্ত গাছ থেকে সাবধান। ঢাকা।