আন্না সলুঙ্কে

আন্না সলুঙ্কে (মারাঠি: अण्णा साळुंके) একজন ভারতীয় অভিনেতা ছিলেন, যিনি প্রথমদিকের ভারতীয় চলচ্চিত্রে নারীচরিত্রে অভিনয় করেন।[1] তিনি প্রথম ভারতীয় অভিনেতা ছিলেন যিনি একাধারে নায়ক ও নায়িকার চরিত্রে অভিনয় করেন।[2]

আন্না সলুঙ্কে
লঙ্কা দহন চলচ্চিত্রে সীতার চরিত্রে আন্না সলুঙ্কে
জাতীয়তাব্রিটিশ ভারতীয়
পেশাঅভিনেতা

কর্মজীবন

আন্না সলুঙ্কে প্রথম জীবনে বম্বে শহরের গ্র্যান্ট রোডে একটি হোটেলের[1] রাঁধুনি ছিলেন।[3][4] ১৯১৩ খ্রিষ্টাব্দে দাদাসাহেব ফালকে তার প্রথম ভারতীয় পূর্ণদৈর্ঘ্যের চলচ্চিত্র রাজা হরিশচন্দ্রে রাণী তারামতীর চরিত্রে কোন অভিনেত্রী খুঁজে না পাওয়ায় সুদর্শন চেহারার আন্না সলুঙ্কেকে এই চরিত্রে অভিনয় করার জন্য রাজী করান।[3][5]

দাদাসাহেব ফালকে নির্মিত পরবর্তী লঙ্কা দহন নামক চলচ্চিত্রে সলুঙ্কে ভারতীয় চলচ্চিত্রের ইতিহাসে প্রথম দ্বৈত ভূমিকায় অভিনয় করেন।[2][6] এই চলচ্চিত্রে তিনি একাধারা রামসীতার ভূমিকায় অভিনয় করেন।[2][3][7] এছাড়া তিনি ১৯২২ খ্রিষ্টাব্দে সত্যনারায়ণ ও ১৯২৩ খ্রিষ্টাব্দে বুদ্ধ দেব নামক দুইটি চলচ্চিত্রে নারী চরিত্রে অভিনয় করেন।[8]

অভিনীত চলচ্চিত্র

  • রাজা হরিশচন্দ্র (১৯১৩)
  • সত্যবাদী রাজা হরিশচন্দ্র (১৯১৭)
  • লঙ্কা দহন (১৯২২)
  • সত্যনারায়ণ (১৯২২)
  • অহিরাবণ মহীরাবণ বধ (১৯২২)
  • হরিতালিকা (১৯২২)
  • পাণ্ডব বনবাস (১৯২২)
  • শিশুপাল বধ (১৯২২)
  • ওয়ান্ডারিং সোল (১৯২৩)
  • বুদ্ধ দেব (১৯২৩)
  • গোরা কুম্ভার (১৯২৩)
  • গুরু দ্রোণাচার্য (১৯২৩)
  • জরাসন্ধ বধ (১৯২৩)
  • কন্যা বিক্রয় (১৯২৩)
  • জয়দ্রথ বধ (১৯২৪)
  • রাম রাবণ যুদ্ধ (১৯২৪)
  • সুন্দোপসুন্দ (১৯২৪)
  • অনন্ত বিরাট (১৯২৫)
  • ককশেবঞ্চ্য দোল্যাত ঝনঝনিত অঞ্জন (১৯২৫)
  • সত্যভামা (১৯২৫)
  • সীমন্তক মণি (১৯২৫)
  • দত্ত জন্ম (১৯২৫)
  • ভক্ত প্রহ্লাদ (১৯২৬)
  • ভীম সঞ্জীবন (১৯২৬)
  • কীচক বধ (১৯২৬)
  • সন্ত একনাথ (১৯২৬)
  • ভক্ত সুদামা (১৯২৭)
  • দ্রৌপদী বস্ত্রহরণ (১৯২৭)
  • হনুমান জন্ম (১৯২৭)
  • মদালসা (১৯২৭)
  • বসন্তসেনা (১৯২৯)
  • খুদা পরাস্ত (১৯৩০)
  • আমির খান (১৯৩১)

তথ্যসূত্র

  1. Brigitte Schulze (২০০৩)। Humanist and Emotional Beginnings of a Nationalist Indian Cinema in Bombay: With Kracauer in the Footsteps of Phalke। Avinus। আইএসবিএন 978-3-930064-12-0। সংগ্রহের তারিখ ৫ এপ্রিল ২০১৩
  2. Neepa Majumdar (২ অক্টোবর ২০০৯)। Wanted Cultured Ladies Only!: Female Stardom and Cinema in India, 1930s-1950s। University of Illinois Press। পৃষ্ঠা 224। আইএসবিএন 978-0-252-09178-0। সংগ্রহের তারিখ ৫ এপ্রিল ২০১৩
  3. Mihir Bose (২০০৬)। Bollywood: A History। Tempus Pub.। পৃষ্ঠা 50, 52। আইএসবিএন 978-0-7524-2835-2। সংগ্রহের তারিখ ৫ এপ্রিল ২০১৩
  4. Rachel Dwyer (৩০ আগস্ট ২০০৬)। Filming the Gods: Religion and Indian Cinema। Routledge। পৃষ্ঠা 23। আইএসবিএন 978-0-203-08865-4। সংগ্রহের তারিখ ৫ এপ্রিল ২০১৩
  5. Prabodh Maitra (১৯৯৫)। 100 years of cinema। Nandan। পৃষ্ঠা 159। সংগ্রহের তারিখ ৫ এপ্রিল ২০১৩
  6. Gopa Sabharwal (১ জুন ২০০০)। The Indian millennium, AD 1000-2000। Penguin Books। পৃষ্ঠা 453। আইএসবিএন 978-0-14-029521-4। সংগ্রহের তারিখ ৫ এপ্রিল ২০১৩
  7. Bhagwan Das Garga (১৯৯৬)। So many cinemas: the motion picture in India। Eminence Designs। পৃষ্ঠা 21। আইএসবিএন 978-81-900602-1-9। সংগ্রহের তারিখ ৫ এপ্রিল ২০১৩
  8. "CITWF"। ৫ মার্চ ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১ এপ্রিল ২০১৫

বহিঃসংযোগ

This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.