আন্ধারমানিক
আন্ধারমানিক ভারতের পূর্ব দিকে অবস্থিত পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের প্রেসিডেন্সি বিভাগের দক্ষিণ চব্বিশ পরগণা জেলার বিষ্ণুপুর ১ সমষ্টি উন্নয়ন ব্লকের একটি গ্রাম তথা প্রত্নস্থল। গ্রামটি বিষ্ণুপুর থানার অন্তর্গত।[3]
আন্ধারমানিক আঁধারমানিক | |
---|---|
গ্রাম | |
![]() ![]() আন্ধারমানিক ![]() ![]() আন্ধারমানিক | |
স্থানাঙ্ক: ২২.৩৭১৫° উত্তর ৮৮.৩৫১৭° পূর্ব | |
রাষ্ট্র | ![]() |
রাজ্য | পশ্চিমবঙ্গ |
জেলা | দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা |
আয়তন | |
• মোট | ৫.০৬ বর্গকিমি (১.৯৫ বর্গমাইল) |
জনসংখ্যা (২০১১) | |
• মোট | ৬,৬৭৬ |
• জনঘনত্ব | ১,৩০০/বর্গকিমি (৩,৪০০/বর্গমাইল) |
ভাষা | |
• দাপ্তরিক | বাংলা[1][2] |
• সহদাপ্তরিক | ইংরাজী[1] |
সময় অঞ্চল | ভারতীয় প্রমাণ সময় (ইউটিসি+৫:৩০) |
পিন | ৭৪৩৫০৩ |
যানবাহন নিবন্ধন | WB (ডব্লু বি) |
ওয়েবসাইট | s24pgs |
শিবের থান
আন্ধারমানিক গ্রামের ফকিরপাড়ায় একটি প্রাচীন জীর্ণ দক্ষিণমুখী মন্দিরের ধ্বংসাবশেষ অবস্থিত, যা স্থানীয়দের নিকট শিবের থান নামে পরিচিত। উঁচু ভিত্তিভূমির ওপর প্রতিষ্ঠিত এই মন্দিরের তিনদিকের ৭ ফুট উচ্চ দেওয়াল ছাড়া বর্তমানে কিছু অবশিষ্ট নেই। মন্দিরটিতে কাদার গাঁথনিযুক্ত ৮ ইঞ্চি X ৫ ইঞ্চি X ২ ইঞ্চি মাপের ইট ব্যবহৃত হয়েছে। এই মন্দিরের প্রতিষ্ঠাকাল সম্বন্ধে জানা না গেলেও মন্দিরের সামনের দিকের মাটি কাটার সময় আবিষ্কৃত ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির একটি ১৮৩৫ খ্রিষ্টাব্দের তামার মুদ্রা দেখে অণুমিত হয় যে, মন্দিরটি ১৮৩৫ খ্রিষ্টাব্দের পূর্বে নির্মিত হয়েছে।[4]:৫২
ভূগোল
আন্ধারমানিক অঞ্চল দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার উত্তর প্রান্তের সমভূমি অঞ্চলে অবস্থিত৷ গ্রামটি আন্ধারমানিক গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত ও মাঝ বরাবর বয়ে গেছে কেওড়াপুকুর খাল৷[5]
পরিবহন
গ্রামটির উত্তর থেকে দক্ষিণে বিস্তৃত রয়েছে নেপালগঞ্জ-জুলপিয়া সড়ক এবং দক্ষিণ প্রান্তে পূর্ব থেকে পশ্চিমে রয়েছে আমতলা-বারুইপুর সড়ক৷ নিকটবর্তী রেলওয়ে স্টেশনটি হল বারুইপুর জংশন। এটি ব্লক সদর বিষ্ণুপুর থেকে ১২.৮ কিলোমিটার এবং জেলাসদর আলিপুর থেকে ১৫.৬ কিলোমিটার সড়ক দূরত্বে অবস্থিত।[6]
জনতত্ত্ব
২০১১ খ্রিস্টাব্দের ভারতের জনগণনা অনুসারে আন্ধারমানিক গ্রামের জনসংখ্যা ছিলো ৬৬৭৬ জন, যার মধ্যে ৩৩৮৭ জন পুরুষ ও ৩২৮৯ জন নারী, যেখানে ২০০১ খ্রিস্টাব্দে এই পরিসংখ্যান ছিলো মোট ৬১২৭ জনের মধ্যে ৩১৬০ জন পুরুষ ও ২৯৬৭ জন নারী৷ ২০০১ থেকে ২০১১ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে গ্রামটির জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ৮.৯৬ শতাংশ৷ প্রতি হাজার পুরুষে নারী সংখ্যা ২০০১ খ্রিস্টাব্দে ৯৩৯ জন থেকে বৃদ্ধি পেয়ে ২০১১ খ্রিস্টাব্দে ৯৭১ জন হয়েছে৷ ৬ বছর অনুর্দ্ধ ৬৮১ জন শিশু, যার মধ্যে ৩৪৩ জন শিশুপুত্র ও ৩৩৮ জন শিশুকন্যা৷ শিশু সংখ্যা সমগ্র জনসংখ্যার ১০.২০ শতাংশ৷ ৬ বছরোর্দ্ধ জনসংখ্যার ৭৪.৪৮ শতাংশ অর্থাৎ ৪৪৬৫ জন যেখানে পুরুষ সাক্ষরতার হার ৮২.১৩ শতাংশ এবং নারী সাক্ষরতার হার ৬৬.৫৯ শতাংশ৷[7]
তথ্যসূত্র
- "Fact and Figures"। www.wb.gov.in। সংগ্রহের তারিখ ১২ মার্চ ২০১৯।
- "52nd REPORT OF THE COMMISSIONER FOR LINGUISTIC MINORITIES IN INDIA" (পিডিএফ)। nclm.nic.in। Ministry of Minority Affairs। পৃষ্ঠা 85। ২৫ মে ২০১৭ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১২ মার্চ ২০১৯।
- https://wb.gov.in/government-police-administration.aspx
- সাগর চট্টোপাধ্যায়, দক্ষিণ চব্বিশ পরগণা জেলার পুরাকীর্তি, প্রকাশনা প্রত্নতত্ত্ব ও সংগ্রহালয় অধিকার, পশ্চিমবঙ্গ সরকার, ৩৩ চিত্তরঞ্জন অ্যাভেনিউ, কলকাতা-৭০০০১২, প্রথম প্রকাশ, ২০০৫
- https://www.ebela.in/amp/twin-bridges-is-being-bulilt-up-on-keorapukur-khal-1.594524
- https://villageinfo.in/west-bengal/south-twenty-four-parganas/bishnupur-i/andharmanik.html
- https://www.census2011.co.in/data/village/333469-andharmanik-west-bengal.html