আন্তর্জাতিক বিমান পরিবহন সংস্থা
আন্তর্জাতিক বিমান পরিবহন সংস্থা (ইংরেজিতে: International Air Transport Association; সংক্ষেপেঃ আইএটিএ) বিশ্বের এয়ারলাইনসমূহের সমন্বয়ে গঠিত একটি বাণিজ্যিক সংস্থা। এই সংস্থার অন্তর্ভুক্ত ২৪০টি এয়ারলাইন বিশ্বের ৮৪% বিমাণ যাত্রী পরিবহন করে।[1] আইএটিএ বিমান চলাচল সংক্রান্ত বিভিন্ন কার্যক্রম সহায়তা এবং নীতিমালা ও মান প্রণয়নে কাজ করে থাকে। এর সদর দপ্তর কানাডার মন্ট্রিয়লে অবস্থিত। এটির একটি নির্বাহী দপ্তর সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় অবস্থিত।[1]
![]() | |
সংক্ষেপে | আইএটিএ |
---|---|
গঠিত | ১৯ এপ্রিল ১৯৪৫ হাভানা, কিউবা |
ধরন | আন্তর্জাতিক বাণিজ্য সংস্থা |
সদরদপ্তর | 800 Place Victoria (rue Gauvin), মন্ট্রিয়ল, কানাডা |
স্থানাঙ্ক | ৪৫.৫০০৬° উত্তর ৭৩.৫৬১৭° পশ্চিম |
সদস্যপদ | approx. 240 airlines (2013) |
ডিরেক্টর জেনারেল ও প্রধান নির্বাহী | টনি টাইলার |
ওয়েবসাইট | www |
ইতিহাস
১৯৪৫ সালের এপ্রিলে আইএটিএ প্রতিষ্ঠিত হয় কিউবার হাভানাতে।[2] ১৯১৯ সালে নেদারল্যান্ডের হেগ শহরে ইন্টারন্যাশনাল এয়ার ট্রাফিক অ্যাসোসিয়েশন গঠিত হয়।[3] সেটিই পরবর্তিতে আইএটিএ-তে রূপান্তরিত হয়। প্রতিষ্ঠাকালীন সময়ে এইএটিএ-এর সদস্য ছিল ৩১টি দেশের ৫৭টি এয়ারলাইন। প্রাথমিক পর্যায়ে সংস্থাটির অধিকাংশ কাজ ছিল কারিগরীমূলক। এছাড়া তখন এটি ইন্টারন্যাশনাল সিভিল এভিয়েশন অর্গানাইজেশন বা আন্তর্জাতিক বেসামরিক বিমান চলাচল সংস্থার কারিগরি কাজে সহায়তা করতো। আন্তর্জাতিক বিমান চলাচল সংক্রান্ত শিকাগো চুক্তিতে আইএটিএ-এর এসব কাজের প্রতিফলন ঘটে। চুক্তিটি এখনো আন্তর্জাতিক বিমান পরিবহন নিয়ন্ত্রণ করে থাকে।
শিকাগো চুক্তিতে সব এয়ারলাইনের চলাচল পথ এবং সমন্বিত ব্যবস্থা ছিল না। এর ফলে বিভিন্ন এয়ারলাইনের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক চুক্তি প্রতিষ্ঠিত হয়। এয়ারলাইনের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক চুক্তির ক্ষেত্রে তখন একমাত্র মানদন্ড হিসেবে প্রচলিত ছিল যুক্তরাষ্ট্র-যুক্তরাজ্য বার্মুডা চুক্তি।[4][5]
পরবর্তিতে বিভিন্ন দেশের সরকার আইএটিএ-কে এয়ারলাইন শিল্পের জন্য একটি সমন্বিত ভ্রমণ খরচ কাঠামো গঠনের দায়িত্ব দেয়। এর উদ্দেশ্য ছিল অসামঞ্জস্যপূর্ণ প্রতিযোগিতা দূর করে যাত্রীদের সুবিধার্থে খরচ নির্ধারণ এবং একই সাথে এয়ারলাইনসমূহের জন্যেও কার্যকর ব্যবসা নিশ্চিত করা। আইএটিএ-এর প্রথম ট্রাফিক কনফারেন্সটি ব্রাজিলের রিও দি জেনেরিওতে অনুষ্ঠিত হয়। এতে অংশগ্রহণকারী সকল প্রতিনিধি একটী চুক্তির ব্যাপারে সম্মত হয়। এই চুক্তির অধীনে প্রায় ৪০০টি নীতিমালা ছিল।[6]
বিশ্বজুড়ে দ্রুত বিমান পরিবহনের ক্ষেত্র প্রসারিত হতে থাকে। ফলে আইএটিএ-এর কাজের ক্ষেত্রও ক্রমান্বয়ে প্রসারিত হয়। বিমান পরিবহন শিল্পে নতুন উদ্ভূত বিভিন্ন বিষয়াদির ব্যবস্থাপনার জন্যে আইএটিএ-এর কার্যক্রম বৃদ্ধি পায়। ভ্রমণ খরচ সামঞ্জস্যতার গুরুত্ব ক্রমেই বৃদ্ধি পেতে থাকে এবং ১৯৭৮ সালে যুক্তরাষ্ট্র খরচ সামঞ্জস্যতা বিনিয়ন্ত্রণে প্রথম ভূমিকা গ্রহণ করে।[7][8]
তথ্যসূত্র
- "Fact Sheet: IATA - International Air Transport Association"। ১১ মার্চ ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২ ডিসেম্বর ২০১৮।
- "International Air Transport Association"। Princeton University। ৩ ডিসেম্বর ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৮ নভেম্বর ২০১৩।
- Sebastian Höhne। "IT in general Aviation: Pen and Paper vs. Bits and Bytes" (পিডিএফ)। hoehne.net। পৃষ্ঠা 38। ৮ মার্চ ২০১৪ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৫ মে ২০১৪।
- "Contemporary Issues in Air Transport Air Law & Regulation" (পিডিএফ)। Institute of Air & Space Law, McGill University, Montreal। ১৩ এপ্রিল ২০১৪ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৮ নভেম্বর ২০১৩।
- "Bilateral Air Service Agreements"। Aviation Knowledge। সংগ্রহের তারিখ ১৮ নভেম্বর ২০১৩।
- "History of Aviation"। Online Travel and Tourism Courses। সংগ্রহের তারিখ ১৮ নভেম্বর ২০১৩।
- "Airline Deregulation"। Federal Bureaucracy, Shmoop। সংগ্রহের তারিখ ১৮ নভেম্বর ২০১৩।
- Fred L. Smith Jr.; Braden Cox। "Airline Deregulation"। The Concise Encyclopedia of Economics। সংগ্রহের তারিখ ১৮ নভেম্বর ২০১৩।