আন্তর্জাতিক উদ্ভিদ শ্রেণীবিন্যাসকরণ সংগঠন
গঠিত | ১৮ই জুলাই, ১৯৫০ |
---|---|
সদরদপ্তর | ব্রাটিস্লাভা, স্লোভাকিয়া |
প্রেসিডেন্ট | ভিকি ফাঙ্ক |
ওয়েবসাইট | www |
আন্তর্জাতিক উদ্ভিদ শ্রেণীবিন্যাসকরণ সংগঠন (ইংরেজি: International Association for Plant Taxonomy সংক্ষেপে IAPT) উদ্ভিদবৈচিত্র্য নিয়ে তথ্য ও আবিষ্কার প্রকাশ করে, জীববিজ্ঞানীদের মধ্যে গবেষণার জন্য আন্তর্জাতিক যোগাযোগ স্থাপনে সাহায্য করে এবং উদ্ভিদের নামের অভিন্নতা ও স্থায়িত্বের ব্যাপারে তত্ত্বাবধায়ন করে। সংগঠনটি ১৯৫০ সালের ১৮ই জুলাই সপ্তম আন্তর্জাতিক বোটানিক্যাল কংগ্রেস, স্টকহোম, সুইডেনে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল।[1] বর্তমানে সংগঠনটির প্রধান সদরদপ্তর স্লোভাকিয়ার ব্রাটিস্লাভায় অবস্থিত। এর বর্তমান সভাপতি ওয়াশিংটন ডিসি এর স্মিথসোনিয়ান ইন্সটিউটের ভিকি ফাঙ্ক (২০১১ সাল থেকে), সহ সভাপতি জাতীয় ইতিহাস জাদুঘর, লন্ডনের সান্দ্রা ন্যাপ এবং সাধারণ সম্পাদক স্লোভাক একাডেমী অব সাইন্সের ইন্সটিটিউট অব বোটানি এর ক্যারল মারহোল্ড।
শ্রেণীবিন্যাসের জার্নাল ট্যাক্সন এবং সিরিজ রেগণুম ভেজিটেবাইল দুইটাই IAPT কর্তৃক প্রকাশিত হয়। এলগি, ছত্রাক এবং উদ্ভিদের বৈজ্ঞানিক নামকরণের আন্তর্জাতিক নিয়ম, Nominum Genericorum এর সূচী এবং Herbariorum এর সূচী পরবর্তীত সিরিজে প্রকাশিত হয়।
উদ্দেশ্য
আন্তর্জাতিক উদ্ভিদ শ্রেণীবিন্যাসকরণ সংগঠনের প্রাথমিক উদ্দেশ্য হলো উদ্ভিদবৈচিত্র্য নিয়ে তথ্য ও আবিষ্কার প্রকাশ করা,জীবিত ও ফসিল যেকোন উদ্ভিদের নামকরণ এবং শ্রেণীবিন্যাসকরণ করে। এছাড়া এই সংগঠন উদ্ভিদবৈচিত্র্য সংরক্ষণে জনগণকে সচেতন করে তোলে। এই সংগঠন শ্রেণীবিন্যাসকরণ এবং নামকরণ নিয়ে যেসব উদ্ভিদবিজ্ঞানী কাজ করছেন তাদের আন্তর্জাতিক যোগাযোগের সুবিধা করে দেয়। রেফারেন্স জার্নাল এবং পাবলিকেশন প্রকাশে স্পন্সরশীপ নিয়ে এই সংগঠন এই কাজগুলো সম্পন্ন করে।
“ | IAPT ১৯৫০ সালে অলাভজনক প্রতিষ্ঠান হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়, যার উদ্দেশ্য ছিল শ্রেণিবিন্যাস নিয়ে নিয়মিত পাবলিকেশন (ট্যাক্সন) করা, শ্রেণিবিন্যাস নিয়ে বিভিন্ন বই প্রকাশ করা এবং শ্রেণিবিন্যাস ও বৈজ্ঞানিক নাম প্রতিষ্ঠা ও স্থায়িত্ব রক্ষার্থে কমিটি গঠন করা। [2] | ” |
IAPT উদ্ভিদের নামগুলোর মধ্যে অভিন্নতা এবং স্থিতি অর্জন করতে কাজ করে। এর জন্য এই সংগঠনটি প্রণয়ন করেছে ইন্টারন্যাশনাল কোড অব নমেনক্লেচার ফর এলগি, ফাঞ্জাই এন্ড প্লান্টস (যা পূর্বে দি ইন্টারন্যাশনাল বোটানিক্যাল নমেনক্লেচার নামে পরিচিত ছিল) এবং দি ওভারসাইট অব দি ইন্টারন্যাশনাল ব্যুরো অব প্ল্যান্ট ট্যাক্সানমি এন্ড নমেনক্লেচার।
পাবলিকেশন এবং অনলাইন তথ্যভান্ডার
ট্যাক্সন
ট্যাক্সন[3] একটি দ্বিমাসিক জার্নাল যার প্রকাশক IAPT। জার্নালটি ১৯৫১ সালে প্রথম প্রকাশিত হয় এবং বড়সড় পরিসরে সিস্টেমেটিক উদ্ভিদবিজ্ঞান নিয়ে বিভিন্ন আসল পেপার ও রিভিউ প্রকাশ করে। পেপার নির্বাচনের সময় শ্রেণীবিন্যাসের আধুনিক বিশ্লেষণের ফলাফল সংবলিত সুসংহত পেপারের প্রাধান্য দেওয়া হয়। ট্যাক্সনে উদ্ভিদের বৈজ্ঞানিক নাম সম্পর্কিত বিভিন্ন বিষয় থাকে এবং কোন নাম রাখা বা না রাখার প্রস্তাবের মাধ্যম হিসেবে কাজ করে।[4] এটি ইন্টারন্যাশনাল কোড অব নমেনক্লেচার ফর এলগি, ফাঞ্জাই এন্ড প্লান্টস কে পরিবর্তনের প্রস্তাব দিতে পারে। এই ধরনের প্রকাশনার ক্ষেত্রে ট্যাক্সন জেনারেল কমিটিরে সকল শর্ত মেনে চলে। এতে ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন অব প্ল্যান্ট বায়োসিস্টেমেটিকস উৎসর্গ করে একটা সেকশন আছে। যদিও এই জার্নাল সিস্টেমেটিক এবং বিবর্তনীয় জীববিজ্ঞানের প্রতি উৎসর্গকৃত, দেখা গেছে এটি শুধু বৈজ্ঞানিক নাম নিয়ে বেশি কাজ করছে আর সিস্টেমেটিক জীববিজ্ঞানের উন্নতির জন্য তেমন কাজ করছে না।[5] এজন্য অবশ্য এই সংগঠনকে সমালোচনা সহ্য করতে হয়েছে।[6]
রেগণুম ভেজিটেবাইল
রেগণুম ভেজিটেবাইল[7] হলো উদ্ভিদের শ্রেণিবিন্যাস নিয়ে প্রকাশিত বইগুলোর একটি সিরিজ। অনেকগুলো ভল্যুম রয়েছে প্ল্যান্ট সিস্টেমেটিকস নিয়ে লিটারেচার সার্ভে অথবা মনোগ্রাফ নিয়ে। এই ভল্যুমগুলো সাধারণভাবে ব্যবহার করা হয়ঃ
- ইন্টারন্যাশনাল কোড অব নমেনক্লেচার ফর এলগি, ফাঞ্জাই এন্ড প্লান্টস (ICN) (Vol. ১৫৪, ২০১২) হলো বিভিন্ন নিয়ম এবং সুপারিশের সমষ্টি, যা উদ্ভিদের পরিচিত নাম বাছাইয়ের ক্ষেত্রে কাজ করে। বর্তমান সংস্করণ "মেলবোর্ন কোড" নামে পরিচিত এবং এটি সপ্তম আন্তর্জাতিক বোটানিক্যাল কংগ্রেসে ২০১১ তে খসড়া করা হয়েছিল।
- ইন্টারন্যাশনাল কোড অব নমেনক্লেচার ফর কাল্টিভেটেড প্ল্যান্টস, ৮ম সংস্করণ (VOl. ১৫১, ২০১০) হলো ICN এর সহযোগী সংগঠন। এটি উদ্ভিদের বিভিন্ন প্রজাতির নামকরণের নিয়মের ভল্যুম।
- ইন্ডেক্স Nominum Genericorum (Vols. ১০০-১০২ এবং ১১৩) এটি একটি জেনেরিক নামের ইন্ডেক্স, যেগুলো ICN এর অন্তর্ভুক্ত। এর সাথে সাথে রয়েছে প্রকাশের স্থান এবন প্রজাতির ধরন নিয়ে তথ্য। এর একটি ভার্সন অনলাইনে পাওয়া যায়।I
- ইন্ডেক্স Herbariorum, প্রথম ৬ সংস্করণ (Vol. ১৫, ৩১, ৮৬, ৯২, ৯৩, ১০৬, ১০৯, ১১৪, ১১৭, ১২০) এটি পৃথিবীর শুকনো গাছপালা বা হার্বারিয়া গুলোর একটি ডিরেক্টরি। এতে রয়েছে প্রত্যেক হারবারিয়াম কোথায় পাওয়া যাবে সেই তথ্য, নামের সংক্ষেপ এবং গুরুত্বপূর্ণ তথ্য। এটা এখন অনলাইন ডাটাবেজ, যার ব্যবস্থাপনায় রয়েছে দি নিউ ইয়র্ক বোটানিক্যাল গার্ডেন এবং এখন অনলাইনে সার্চ করে পাওয়া যাচ্ছে। .
- ইন্টারন্যশনাল ডিরেক্টরি অব বোটানিক্যাল গার্ডেনস (Vol. ৯৫, ১৯৭৭ এবং হালনাগাদকৃত) এটি বোটানিক্যাল গার্ডেন এবং আর্বোটেরাগুলোর (উদ্ভিদবিদ্যার অণুশীলনের ছোট উদ্যান) ডিরেক্টরি।
এই সিরিজে উদ্ভিদবিজ্ঞানের বিশেষ বিশেষ শাখা নিয়ে আরো অনেক ভল্যুম আছে।
ডাটাবেজ
এছাড়া IAPT এর প্রিন্ট ভার্সন থেকে ইলেক্ট্রনিক ভার্সনে নিম্নলিখিত বিষয় মেনে চলেঃ
- "নেমস ইন কারেন্ট ইউজ"[8] - এটি আজ পর্যন্ত আবিস্কৃত সকল উদ্ভিদের বৈজ্ঞানিক নামের ডাটাবেজ।
টীকা এবং উদ্ধৃতি
- IAPT web site.
- Taxon 53 (1): 2.
- ISSN 0040-0262.
- Taxon 53 (1): 2.
- TAXON - Journal of the IAPT.
- Davis & Heywood 1973, pp.33-34.
- ISSN 0080-0694.
- Names in Current Use (NCU)
তথ্যসূত্র
- Davis, P.H. & V. H. Heywood (1973). Principles of Angiosperm Taxonomy, revised ed. Huntington, New York: Robert E. Krieger. আইএসবিএন ০-৮৮২৭৫-১২৯-৮.
- (2004) "IAPT Strategic Plan" (PDF). Taxon 53 (1): 2.
- IAPT web site. Retrieved on 2007-12-18.
- TAXON - Journal of the IAPT. Retrieved on 2012-05-07.
বহিঃসংযোগ
- IAPT ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২৩ জুন ২০১৮ তারিখে
- Index Nominum Genericorum
- Index Herbariorum ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২৮ ডিসেম্বর ২০০৯ তারিখে
This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.