আধুনিক পদার্থবিজ্ঞান
আধুনিক পদার্থবিজ্ঞান পদার্থবিজ্ঞানের একটি শাখা। এর শুরু বিংশ শতাব্দীর শুরুর দিকে অথবা বিংশ শতাব্দীর শুরুর পদার্থবিজ্ঞানের উপরে ভিত্তি করে। আধুনিক পদার্থবিজ্ঞানের উল্লেখযোগ্য শাখার মধ্যে রয়েছে কোয়ান্টাম বলবিদ্যা, আপেক্ষিকতার বিশেষ তত্ত্ব এবং আপেক্ষিকতার সাধারণ তত্ত্ব।
আধুনিক বিজ্ঞান |
---|
|
চিরায়ত পদার্থবিজ্ঞান সাধারণত দৈনন্দিন ঘটনাবলী নিয়ে আলোচনা করে যেখানে গতি আলোর গতি অপেক্ষা অনেক কম এবং ভর পরমাণুর ভর অপেক্ষা অনেক বেশি। তবে আধুনিক পদার্থবিজ্ঞানে আরও চরম অবস্থা নিয়ে আলোচনা করে, যেমন আলোর গতির সাথে তুলনীয় গতি, পরমাণুর ব্যাসার্ধের সমান দুরত্ব (কোয়ান্টাম বলবিদ্যা) এবং উচ্চ শক্তি। কোয়ান্টাম বলবিদ্যা আপেক্ষিকতার বিশেষ তত্ত্বের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ হলেও আপেক্ষিকতার সাধারণ তত্ত্বের সাথে একে একীভূত করা সম্ভব হয়নি।
বিবরণ
আধুনিক পদার্থবিজ্ঞান হলো বিজ্ঞান ও প্রকৌশলের বিভিন্ন সরঞ্জাম ব্যবহার করে পদার্থের বিভিন্ন মিথস্ক্রিয়ার অন্তর্নিহিত প্রক্রিয়া বোঝার একটি প্রচেষ্টা। আক্ষরিক অর্থে আধুনিক পদার্থবিজ্ঞান বলতে হালনাগাদকৃত পদার্থবিজ্ঞানকে বোঝায়। তবে ১৮৯০ পরবর্তী সময়ে বিজ্ঞানের বেশ কিছু আবিষ্কারের কারণে বিজ্ঞানের প্রচলিত অনেক ধারণা ও বিশ্বাস পরিবর্তন হয়ে যায়। [1] বিশেষত কোয়ান্টাম বলবিদ্যা এবং আপেক্ষিকতার তত্ত্ব আবিষ্কারের ফলে বিজ্ঞানীদের কাজের ধারা অনেক পরিবর্তিত হয়ে যায়। আধুনিক পদার্থবিজ্ঞান বলতে এখন কোয়ান্টাম বলবিদ্যা এবং আপেক্ষিকতার তত্ত্ব সংশ্লিষ্ট বিজ্ঞানকেই বোঝায়।[1]