আদ্রিয়ান কুইপার

আদ্রিয়ান পল কুইপার (ইংরেজি: Adrian Kuiper; জন্ম: ২৪ আগস্ট, ১৯৫৯) ট্রান্সভাল প্রদেশের জোহেন্সবার্গে জন্মগ্রহণকারী প্রথিতযশা সাবেক দক্ষিণ আফ্রিকান আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার। দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ১৯৯১ থেকে ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে টেস্ট ও একদিনের আন্তর্জাতিকে অংশ নিয়েছেন। ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর দক্ষিণ আফ্রিকান ক্রিকেটে বোল্যান্ড, ওয়েস্টার্ন প্রভিন্স ও ইংরেজ কাউন্টি ক্রিকেটে ডার্বিশায়ারের প্রতিনিধিত্ব করেছেন তিনি। দলে তিনি মূলতঃ মাঝারীসারির ব্যাটসম্যানের দায়িত্ব পালন করেছেন। ডানহাতে ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি ডানহাতে মিডিয়াম কিংবা অফ-ব্রেক বোলিং করতেন আদ্রিয়ান কুইপার

আদ্রিয়ান কুইপার
ক্রিকেট তথ্য
ব্যাটিংয়ের ধরনডানহাতি
বোলিংয়ের ধরনডানহাতি মিডিয়াম
ডানহাতি অফ-ব্রেক
ঘরোয়া দলের তথ্য
বছরদল
১৯৭৭–১৯৯৫ওয়েস্টার্ন প্রভিন্স/বি
১৯৯০ডার্বিশায়ার
১৯৯৫–১৯৯৮বোল্যান্ড
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান
প্রতিযোগিতা টেস্ট ওডিআই
ম্যাচ সংখ্যা ২৫
রানের সংখ্যা ৩৪ ৫৩৯
ব্যাটিং গড় ১৭.০০ ৩৩.৬৮
১০০/৫০ ০/০ ০/৩
সর্বোচ্চ রান ৩৪ ৬৩*
বল করেছে - ৫৮৮
উইকেট - ১৮
বোলিং গড় - ২৮.৭৭
ইনিংসে ৫ উইকেট -
ম্যাচে ১০ উইকেট - -
সেরা বোলিং - ৩/৩৩
ক্যাচ/স্ট্যাম্পিং ১/- ৩/-
উৎস: ক্রিকইনফো, ৯ এপ্রিল ২০১৮

ঘরোয়া ক্রিকেট

কেপ টাউনের ডিওসেসান কলেজে অধ্যয়ন করেছেন।

১৯৭৭ সালে ওয়েস্টার্ন প্রভিন্স/বি দলের সদস্যরূপে প্রথমবারের মতো খেলায় অংশগ্রহণ করেন। মাঝারীসারির ব্যাটসম্যান ও মিডিয়াম পেস বোলিংয়ে দক্ষতা প্রদর্শন করেন। এরপর ওয়েস্টার্ন প্রভিন্স এ ক্রিকেট দলে খেলার জন্য মনোনীত হন। ১৯৭৮ থেকে ১৯৯৫ সাল পর্যন্ত ওয়েস্টার্ন প্রভিন্সের পক্ষে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে নিয়মিতভাবে খেলেন। এরপর ১৯৯৫ থেকে ১৯৯৮ সাল পর্যন্ত বোল্যান্ডের অধিনায়কত্ব করেন। ১৯৯০ সালে কাউন্টি ক্রিকেট খেলার জন্য ডার্বিশায়ারের সাথে চুক্তিবদ্ধ হন।

আন্তর্জাতিক ক্রিকেট

সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে দক্ষিণ আফ্রিকার সদস্যরূপে ৫টি অনানুষ্ঠানিক টেস্ট খেলার সুযোগ পেয়েছেন। ১৯৮১ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথমটি ও ১৯৯০ সালে একই দলের বিপক্ষে সর্বশেষ অনানুষ্ঠানিক টেস্টে অংশ নেন।

এরপর বর্ণবৈষম্যবাদ নীতি থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হলে ১৯৯১ থেকে ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে একটি টেস্ট ও পঁচিশটি একদিনের আন্তর্জাতিকে অংশ নিয়েছেন আদ্রিয়ান কুইপার। এ সময়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পুণঃপ্রবেশকালীন ভারতের বিপক্ষে প্রথম একদিনের আন্তর্জাতিকে অংশগ্রহণকারী খেলোয়াড়দের মধ্যে অন্যতম ছিলেন তিনি। ১৯৯১ সালে সিরিজের তৃতীয় ওডিআইয়ে ভারতের বিপক্ষে ঐতিহাসিক বিজয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। এছাড়াও, ১৯৯২ সালের ক্রিকেট বিশ্বকাপে দলের অন্যতম সদস্যরূপে খেলার জন্য মনোনীত হন।

দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেটের ইতিহাসে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ার পর প্রথম ওডিআই ও প্রথম টেস্টে খেলার সৌভাগ্য অর্জন করেন। তবে, প্রথম ওডিআইয়ে পরাজিত হয়েছিল তার দল ও তিনি ৪৩ রান তুলেছিলেন।[1]

১৯৯২ সালে বার্বাডোসের কেনসিংটন ওভালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে প্রথমবারের মতো নিষেধাজ্ঞা পরবর্তী প্রথম টেস্টে অংশ নেয় দক্ষিণ আফ্রিকা দল। এটিই তার একমাত্র টেস্টে অংশগ্রহণ ছিল। এরপর তাকে শুধুমাত্র ওডিআইয়ে অংশ নিতে দেখা যায়। সফরকারী অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ভারওর্ডবার্গে অনুষ্ঠিত ১৯৯৪ সালে একদিনের খেলায় ক্রেগ ম্যাকডারমটের এক ওভার থেকে ২৬ রান তুলে নেন। তন্মধ্যে উপর্যুপরী তিনটি ছক্কা হাঁকিয়েছিলেন তিনি।

১৯৯৬ সাল পর্যন্ত একদিনের খেলার সাথে তার সম্পৃক্ততা ছিল। খেলোয়াড়ী জীবনের শেষ খেলায় পোর্ট এলিজাবেথে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৬১ রান তুলেছিলেন। সেন্ট জর্জেস ওভালে অনুষ্ঠিত ঐ খেলার পরও বয়স এবং শারীরিক সক্ষমতার কারণে ১৯৯৬ সালের ক্রিকেট বিশ্বকাপের জন্য তাকে মনোনীত করা হয়নি।

মূল্যায়ন

খেলায় মারমুখী ভূমিকার কারণে প্রায়শঃই তাকে ইংরেজ অল-রাউন্ডার ইয়ান বোথামের সাথে তুলনা করা হতো। ১৯৯০ সালে ব্লুমফন্তেইনে বিদ্রোহী ইংরেজ দলের বিপক্ষে ৬৭ বলে ১১৭ রান তুলেন। তন্মধ্যে, সেঞ্চুরির জন্য তিনি ৪৮ বল খেলেছিলেন। সতীর্থ ড্যারিল কালিনান এ ইনিংসটির বিষয়ে মন্তব্য করেন যে, তার দেখা সেরা শতক ছিল এটি।[2]

ওডিআইয়ে ম্যান অব দ্য ম্যাচ

ক্রমিক প্রতিপক্ষ মাঠ তারিখ খেলায় অবদান ফলাফল
ইংল্যান্ড সেন্ট জর্জেস পার্ক, পোর্ট এলিজাবেথ ২৩ অক্টোবর, ১৯৯৫ ৬১* (৬৬ বল; ৫x৪)  দক্ষিণ আফ্রিকা ৮০ রানে বিজয়ী।[3]

ব্যক্তিগত জীবন

ক্রিকেট খেলা থেকে অবসর নেয়ার পর ওয়েস্টার্ন কেপের গ্রাসবো এলাকার এলগিনে ২০ বছরেরও অধিককাল কৃষিকার্য্যে নিয়োজিত আছেন। খামারে তিনি মূলতঃ আপেল, নাশপাতি ও মোরগ লালন-পালন করছেন।

তথ্যসূত্র

বহিঃসংযোগ

This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.