আজহারুল ইসলাম
আজহারুল ইসলাম (১৯৪৪ - ১৯৯৬) ছিলেন বাংলাদেশের নীলফামারী জেলার বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের একজন রাজনীতিবিদ।তিনি অত্যান্ত জনপ্রিয় রাজনীতিবিদ ছিলেন।তিনি ছিলেন মাটি ও মানুষের নেতা। বঙ্গবন্ধুর স্নেহধন্য এই রাজনীতিবিদ নীতির প্রশ্নে ছিলেন আপোষহীন। বাঙালি জাতীয়তাবাদের অতন্দ্র প্রহরী। সেনাশাসক জিয়াউর রহমান ও হুসেন মোহাম্মদ এরশাদের মন্ত্রীত্বের প্রলোভনেও তিনি দল ত্যাগ করেননি। ১৯৭০ সালের মুক্তিযুদ্ধে তিনি ছিলেন কিশোরগঞ্জের যুবনেতা। ১৯৯০ সালের স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনেও তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। পঞ্চম জাতীয় সংসদে নির্বাচিত সংসদ সদস্য হিসেবে তিনি দায়িত্ব পালন করেন।
আজহারুল ইসলাম | |
---|---|
নীলফামারী-৩[1] | |
কাজের মেয়াদ ২৭ ফেব্রুয়ারি ১৯৯১ – ১৯৯৬ | |
প্রধানমন্ত্রী | খালেদা জিয়া |
পূর্বসূরী | এম কে আলম চৌধুরী |
উত্তরসূরী | মিজানুর রহমান চৌধুরী (নীলফামারীর রাজনীতিবিদ) |
ব্যক্তিগত বিবরণ | |
জন্ম | ১৯৪৪ নিলফামারী জেলা, পূর্ব পাকিস্তান |
মৃত্যু | ১৯৯৬ ঢাকা, বাংলাদেশ |
রাজনৈতিক দল | বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ |
দাম্পত্য সঙ্গী | হালিমা আজহার |
জীবিকা | রাজনীতিবিদ |
প্রাথমিক জীবন
আজহারুল ইসলাম ১৯৪৪ সালে বাংলাদেশের নীলফামারী জেলার কিশোরগঞ্জ উপজেলার ১ নং বড়ভিটা ইউনিয়নে জন্মগ্রহণ করেন।।তাঁর পিতার নাম মরহুম মোঃ মফেল উদ্দীন সরকার এবং মাতার নাম আহাতুন নেসা। তিনি বড়ভিটা হাই স্কুল থেকে মাধ্যমিক পাশ করে নীলফামারী কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক এবং স্নাতক সম্পন্ন করেন। বড়ভিটা হাইস্কুলে শিক্ষকতার মাধ্যমে কর্মজীবন শুরু করেন।
রাজনৈতিক জীবন
আজহারুল ইসলাম নীলফামারী কলেজে পড়ার সময় ছাত্রলীগের রাজনীতিতে যুক্ত হন এবং বঙ্গবন্ধুর ছয় দফার পক্ষে প্রচার শুরু করেন। ১৯৭০ সালের পাকিস্তান সাধারণ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের পক্ষে ২৬ বছর বয়সে পূর্ব পাকিস্তান প্রাদেশিক পরিষদের সংসদ সদস্য (এমপিএ) নির্বাচিত হন।
১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে কিশোরগঞ্জ উপজেলার মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক হিসেবে ভুমিকা রাখেন।তিনি হলদিবাড়ি যুব শিবিরের প্রধান ছিলেন।পঁচাত্তর সালে বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের কিছুদিন পর তাঁকেও গ্রেফতার করা হয়,সেসময় তিনি জাতীয় চার নেতার সাথে কারাগারে ছিলেন।
আজহারুল ইসলাম ১৯৯১ সালে পঞ্চম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নীলফামারী-৩ (জলঢাকা -কিশোরগঞ্জ) থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। [2] ১৯৯১ সাল থেকে ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত জাতীয় সংসদ সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৯৬ সালের নির্বাচনে তিনি পরাজিত হন।
১৯৯৬ সালের ৪ই ডিসেম্বর হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে ঢাকায় হলি ফ্যামিলি হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন। নীলফামারী জেলার বড়ভিটা গ্রামে তাকে সমাধিস্থ করা হয়।তিনি মৃত্যুকালে ৫ মেয়ে ও ২ পূত্র সন্তান রেখে যান।
তথ্যসূত্র
- "List of 5th Parliament Members"। parliament.gov.bd। Bangladesh Parliament। সংগ্রহের তারিখ ২৯ অক্টোবর ২০১৮।
- "মরহুম আজহারুল ইসলাম উত্তরবঙ্গের ক্ষণজন্মা রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব"। স্বাধীন বাংলা১৬.কম। সংগ্রহের তারিখ ২২ জুন ২০২০।
৩. https://songramernotebook.com/archives/100412। songramernotebook.com