আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ

আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ ঢাকা শহরে অবস্থিত মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এটি আইডিয়াল হাই স্কুল (স্কুলটির পূর্ব নাম) বা মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল নামেও পরিচিত। ১৯৬৫ সালে এই প্রতিষ্ঠানটি মতিঝিলে তার যাত্রা শুরু করে। মূলত তখন এটি তৎকালীন সিজিএস কলোনি (যা বর্তমানে এজিবি কলোনি নামে পরিচিত) এর নিবাসীদের সন্তানদের পড়াশোনার জন্য তৈরি হয়। বর্তমানে এর তিনটি মাধ্যমিক শাখা ও একটি উচ্চমাধ্যমিক শাখা (বালিকা) রয়েছে।

আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ
আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের মনোগ্রাম
অবস্থান
মানচিত্র

বাংলাদেশ
তথ্য
ধরনবেসরকারি
নীতিবাক্য"রব্বি যিদনীই ঈলমা" অর্থাৎ-হে রব আমার জ্ঞান বৃদ্ধি কর
প্রতিষ্ঠাকাল১৯৬৫
বিদ্যালয় জেলাঢাকা
বিদ্যালয় কোড১০৮২৭৭
ইআইআইএন১০৮২৭৭
অধ্যক্ষফোওজিয়া রাসিদিন
শ্রেণীপ্রথম থেকে দ্বাদশ
ভর্তি১৯৭৩
ক্যাম্পাসের ধরনশহরে অবস্থিত
অ্যাথলেটিক্সক্রিকেট, ফুটবল, হ্যান্ডবল, কাবাডি ইত্যাদি
মাস্কটবইয়ের সঙ্গে আলোকিত মোমবাতি এবং পাতার ঝাড়
শিক্ষা বোর্ডঢাকা
শাখা সংখ্যা
বার্ষিক ম্যাগাজিনপ্রত্যাশা
ওয়েবসাইটidealschoolandcollege.edu.bd

ইতিহাস

মূল শাখা প্রতিষ্ঠা

বর্তমানে আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ যেখানে অবস্থিত অতীতে সেখানে গণপূর্ত অধিদপ্তরের এজিবি কলোনীর (তৎকালীন সিজিএস কলোনি) কর্মচারীদের ক্যান্টিন ছিল। ১৯৬৫ সালের ১৫ মার্চ ঢাকার মতিঝিলে একটি টিনশেড বেড়ার ঘরে আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ একটি প্রাথমিক বিদ্যালয় হিসেবে যাত্রা শুরু করে। এরপর ১৯৬৮ সালে জুনিয়র স্কুল এবং ১৯৭২ সালে এটি পূর্ণাঙ্গ হাই স্কুলে উন্নীত হয়৷ ১৯৭৩ সালে স্কুলটির ছাত্র-ছাত্রীরা প্রথমবারের মত এসএসসি পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করে৷ মতিঝিল ক্যাম্পাসের ১ একর ১৮ শতাংশ জমি ১৯৮০ সালে তত্‍কালীন রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান প্রতিষ্ঠানের নামে বরাদ্দ করেন৷[1]

কলেজ প্রতিষ্ঠা

১৯৯০-৯১ শিক্ষা বছরে সরকারের নির্দেশে মতিঝিল ক্যাম্পাসে স্কুল ভবনের পূর্বদিকে ছাত্রীদের জন্য কলেজ শাখা প্রতিষ্ঠা করা হয়৷ ১৯৯০ সালে কলেজ ভবন ও ২০০৪ সালে একাডেমিক ভবনের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করা হয়।[2]

ইংরেজি ভার্সন প্রতিষ্ঠা

২০০৩ সালে প্রতিষ্ঠানটি এর মতিঝিল ক্যাম্পাসে ৬ষ্ঠ ও ৭ম শ্রেণিতে ছাত্র-ছাত্রী ভর্তির মাধ্যমে ইংলিশ ভার্সনের কার্যক্রম শুরু করে৷ এরপর ২০০৫ সালে ইংরেজি ভার্সনে ১ম শ্রেণিতে ছাত্র-ছাত্রী ভর্তি করা হয় এবং পরবর্তীতে পর্যায়ক্রমে ১০ম শ্রেণি পর্যন্ত উন্নীত করা হয়৷ ২০০৬ সালে গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ে আবেদনের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানটি তার নিজস্ব অর্থায়নে ১২ শতাংশ জমি ক্রয় করে৷ এ জমির ওপর ২০০৯ সালে প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব অর্থায়নে প্রায় ১০ কোটি টাকা ব্যয়ে ১২ তলা ভিত বিশিষ্ট ইংলিশ ভার্সনের জন্য নতুন ভবন নির্মাণ কাজ শুরু করা হয়৷[2]

বনশ্রী শাখা প্রতিষ্ঠা

১৯৯৬ সালে খিলগাঁও (বর্তমানে রামপুরা) থানার বনশ্রী আবাসিক প্রকল্প এলাকায় প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব অর্থায়নে ৬ বিঘা জমি ক্রয় করে সেমিপাকা ভবনে ১ম শ্রেণি থেকে ৮ম শ্রেণি পর্যন্ত মোট ৭০২ জন ছাত্র-ছাত্রী নিয়ে বনশ্রী শাখা আত্মপ্রকাশ করে৷ অতঃপর পর্যায়ক্রমে এ শাখা ১০ম শ্রেণি পর্যন্ত উন্নীত হয়৷ ২০০৫ সালের ২৭ আগস্ট স্কুল ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয় এবং প্রস্তাবিত এ ভবনটি সর্বোচ্চ ৬ তলা করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়৷ প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব অর্থায়নে স্থপতি সংসদ লি: কনস্ট্রাকশন ফার্মের তত্ত্বাবধানে ৪ তলা পর্যন্ত নির্মাণ করা হয়। ২০০৬ সালের ৫ অক্টোবর তারিখে নবনির্মিত এ ভবনটির উদ্বোধন করা হয়৷ ২০০৭ সালের জানুয়ারি থেকে শাখাটির কার্যক্রম এ নতুন ভবনে পরিচালিত হয়ে আসছে৷ [2]

বনশ্রী শাখায় ইংরেজি ভার্সন প্রতিষ্ঠা

২০১২ সালে বনশ্রী ক্যাম্পাসে প্রথম থেকে তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত তিনশত ছাত্র-ছাত্রী নিয়ে খোলা হয়েছে ইংলিশ ভার্সন। সরকারি এবং প্রতিষ্ঠানের যৌথ অর্থায়নে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের তত্ত্বাবধানে ২০১৪ সালে ১০তলা ভিত বিশিষ্ট নতুন ভবনের নির্মাণ কাজ শুরু হয়। বর্তমানে এ ভবনেই ইংরেজি ভার্সনের ক্লাস হয়।[2]

মুগদা শাখা প্রতিষ্ঠা

২০০৯ সালে প্রতিষ্ঠানটি এর নিজস্ব অর্থায়নে পূর্ত মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে মুগদা শাখার নামে ১ একর জমি বরাদ্দ নেয়। ২০১১ সালের ২ মার্চ থেকে সেখানে সেমি পাকা ভবনে পাঠদান কার্যক্রম শুরু হয়। ২০১১ সালের ৮ জুন তারিখে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রতিষ্ঠানটির নতুন একাডেমিক ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন এবং মুগদা শাখা উদ্বোধন করেন।[1]

শাখা সমূহ

কলেজ

কলেজ শাখা ২টি ভবন নিয়ে গঠিত: ৫ তলা বিশিষ্ট কলেজ ভবন ও ১০ তলা বিশিষ্ট একাডেমিক ভবন। বর্তমানে কলেজে প্রায় ২৪০০ জন ছাত্রী রয়েছে।[2]

অবকাঠামো

মতিঝিল শাখার স্কুল ভবনটি ৫ তলা বিশিষ্ট। এর নিচ তলায় রয়েছে সহকারী প্রধান শিক্ষকের কক্ষ, পৃথক শিক্ষক ও শিক্ষিকা মিলনায়তন, স্টেশনারি, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রণ কক্ষ ও অফিস। এর দক্ষিণ-পশ্চিম দিকের বর্ধিতাংশের নিচ তলায় রয়েছে অধ্যক্ষের কার্যালয় ও ক্যান্টিন; দোতলায় নামাজের ঘর ও পাঠাগার এবং তিনতলায় আছে কম্পিউটার ল্যাব। আর স্কুল অডিটোরিয়ামটি স্কুল ভবনের দোতলায় অবস্থিত।

বিজ্ঞান ভবনে রয়েছে পদার্থ বিজ্ঞান, জীব বিজ্ঞান ও রসায়ন ল্যাব। এছাড়াও নিচতলায় রয়েছে প্রাথমিক চিকিৎসা কেন্দ্র। ভবনগুলোর মাঝে রয়েছে মাঠ যা বাংলা মাধ্যমের শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি ইংরেজি মাধ্যম ও কলেজের শিক্ষার্থীরাও ব্যবহার করে।

মতিঝিল ক্যাম্পাসের প্রধান ফটক (২০০৯ সাল)

মতিঝিল ক্যাম্পাসে মোট জমির পরিমাণ ১ একর ২৬ শতাংশ (কলেজ ও ইংরেজি মাধ্যম সহ)। প্রতিটি তলার ক্ষেত্রফল প্রায় ২০,০০০ বর্গফুট। ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের সৈনিকদের স্মরণে ২০০৯ সালে এ ক্যাম্পাসে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের আদলে একটি শহীদ মিনার নির্মিত হয়েছে। বর্তমানে এ শাখায় প্রায় ৭৫০০ জন শিক্ষার্থী অধ্যায়ন করছে।

শাখা প্রধান

প্রভাতী শাখা:মোঃ মোফাজ্জল হোসেন
দিবা শাখা:মোঃ আব্দুস ছালাম খান

মতিঝিল শাখা (ইংরেজি ভার্সন)

ইংরেজি ভার্সনে (১২তলা ভিতবিশিষ্ট) একটি ৭তলা ভবন নির্মাণ রয়েছে। প্রতিটি তলার ক্ষেত্রফল প্রায় ৭০০০ বর্গফুট। এ শাখায় বর্তমানে প্রায় ৩৫০০ জন শিক্ষার্থী অধ্যায়ন করছে।[2]

অবকাঠামো

এ শাখায় একটি ৪ তলা ভবন রয়েছে। এ ভবনের প্রতি তলার ক্ষেত্রফল ১৪,৫০০ বর্গফুট। এর পেছনে আছে স্কুল মাঠ এবং একটি টিনশেড ভবন। এখানে স্কুল ক্যান্টিন অবস্থিত। ২০১৭ সালে বনশ্রী শাখায় শহিদ মিনার নির্মিত হয়। বর্তমানে এ শাখার শিক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় ৬০০০ জন।

শাখা প্রধান

প্রভাতী শাখা:মুহাম্মদ সফিকুল ইসলাম
দিবা শাখা:মোঃ মোয়াজ্জেম হোসেন

বনশ্রী শাখা (ইংরেজি ভার্সন)

ইংরেজি মাধ্যমের জন্য বনশ্রী ক্যাম্পাসে একটি ৫ তলা ভবন রয়েছে। বর্তমানে এ শাখায় প্রায় ১৮৫০ জন শিক্ষার্থী অধ্যয়ন করছে।

মুগদা শাখা

শুরুতে টিনশেড ভবনে ক্লাস হলেও বর্তমানে মুগদা শাখায় একটি ৫ তলা ভবন (৮ তলা ভিত বিশিষ্ট) রয়েছে। এ শাখায় শিক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় ৩৬০০ জন।[2]

শাখা প্রধান

প্রভাতী শাখা:বাবু কাজল কান্তি বড়ুয়া
দিবা শাখা:রফিকুল ইসলাম

প্রশাসন

পরিচালনা পর্ষদ

আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের গভর্নিং বডির বর্তমান সদস্যবৃন্দ:[3]

পদনাম
সভাপতিআবু হেনা মোরশেদ জামান
সদস্যমোঃ শহীদুল ইসলাম
দাতা সদস্যগোলাম আশরাফ তালুকদার
সদস্য (কলেজ)জাহিদুল ইসলাম টিপু
সদস্য (কলেজ)মোঃ মুজিবুর রহমান
সদস্য (মাধ্যমিক)মোঃ আব্দুর রব মিঁয়া
সদস্য (মাধ্যমিক)মোঃ সোহেল আহমেদ সিদ্দিকী
সদস্য (প্রাথমিক)মোঃ শাহাদাত ঢালী
সদস্যআজিজা বেগম
শিক্ষক প্রতিনিধি (কলেজ)মুনিরজাদী কাফিয়া আলম
শিক্ষক প্রতিনিধি (স্কুল)মোঃ গোলাম মোস্তাফা
শিক্ষক প্রতিনিধি (স্কুল)মাকসুদা আকতার
সদস্য সচিব ও অধ্যক্ষফৌজিয়া রাশেদী

শিক্ষক ও কর্মচারী

স্কুল ও কলেজ শাখা মিলিয়ে প্রতিষ্ঠানটিতে মোট ৫৯২ জন শিক্ষক, ২০ জন তৃতীয় শ্রেণি এবং ১৫৩ জন চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী আছে। এছাড়াও জরুরী চিকিৎসা সেবা দিতে প্রতিষ্ঠানটিতে একজন ডাক্তার ও তিনজন নার্স নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।[2]

প্রাক্তন অধ্যক্ষবৃন্দ

আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের ওয়েবসাইটে প্রদত্ত তথ্য অনুসারে প্রতিষ্ঠানটিতে এ পর্যন্ত অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন:[4]

নামশুরুশেষ
মোঃ ফয়জুর রহমান (প্রধান শিক্ষক হিসেবে)২৩/০৬/১৯৭০৩১/১২/১৯৯০
মোঃ ফয়জুর রহমান (অধ্যক্ষ হিসেবে)০১/০১/১৯৯১৩০/১১/১৯৯৭
রওনক জাহান০১/১২/১৯৯৭০২/১২/১৯৯৭
মিজানুর রহমান০৩/১২/১৯৯৭২২/১২/১৯৯৭
রওনক জাহান২৩/১২/১৯৯৭২৩/১২/২০০০
মিজানুর রহমান২১/১২/২০০০২০/০১/২০০১
মোঃ এ.কে. নেওয়াজ২১/০১/২০০১১৮/০২/২০০৩

অন্যান্য কার্যক্রম

বার্ষিক অনুষ্ঠানাদি

প্রতিষ্ঠানটিতে শিক্ষা কার্যক্রম ছাড়াও বার্ষিক বিভিন্ন কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হয় [5] যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো: বই উৎসব, বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা, সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতাসহ প্রভৃতি।

বি.এন.সি.সি

১৯৮২ সালে এ প্রতিষ্ঠানে বিএনসিসি দল গঠিত হয়। এটি বি.এন.সি.সি ৪ রমনা ব্যাটেলিয়ানের আলফা কোম্পানির ২নং প্লাটুন। বাংলাদেশের বেসরকারি স্কুলগুলোর মধ্যে এখানেই প্রথম বি.এন.সি.সি প্লাটুন খোলা হয়েছে। ২০১৭ সালে অত্র প্রতিষ্ঠানে বিএনসিসির একটি ব্যান্ড দল অনুমোদন পায়। প্রতি বছর বিএনসিসির ক্যাডেটবৃন্দকে দক্ষতা অর্জনের প্রশিক্ষণের জন্য জাতীয় প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে প্রেরণ করা হয়।[2]

স্কাউট

বাংলাদেশ স্কাউট, ঢাকা মেট্রোপলিটন এর ২৭নং দল হচ্ছে আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ স্কাউট গ্রুপ।[6] এখানে ৩টি কাব দল, ৩টি স্কাউট দশ, ২টি গার্ল ইন কাব দল, ২টি গার্ল ইন স্কাউট দল এবং ১টি গার্ল ইন রোভার স্কাউট দল আছে। অত্র প্রতিষ্ঠানে ৪০ জন বেসিক কোর্স সম্পন্ন এডাল্ট লিডার আছে, তন্মধ্যে ১৫ জন দলের সাথে যুক্ত। প্রতি বছরই এ প্রতিষ্ঠানের উল্লেখযোগ্য সংখ্যক স্কাউট প্রেসিডেন্ট অ্যাওয়ার্ড ও শাপলা অ্যাওয়ার্ড অর্জন করে থাকে।

স্কাউটের কার্যক্রমের অংশ হিসাবে দক্ষতা যাচাইয়ে প্রতিবছর জন্য নিয়মিতভাবে প্রতিষ্ঠানে গ্রীষ্ম এবং শীতকালীন তাঁবু বাস অনুষ্ঠিত হয়। তাছাড়া বিভিন্ন সময়ে ১ দিনের ক্যাম্প অনুষ্ঠিত হয়। প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে স্কাউট সদস্যরা স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে দায়িত্ব পালন করে। এ প্রতিষ্ঠানের স্কাউটবৃন্দ ইন্দোনেশিয়া, পাকিস্তান, ভারত, জাপান, সিঙ্গাপুর, হল্যান্ড, দক্ষিণ কোরিয়া, ভুটান, ইউকে, শ্রীলঙ্কা, ইত্যাদি দেশে অনুষ্ঠিত বিশ্ব জাম্বুরিতে অংশ গ্রহণ করেছে।

রেড ক্রিসেন্ট

২০১০ সালে প্রতিষ্ঠানের স্কুল ও কলেজ উভয় শাখায়ই রেডক্রিসেন্ট দল চালু হয়। বর্তমানে এর সদস্য সংখ্যা প্রায় ৩০০ জন। প্রতি বছর নতুনভাবে প্রায় ১৫০ জন শিক্ষার্থী সদর দপ্তরের প্রশিক্ষক দ্বারা প্রশিক্ষণ নিয়ে থাকে। প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষও বাংলাদেশ রেডক্রিসেন্ট সোসাইটির আজীবন সদস্য। সকল জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক দিবসে অত্র প্রতিষ্ঠানের রেডক্রিসেন্টের শিক্ষার্থীরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশ গ্রহণ করে।

অন্যান্য সহশিক্ষামূলক কার্যক্রম

খেলাধুলা

আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের নিজস্ব ফুটবল[7], ক্রিকেট, হ্যান্ডবল[8], কাবাডি[9] ইত্যাদি দল রয়েছে। এ প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা মিনি হ্যান্ডবল[10], স্কুল কাবাডি[11], ভুইয়া ভাই স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্ট, ইন্টার স্কুল সিক্স-এ-সাইড[12], ঢাকা মহানগর স্কুল মাদ্রাসা ফুটবল টুর্নামেন্ট সহ বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে কৃতিত্বপূর্ণ ফলাফল করেছে। এছাড়াও প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষার্থীরা দাবা[13][14] সহ বিভিন্ন ইনডোর খেলায়ও অংশগ্রহণ করে।

প্রকাশনা

প্রতিষ্ঠানটি প্রতি বছর প্রত্যাশা নামক ম্যাগাজিন প্রকাশ করে। এতে প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের লেখা স্থান পায়। এর পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানের ইতিহাস, বোর্ড পরীক্ষাগুলোর ফলাফল, শিক্ষক ও কর্মচারীদের তালিকা এবং বার্ষিক অনুষ্ঠানাদির সচিত্র প্রতিবেদনও অন্তর্ভুক্ত থাকে।

সমালোচনা

শিক্ষার বিস্তারে এ প্রতিষ্ঠানটির গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা থাকলেও সম্প্রতি এ প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে দুর্নীতি সহ বেশ কিছু অভিযোগ উঠেছে। ঘুষ গ্রহণের মাধ্যমে প্রজ্ঞাপনে উল্লিখিত সংখ্যার অতিরিক্ত শিক্ষার্থী ভর্তি[15], শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি[16] এমনকি সহকারী প্রধান শিক্ষক নিয়োগেও অনিয়মের[17] অভিযোগ রয়েছে। সম্প্রতি দুর্নীতির অভিযোগের প্রমাণ পাওয়ায় প্রতিষ্ঠানটির অধ্যক্ষের এমপিও বাতিলের সুপারিশ করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।[18][19][20][21] এমপিওভুক্ত স্কুল-কলেজের জনবল কাঠামোতে শিক্ষক ও কর্মচারী ছাড়া আর কোনো পদ না থাকলেও স্কুলটিতে সহকারী ইঞ্জিনিয়ার পদে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে এবং এই ইঞ্জিনিয়ারের বিরুদ্ধেও রয়েছে বিস্তর অভিযোগ।[22] এছাড়া স্কুলটির একজন সহকারী প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে সহকর্মীকে হয়রানি[23][24], দুর্নীতি ও সার্টিফিকেট জালিয়াতির[25] অভিযোগে উঠেছিল। আর শিক্ষকদের বিরুদ্ধে কোচিং বাণিজ্যের অভিযোগও বেশ পুরাতন।[26][27] তবে প্রতিষ্ঠানটি বরাবরই এসব অভিযোগকে 'ভুয়া' এবং 'প্রতিষ্ঠানের সুনাম নষ্ট করার ষড়যন্ত্র' অভিহিত করে আসছে।

আরো দেখুন

তথ্যসূত্র

  1. "আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ, মতিঝিল, ঢাকা ১০০০ (সংক্ষিপ্ত পরিচিতি)"। প্রত্যাশা। আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ। ২০১৪।
  2. "প্রতিষ্ঠানের ইতিহাস"আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ
  3. "গভর্নিং বডির মাননীয় সদস্যবৃন্দ"আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ
  4. "প্রাক্তন অধ্যক্ষগণ"আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ
  5. "নতুন বইয়ের ঘ্রাণে মাতোয়ারা শিশুরা"print.thesangbad.net। ২০১৯-১২-২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-১২-২৩
  6. "স্কাউটস ইউনিটের বিস্তারিত তথ্য: ২৭ তম মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল এন্ড কলেজ স্কাউট দল,মতিঝিল শাখা"বাংলাদেশ স্কাউটস
  7. "ইস্পি ইন্টার-স্কুল সিক্স-এ সাইড ফুটবল টুর্নামেন্ট"দৈনিক আমাদের সময়। ৮ এপ্রিল ২০১৯।
  8. "স্কুল মিনি হ্যান্ডবল শুরু"দৈনিক ইত্তেফাক। ৩ এপ্রিল ২০১৯।
  9. "জাতীয় স্কুল কাবাডি"banglanews24.com। ২০ অক্টোবর ২০১১। ২৩ ডিসেম্বর ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা।
  10. "মিনি হ্যান্ডবলে সানিডেল চ্যাম্পিয়ন"দৈনিক ইত্তেফাক। ০৮ এপ্রিল ২০১৯। এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন: |তারিখ= (সাহায্য)
  11. "স্কুল কাবাডির চূড়ান্ত পর্বে ১৬ দল"দৈনিক কালের কণ্ঠ। ২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮।
  12. "ইন্টার-স্কুল সিক্স-এ-সাইডের ফাইনাল আজ"দৈনিক সমকাল। ২৮ এপ্রিল ২০১৬।
  13. "ওয়ালটনের সহায়তায় স্কুল দাবা প্রতিযোগিতা"। ২২ আগস্ট ২০১৫।
  14. "অন্যান্য > স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড স্কুল দাবা"দৈনিক কালের কণ্ঠ
  15. "আইডিয়াল স্কুলে ভর্তি অনিয়ম ১৯৮১ শিক্ষার্থী অতিরিক্ত"দৈনিক সমকাল। ১৭ নভেম্বর ২০১৬।
  16. "আইডিয়াল স্কুলে নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগ অভিভাবক ফোরামের"দৈনিক সমকাল। ১২ মার্চ ২০১৮।
  17. "ফের বিতর্কে মতিঝিল আইডিয়াল"দৈনিক যুগান্তর। ০৮ নভেম্বর ২০১৭। এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন: |তারিখ= (সাহায্য)
  18. "জালিয়াতি: মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অধ্যক্ষের বেতন বন্ধের নির্দেশ"সমকাল (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-১২-০৬
  19. "আইডিয়াল কলেজের অধ্যক্ষের বেতন বন্ধের উদ্যোগ"দৈনিক যুগান্তর। ১৫ মে ২০১৯।
  20. "মতিঝিল আইডিয়ালে ভর্তি কেলেঙ্কারি"দৈনিক ভোরের কাগজ। ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৮।
  21. "উত্তরপত্রে ঘষামাজা: দ্বিতীয় তদন্তে অভিযুক্ত মতিঝিল আইডিয়ালের অধ্যক্ষ"বাংলা ট্রিবিউন। ৬ মার্চ ২০১৯। ৬ মার্চ ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা।
  22. "মতিঝিল আইডিয়ালের ভর্তিসহ সব বাণিজ্যের হোতা 'ইঞ্জিনিয়ার আতিক'"পূর্ব-পশ্চিম বিডি। ১৯ অক্টোবর ২০১৯।
  23. "আইডিয়াল স্কুল এন্ড কলেজ : ইংরেজি শিক্ষকের উত্ত্যক্তের শিকার নারী সহকর্মী!"দৈনিক ভোরের কাগজ। ১৪ জুলাই ২০১৯। ২৩ ডিসেম্বর ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা।
  24. "এবার শিক্ষকের বিরুদ্ধে শিক্ষিকাকে উত্ত্যক্ত করার অভিযোগ"আওয়াজ বিডি। ১৪ জুলাই ২০১৯।
  25. "জনাব মো: আ: ছালাম খান এর সকল সার্টিফিকেট ও নিয়োগ সংক্রান্ত যাবতীয় বিষয়ে তদন্তের নির্দেশনা" (পিডিএফ)শিক্ষা মন্ত্রণালয়
  26. "অবশেষে কোচিংবাজ ৭২ শিক্ষককে শোকজ"দৈনিক যুগান্তর। ৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৮।
  27. "আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ: ১২৮ শিক্ষকের তালিকা দিয়েছেন অধ্যক্ষ"দৈনিক সমকাল। ৬ জুলাই ২০১৭।

বহিঃসংযোগ

This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.