অ্যাশলে ডি সিলভা
অ্যাশলে ম্যাথু ডি সিলভা (সিংহলি: ඈශ්ලි ද සිල්වා; জন্ম: ৩ ডিসেম্বর, ১৯৬৩) কলম্বো এলাকায় জন্মগ্রহণকারী সাবেক শ্রীলঙ্কান আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার, আম্পায়ার ও প্রশাসক। শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ১৯৮৬ থেকে ১৯৯৩ সময়কালে শ্রীলঙ্কার পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছেন। সেন্ট যোসেফের প্রথম প্রাক্তন শিক্ষার্থী হিসেবে টেস্ট ক্রিকেটে অংশগ্রহণের কৃতিত্বের অধিকারী তিনি।[1][2][3]
ব্যক্তিগত তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | অ্যাশলে ম্যাথু ডি সিলভা | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জন্ম | ৩ ডিসেম্বর, ১৯৬৩ কলম্বো, শ্রীলঙ্কা | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যাটিংয়ের ধরন | ডানহাতি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ভূমিকা | উইকেট-রক্ষক, আম্পায়ার, প্রশাসক | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
আন্তর্জাতিক তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জাতীয় দল |
| |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
টেস্ট অভিষেক (ক্যাপ ৫৫) | ১৩ মার্চ ১৯৯৩ বনাম ইংল্যান্ড | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ টেস্ট | ২৭ জুলাই ১৯৯৩ বনাম ভারত | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ওডিআই অভিষেক (ক্যাপ ৪৪) | ২ মার্চ ১৯৮৬ বনাম পাকিস্তান | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ ওডিআই | ২৫ জুলাই ১৯৯৩ বনাম ভারত | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ঘরোয়া দলের তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বছর | দল | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
১৯৮২ - ১৯৮৪ | তামিল ইউনিয়ন ক্রিকেট ও অ্যাথলেটিক ক্লাব | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
১৯৮৬ - ১৯৯৬ | কলম্বো ক্রিকেট ক্লাব | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
আম্পায়ারিং তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
এলএ আম্পায়ার | ১ (২০১১) | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ৪ মে ২০২০ |
ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর শ্রীলঙ্কান ক্রিকেটে কলম্বো দলের প্রতিনিধিত্ব করেন। দলে তিনি মূলতঃ উইকেট-রক্ষক হিসেবে খেলতেন। এছাড়াও, ডানহাতে ব্যাটিং করতেন অ্যাশলে ডি সিলভা।
প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট
রোমান ক্যাথলিক পরিবারের সন্তান তিনি। কলম্বোর সেন্ট যোসেফ কলেজে পড়াশুনো করেন। চারবার সেন্টস ব্যাটলের সদস্যরূপে কলম্বোর সেন্ট পিটার্স কলেজের বিপক্ষে সাংবার্ষিক খেলেন। তন্মধ্যে, ১৯৮২ সালের শেষ খেলায় দলের অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেছিলেন।
১৯৮৪-৮৫ মৌসুম থেকে ১৯৯৫-৯৬ মৌসুম পর্যন্ত অ্যাশলে ডি সিলভা’র প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান ছিল। ঘরোয়া ক্রিকেটে বেশ অভিজ্ঞতাপুষ্ট খেলোয়াড় হিসেবে সুনাম কুড়ান। ১৯৮৪ সালে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে প্রথমবারের মতো খেলতে নামেন। এরপর থেকে আশির দশক থেকে নব্বুইয়ের দশকের শুরুরদিক পর্যন্ত কলম্বো ক্রিকেট ক্লাবে নিয়মিতভাবে খেলতে থাকেন।
লাকস্প্রে ট্রফিতে তামিল ইউনিয়ন ক্রিকেট ও অ্যাথলেটিক ক্লাবের পক্ষে ঘরোয়া পর্যায়ের ক্রিকেটে খেলতে শুরু করেন। এরপর তিনি কলম্বো ক্রিকেট ক্লাবে চলে যান। ১৯৮৯ সালে ঐ প্রতিযোগিতাটি প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটের মর্যাদা লাভকালীন তিনি খেলতে থাকেন।[2][3][4]
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট
সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে তিনটিমাত্র টেস্ট ও চারটিমাত্র একদিনের আন্তর্জাতিকে অংশগ্রহণ করেছেন অ্যাশলে ডি সিলভা। ১৩ মার্চ, ১৯৯৩ তারিখে কলম্বোয় সফরকারী ইংল্যান্ড দলের বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। ২৭ জুলাই, ১৯৯৩ তারিখে একই মাঠে সফরকারী ভারত দলের বিপক্ষে সর্বশেষ টেস্টে অংশ নেন তিনি।
শ্রীলঙ্কা দলে মানসম্পন্ন টেস্ট উইকেট-রক্ষকের ঘাটতি থাকায় ইংল্যান্ডের বিপক্ষে একমাত্র টেস্টে অংশগ্রহণের জন্যে তার ডাক পড়ে। ঐ টেস্টে শ্রীলঙ্কা দল প্রথমবারের মতো জয়লাভের কৃতিত্ব দেখায়। তবে, তিনি খেলায় মাত্র ৯ রান, একটি ক্যাচ ও একটি স্ট্যাম্পিং করেছিলেন।
কয়েকবার কৃতিত্বের স্বাক্ষর রাখলেও ব্যাট হাতে ব্যর্থ হয়েছিলেন। কোন ইনিংসেই দুই অঙ্কের কোটা স্পর্শ করতে পারেননি অ্যাশলে ডি সিলভা। এরফলে, জাতীয় দল থেকে তাকে উপেক্ষিত হতে হয়। সর্বাধিক রান খরচে সাবেক শ্রীলঙ্কান টেস্ট ক্রিকেটারদের তালিকায় তার নাম অন্তর্ভুক্ত হয়ে যায়।
অবসর
ক্রিকেট খেলা থেকে অবসর গ্রহণের পর রেফারির ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছিলেন তিনি। পাশাপাশি, ২০১১ সালে লিস্ট এ ক্রিকেটের একটি খেলায় আম্পায়ারের দায়িত্ব পালন করেছিলেন।[5][6][7]
২০১৩ সালে শ্রীলঙ্কা ক্রিকেটে ভারপ্রাপ্ত সিইও হিসেবে নিযুক্তি লাভ করেন। পরবর্তীতে, শ্রীলঙ্কা ক্রিকেটের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে স্থায়ীভাবে দায়িত্ব পালন করছেন।[1][8]
তথ্যসূত্র
- Epasinghe, Premasara (৩০ মার্চ ২০১৩)। "Ashley de Silva New SLC CEO"। Daily News। Colombo: Associated Newspapers of Ceylon। সংগ্রহের তারিখ ৩১ ডিসেম্বর ২০১৯।
- Epasinghe, Premasara (১৪ মার্চ ২০০৫)। "Ashley de Silva - first Josephian Test player"। Daily News। Colombo: Associated Newspapers of Ceylon। সংগ্রহের তারিখ ৩১ ডিসেম্বর ২০১৯।
- "Miscellaneous Matches played by Ashley de Silva"। CricketArchive। সংগ্রহের তারিখ ৩১ ডিসেম্বর ২০১৯।
- "First-Class Matches played by Ashley de Silva"। CricketArchive। সংগ্রহের তারিখ ৩১ ডিসেম্বর ২০১৯।
- "Ashley de Silva as Referee in First-Class Matches"। CricketArchive। সংগ্রহের তারিখ ৩১ ডিসেম্বর ২০১৯।
- "Ashley de Silva as Referee in List A Matches"। CricketArchive। সংগ্রহের তারিখ ৩১ ডিসেম্বর ২০১৯।
- "Ashley de Silva as Umpire in List A Matches"। CricketArchive। সংগ্রহের তারিখ ১ জানুয়ারি ২০২০।
- "Ashley de Silva appointed acting CEO of SLC"। Daily FT (English ভাষায়)। ২৬ মার্চ ২০১৩। সংগ্রহের তারিখ ১ জানুয়ারি ২০২০।
আরও দেখুন
বহিঃসংযোগ
- ইএসপিএনক্রিকইনফোতে অ্যাশলে ডি সিলভা (ইংরেজি)
- ক্রিকেটআর্কাইভে অ্যাশলে ডি সিলভা (সদস্যতা প্রয়োজনীয়) (ইংরেজি)