অ্যালেস্টার মেয়ারগিদি
অ্যালেস্টার মেয়ারগিদি (ইংরেজি: Alester Maregwede; জন্ম: ৫ আগস্ট, ১৯৮১) হারারে এলাকায় জন্মগ্রহণকারী সাবেক জিম্বাবুয়ীয় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার। জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ২০০০-এর দশকের শুরুরদিকে সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্যে জিম্বাবুয়ের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছেন।[1][2][3]
ব্যক্তিগত তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | অ্যালেস্টার মেয়ারগিদি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জন্ম | হারারে, জিম্বাবুয়ে | ৫ আগস্ট ১৯৮১|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যাটিংয়ের ধরন | ডানহাতি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ভূমিকা | উইকেট-রক্ষক | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
আন্তর্জাতিক তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জাতীয় দল |
| |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
টেস্ট অভিষেক (ক্যাপ ৬২) | ৬ মে ২০০৪ বনাম শ্রীলঙ্কা | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ টেস্ট | ১৪ মে ২০০৪ বনাম শ্রীলঙ্কা | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ওডিআই অভিষেক (ক্যাপ ৭৬) | ৩০ নভেম্বর ২০০৩ বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ ওডিআই | ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০০৫ বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ২ আগস্ট ২০২০ |
ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর জিম্বাবুয়ীয় ক্রিকেটে ম্যাশোনাল্যান্ড, ম্যাশোনাল্যান্ড এ, সাউদার্ন রক্স ও জিম্বাবুয়ীয় ক্রিকেট একাডেমি দলের প্রতিনিধিত্ব করেন। দলে তিনি মূলতঃ উইকেট-রক্ষক হিসেবে খেলতেন। এছাড়াও, ডানহাতে মাঝারিসারিতে ব্যাটিংয়ে পারদর্শী ছিলেন তিনি।
শৈশবকাল
হারারের শহরতলী হাইফিল্ড এলাকায় মেয়ারগিদি’র জন্ম। সেখানেই তিনি তার শৈশবকাল অতিবাহিত করেন। চিপেমবেরে প্রাইমারি স্কুলে প্রথম ক্রিকেট খেলায় অংশ নেন। ১১ বছর বয়সে প্রথমবারের মতো প্রকৃত খেলায় অংশগ্রহণ করেন তিনি। হাইফিল্ডের সদস্যরূপে হাই গ্লেন নির্বাচিত একাদশের পক্ষে খেলেন ও অন্য কেউ গ্লাভস হাতে না নেয়ায় তিনি উইকেট-রক্ষকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছিলেন। সাত নম্বরে ব্যাটিংয়ে নামেন। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৪২ রান করেন। হাইফিল্ডের অধিনায়কের দায়িত্বে থাকেন। তার নেতৃত্বে আন্তঃশহরতলী প্রতিযোগিতায় হাইফিল্ড শিরোপা জয় করে। জেডসিইউ বৃত্তিধারী হন ও প্রিন্স এডওয়ার্ড স্কুলে ভর্তি হন। তবে, চার্চিল স্কুলে বোর্ডের প্রয়োজনে চলে যান।
প্রথম বর্ষে থাকাকালেই দক্ষিণ আফ্রিকা গমনার্থে জিম্বাবুয়ে উন্নয়ন একাদশ দলের অধিনায়ক হিসেবে তাকে মনোনীত করা হয়। ঐ সফরে তিনি ৬৪ গড়ে রান তুলেছিলেন। কেবলমাত্র একটি খেলায় পরাজিত হয়েছিল তার দল। চার্চিলের প্রথম একাদশ দলের পক্ষে উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান ও উইকেট-রক্ষক হিসেবে খেলেন।
নিজস্ব ১৬শ জন্মদিন উদযাপনের অল্প কয়েকদিন পরই প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে অভিষেক পর্ব সম্পন্ন হয় অ্যালেস্টার মেয়ারগিদি’র। একাডেমিতে যোগদানের পূর্বে দুইবার অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের আসরে খেলেন। ম্যাশোনাল্যান্ডের বিপক্ষে ৫৯ ও মিডল্যান্ডসের বিপক্ষে ৫২ রান করেন। প্রথম চার খেলায় তার ব্যাটিং গড় ছিল ৪১। এরপর থেকেই জিম্বাবুয়ে এ বোর্ড একাদশ দলের পক্ষে নিয়মিতভাবে খেলতে থাকেন। জিম্বাবুয়ে এ দলের সহকারী অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি।
প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট
১৯৯৭-৯৮ মৌসুম থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত অ্যালেস্টার মেয়ারগিদি’র প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান ছিল। লোগান কাপে মিডল্যান্ডস দলের পক্ষে খেলতেন। লোগান কাপে ম্যাশোনাল্যান্ড এ-এর সদস্যরূপে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। ম্যাশোনাল্যান্ডের বিপক্ষে ঐ খেলায় ১৬ বছর বয়সী অ্যালেস্টার মেয়ারগিদি ৫ ও ১৯ রান তুলতে সক্ষম হন।
কৈশোরে বেশ প্রতিশ্রুতিশীল উইকেট-রক্ষক-ব্যাটসম্যানের ভূমিকা নিয়ে অগ্রসর হয়েছিলেন। ২০০০ সালে জিম্বাবুয়েভিত্তিক সিএফএক্স একাডেমির প্রকৃত ছাত্র ছিলেন। সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্যে তাকে জাতীয় দলে প্রেরণ করা হয়। কিন্তু, তাতেন্দা তাইবু, ব্রেন্ডন টেলর, চার্লস কভেন্ট্রি ও রেজিস চাকাভা’র ন্যায় উইকেট-রক্ষকদের সাথে শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়ে তুলতে পারেননি।
২০০০ সালে সিএফএক্স একাডেমিতে মেয়ারগিদি ভর্তি হন। ফলে, বিদ্যালয়ের শেষ বর্ষ সমাপণ করতে পারেননি। একাডেমি দলের পক্ষে লোগান কাপে দুইটি অর্ধ-শতরান সহযোগে ৪১ গড়ে রান তুলেন। এরপর, ম্যাশোনাল্যান্ড দলে চলে যান। দুইটি শতরান ও দশটি অর্ধ-শতরানের ইনিংস খেলেন তিনি।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট
সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে দুইটিমাত্র টেস্ট ও এগারোটি একদিনের আন্তর্জাতিকে অংশগ্রহণ করেছেন অ্যালেস্টার মেয়ারগিদি। সবগুলো টেস্টই শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে খেলেছিলেন তিনি। ৬ মে, ২০০৪ তারিখে হারারেতে সফরকারী শ্রীলঙ্কা দলের বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। এরপর, ১৪ মে, ২০০৪ তারিখে বুলাওয়েতে একই দলের বিপক্ষে সর্বশেষ টেস্টে অংশ নেন তিনি।
২০০৩-০৪ মৌসুমে ওয়েস্ট ইন্ডিজ গমনার্থে তাকে প্রথমবারের মতো জিম্বাবুয়ে দলের সদস্যরূপে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। দলে অনেক খেলোয়াড় আসা-যাওয়ার পালায় অবস্থান করলেও তিনি নিয়মিতভাবে খেলতে থাকেন। টেস্টে অভিষেকের পূর্বে ২০০৩ সালে সফরকারী ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে অভিষেক পর্ব সম্পন্ন হয় তার। পাঁচ বল মোকাবেলা করে শূন্য রানে বিদেয় নেন। এরপর, ২০০৪ সালে বিদ্রোহী খেলোয়াড়দের ঘাটতি মোকাবেলায় তাকে পুনরায় দলে খেলানো হয়। হারারে স্পোর্টস ক্লাবে সফরকারী শ্রীলঙ্কা দলের বিপক্ষে টেস্ট অভিষেক হয় তার। ০ ও ২২ রান করেন ও অভিজ্ঞতাহীন খেলোয়াড়দের নিয়ে গড়া জিম্বাবুয়ে দল ইনিংস ও ২৪১ রানে পরাভূত হয়।
তারপরও কিছু সময়ের জন্যে জাতীয় দল নির্বাচকমণ্ডলীর নজরে ছিলেন। ২০০৭ সালে জিম্বাবুয়ে এ ও জিম্বাবুয়ে প্রভিন্সেস দলে খেলেন। তবে, জাতীয় দলের ৩০-সদস্যের তালিকায় তাকে রাখা হয়নি। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে উপেক্ষিত হলেও ঘরোয়া পর্যায়ের ক্রিকেটে নিজেকে উইকেট-রক্ষক-ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলে যাচ্ছেন। ঘরোয়া পর্যায়ে অন্যতম অভিজ্ঞতাসম্পন্ন খেলোয়াড় হিসেবে সাউদার্ন রক্সের সদস্যরূপে খেলছেন।
ব্যক্তিগত জীবন
স্টিভ ওয়াহসহ অনেক জিম্বাবুয়ীয়ের ন্যায় অ্যান্ডি ফ্লাওয়ার তার প্রিয় তারকা খেলোয়াড় ছিলেন। অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেট বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৬৪ রান তুলেন। এটিই তার স্বর্ণালী মুহূর্ত ছিল।
ক্রিকেট খেলার পাশাপাশি স্প্রিন্টার, রাগবি ও হকি খেলায় দক্ষ ছিলেন। চার্চিলের পক্ষে রাগবি ও হকি দলের প্রথম একাদশে খেলেন। ভ্রমণ করতে ভালোবাসেন। ক্রিকেট খেলার সুবাদে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ভ্রমণের সুযোগ পেয়েছেন। ২০ বছরের মধ্যে মিলদুরা সেটলার্স ক্রিকেট ক্লাবসের প্রথম প্রিমিয়ারশীপ বিজয়ে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সদস্য ছিলেন।
তথ্যসূত্র
- "Players / Zimbabwe / ODI caps"। Cricinfo। সংগ্রহের তারিখ ২ আগস্ট ২০২০।
- "Zimbabwe ODI Batting Averages"। Cricinfo। সংগ্রহের তারিখ ২ আগস্ট ২০২০।
- "Zimbabwe ODI Bowling Averages"। Cricinfo। সংগ্রহের তারিখ ২ আগস্ট ২০২০।
আরও দেখুন
বহিঃসংযোগ
- ইএসপিএনক্রিকইনফোতে অ্যালেস্টার মেয়ারগিদি (ইংরেজি)
- ক্রিকেটআর্কাইভে অ্যালেস্টার মেয়ারগিদি (সদস্যতা প্রয়োজনীয়) (ইংরেজি)