অ্যালান হার্স্ট
অ্যালান জর্জ হার্স্ট (ইংরেজি: Alan Hurst; জন্ম: ১৫ জুলাই, ১৯৫০) ভিক্টোরিয়া প্রদেশের অল্টোনা এলাকায় জন্মগ্রহণকারী সাবেক অস্ট্রেলীয় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার। এছাড়াও, তিনি আইসিসি’র ম্যাচ রেফারি হিসেবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলা পরিচালনা করেছেন। ১৯৭৫ থেকে ১৯৭৯ সময়কালে অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দলের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন। দলে তিনি মূলতঃ ডানহাতি ফাস্ট বোলার ছিলেন। পাশাপাশি ডানহাতে ব্যাটিং করতেন তিনি। ১৯৭০-এর দশকে প্রচলিত অস্ট্রেলীয় ফাস্ট বোলারদের ন্যায় বিরাট গোঁফ, পেশীবহুল, বিস্তৃত কাঁধ ও ঘন চুলের বৈশিষ্ট্য নিয়ে খেলতেন অ্যালান হার্স্ট। ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে ভিক্টোরিয়ার প্রতিনিধিত্ব করেছেন তিনি।
ব্যক্তিগত তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | অ্যালান জর্জ হার্স্ট | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জন্ম | অল্টোনা, ভিক্টোরিয়া, অস্ট্রেলিয়া | ১৫ জুলাই ১৯৫০|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যাটিংয়ের ধরন | ডানহাতি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বোলিংয়ের ধরন | ডানহাতি ফাস্ট | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ভূমিকা | বোলার | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
আন্তর্জাতিক তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জাতীয় দল | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
টেস্ট অভিষেক (ক্যাপ ২৬৯) | ২৬ জানুয়ারি ১৯৭৪ বনাম নিউজিল্যান্ড | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ টেস্ট | ১৯ সেপ্টেম্বর ১৯৭৯ বনাম ভারত | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ওডিআই অভিষেক (ক্যাপ ২৬) | ১ জানুয়ারি ১৯৭৫ বনাম ইংল্যান্ড | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ ওডিআই | ১৬ জুন ১৯৭৯ বনাম কানাডা | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ঘরোয়া দলের তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বছর | দল | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
১৯৭২/৭৩-১৯৮০/৮১ | ভিক্টোরিয়া বুশর্যাঞ্জার্স | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উৎস: ক্রিকেটআর্কাইভ, ২২ সেপ্টেম্বর ২০১৫ |
খেলোয়াড়ী জীবন
নিজস্ব দ্বিতীয় প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট মৌসুমে হার্স্ট নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে একটিমাত্র টেস্টে অংশ নেন। মূলতঃ দল নির্বাচকমণ্ডলী ঐ বছরের শেষদিকে অ্যাশেজ সফরের দলের সদস্য নির্বাচনের লক্ষ্যে পরীক্ষামূলকভাবে নবীনদেরকে অধিক সুযোগ দেয়ার জন্য তাকে দলে নিয়েছিলেন।[1] জিওফ ডাইমক ও অ্যাশলে উডককের সাথে তারও একযোগে অভিষেক ঘটে। অস্ট্রেলিয়া দল খুব সহজেই ইনিংস ও ৫৭ রানে জয় পায়।[2][3]
২৬ জানুয়ারি, ১৯৭৪ তারিখে অ্যাডিলেডে অনুষ্ঠিত ঐ টেস্টে তিনি কেবলমাত্র কিউই তারকা গ্লেন টার্নারের মূল্যবান উইকেট দখল করতে পেরেছিলেন। ফলশ্রুতিতে দলনায়ক ইয়ান চ্যাপেলের অনুরোধ উপেক্ষা করে নির্বাচকমণ্ডলী কয়েক সপ্তাহ পর শুরু হতে যাওয়া নিউজিল্যান্ড সফরের জন্য তাকে দলে নেয়নি। দলের অন্যতম তারকা খেলোয়াড় ডেনিস লিলি পিঠের ব্যথায় আক্রান্ত হওয়ায় চ্যাপেল তাকে লিলি’র সাথে দেশের সর্বাপেক্ষা দ্রুতগতিসম্পন্ন বোলাররূপে চিহ্নিত করেছিলেন।[4] জেফ থমসনের আবির্ভাবে ১৯৭৪ সালে তাকে দলে নেয়া হয়নি। তা স্বত্ত্বেও হার্স্টকে নির্বাচকমণ্ডলী প্রাথমিক তালিকায় রেখেছিলেন। ইংল্যান্ডে অনুষ্ঠিত ১৯৭৫ সালের ক্রিকেট বিশ্বকাপের উদ্বোধনী আসরে তাকে নেয়া হয়। কিন্তু পুনরায় লিলি-থমসন জুটির প্রাধান্যতায় টেস্ট কিংবা ওডিআই খেলতে পারেননি তিনি।
পার্থের দ্রুতগতিসম্পন্ন পীচে পাকিস্তানের বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্টে নয় উইকেট পান। এরফলে ১৯৭৯ সালের ক্রিকেট বিশ্বকাপে খেলার সুযোগ পান। ঐ বছরের অক্টোবরে ভারত সফরে যান। কিন্তু, দুই টেস্টে অংশ নিয়েও তিনি উইকেটবিহীন ছিলেন।
অবসর
গুরুতর পিঠের আঘাতে আক্রান্ত হলে তাকে দেশে ফেরত পাঠানো হয়। ফলশ্রুতিতে তাকে সকল স্তরের ক্রিকেট থেকে অবসর নিতে হয়।[5] তবে, ১৯৮০-৮১ মৌসুমে সংক্ষিপ্তকালের জন্য ভিক্টোরিয়ার পক্ষে খেলেছেন।
আউটফিল্ডে তিনি দৌঁড়ুতে বেশ পটু ছিলেন। এছাড়া, পেস বোলিংয়েও প্রাধান্য ছিল। কিন্তু নিচের সারির ব্যাটসম্যান হিসেবে তার ব্যাটিং পরিসংখ্যান মোটেও সুবিধের ছিল না। ২০ টেস্ট ইনিংসের মধ্যে ১০বারই শূন্য রান পেয়েছেন। তন্মধ্যে ১৯৭৮-৭৯ মৌসুমের অ্যাশেজ সিরিজে দুইবার জোড়া শূন্য পেয়ে রেকর্ড গড়েন।
ম্যাচ রেফারি
২০০৪ সালে আইসিসি’র ম্যাচ রেফারি হিসেবে নিযুক্ত হন তিনি। ঢাকায় অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ বনাম নিউজিল্যান্ডের মধ্যকার টেস্ট খেলা পরিচালনা করেন তিনি। ২০১১ সাল পর্যন্ত সর্বমোট ৪৫ টেস্টে তার উপস্থিতি ছিল।[6] এছাড়াও ১৯ মার্চ, ২০১৪ তারিখ পর্যন্ত ২৬টি টুয়েন্টি২০ আন্তর্জাতিক পরিচালনা করেছেন অ্যালান হার্স্ট।[7]
তথ্যসূত্র
- Whitington, RS (১৯৭৪)। The Courage Book Of Australian Test Cricket। Melbourne, Australia: Wren। পৃষ্ঠা 334–5।
- http://www.espncricinfo.com/ci/engine/match/63116.html
- "Batsman's paradise awaits a flick of a coin"। The Canberra Times। 48, (13,654)। Australian Capital Territory, Australia। ২৬ জানুয়ারি ১৯৭৪। পৃষ্ঠা 36। সংগ্রহের তারিখ ১৭ মার্চ ২০১৭ – National Library of Australia-এর মাধ্যমে।
- Chappell, IM (১৯৭৬)। Chappelli। Melbourne, Australia: Hutchinson Group। পৃষ্ঠা 102।
- Smith, Rick (১৯৯৩)। ABC Guide to Australian Cricketers। Sydney: ABC Books। আইএসবিএন 0-7333-0321-8।
- "Most matches as a referee: Test"। Cricinfo। সংগ্রহের তারিখ ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১০।
- "Most matches as a referee: T20I"। Cricinfo। সংগ্রহের তারিখ ২২ সেপ্টেম্বর ২০১৪।
বহিঃসংযোগ
- ইএসপিএনক্রিকইনফোতে অ্যালান হার্স্ট (ইংরেজি)
- ক্রিকেটআর্কাইভে অ্যালান হার্স্ট (সদস্যতা প্রয়োজনীয়) (ইংরেজি)