অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল

অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল (ইংরেজি: Amnesty International) একটি মানবাধিকার বিষয়ক আন্তর্জাতিক বেসরকারী সংস্থা। আন্তর্জাতিক পর্যায়ে মানবাধিকার বিষয়ের উত্তরণ ও মর্যাদা রক্ষায় জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে গৃহীত সার্বজনীন মানব অধিকার সংক্রান্ত ঘোষণাপত্র বাস্তবায়নে সংস্থাটি একযোগে কাজ করে যাচ্ছে। সংস্থাটি ১৯৬১ সালে যুক্তরাজ্যে স্থাপিত হয়। এর সদর দপ্তর লন্ডনে অবস্থিত।

অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল
নীতিবাক্যঅন্ধকারকে অভিশাপ দেওয়ার চেয়ে একটি মোমবাতি জ্বালানো উত্তম।[1]
প্রতিষ্ঠাকালজুলাই ১৯৬১ (1961-07)
যুক্তরাজ্য
প্রতিষ্ঠাতাপিটার বেনেনসন
ধরনঅলাভজনক
আইএনজিও
সদরদপ্তরলন্ডন, ইংল্যান্ড, যুক্তরাজ্য
অবস্থান
  • বৈশ্বিক
পরিষেবামানবাধিকার রক্ষা
ক্ষেত্রসমূহআইনি সমর্থন, মিডিয়া মনোযোগ, সরাসরি আপীল প্রচারণা, গবেষণা, তদবির
সদস্য
৭ মিলিয়নের বেশি সদস্য এবং সমর্থক
মহাসচিব
ড. অ্যাগনেস কাল্লামার্ড (ফ্রান্স)
ওয়েবসাইটamnesty.org
অটোয়ায় অ্যামনেস্টি কানাডিয়ান সদর দপ্তর।

সংস্থাটিকে ১৯৭৭ সালে নোবেল শান্তি পুরস্কার এবং ১৯৭৮ সালে জাতিসংঘ মানবাধিকার পুরস্কার দেওয়া হয়।

ইতিহাস

২০২০ সালের ১০ সেপ্টেম্বর সংস্থাটির ব্যাংক একাউন্ট অবরুদ্ধ করে ভারত সরকার। ফলে কার্যক্রম পরিচালনা করতে না পারায় ২৯ সেপ্টেম্বর ভারতে এর কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করা হয়।

সংস্থাটি ভারতে সংখ্যা লঘু নির্যাতন, মুসলিম পিটিয়ে হত্যা, দিল্লি দাঙ্গায় পুলিশের ভূমিকা, ভারত শাসিত কাশ্মীরের মানবাধিকার ইত্যাদি নিয়ে সরব ছিল।

সংস্থাটি ভারত সরকারের এ ধরনের পদক্ষেপকে ভয়ঙ্কর ও লজ্জাজনক এবং প্রতিশোধমূলক আচরণ হিসেবে অবহিত করে। [2][3][4]

মহাসচিব

নাম মেয়াদকাল দেশ
Peter Benenson পিটার বেনেনসন ১৯৬১-১৯৬৬ ব্রিটেন
Eric Baker এরিক বেকার ১৯৬৬-১৯৬৮ ব্রিটেন
Martin Ennals মার্টিন ইনালস্‌ ১৯৬৮-১৯৮০ ব্রিটেন
Thomas Hammarberg থমাস হ্যামারবার্গ ১৯৮০-১৯৮৬ সুইডেন
Avery Brundage ইয়ান মার্টিন ১৯৮৬-১৯৯২ ব্রিটেন
Pierre Sané পিয়েরে সেনে ১৯৯২-২০০১ সেনেগাল
Irene Zubaida Khan আইরিন খান ২০০১-২০১০ বাংলাদেশ
Salil Shetty সলিল শেঠি ২০১০-২০১৮ ভারত
Kumi Naidoo কুমি নাইডু ২০১৮-বর্তমান দক্ষিণ আফ্রিকা

উদ্দেশ্য

প্রধান কতকগুলো বিষয়াবলীকে ঘিরে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল বিশ্বব্যাপী কাজ করে যাচ্ছে।[5] সেগুলো হচ্ছে -

  • নারী, শিশু, সংখ্যালঘুআদিবাসী সম্প্রদায়ের অধিকার রক্ষাকরণ
  • নারী নির্যাতন বন্ধকরণ
  • বিচার ব্যবস্থায় নির্যাতন বন্ধ ও যুদ্ধ ভীতি বন্ধে সহায়তাকরণ
  • দারিদ্র্যের শিকারে পর্যদুস্ত ব্যক্তির অধিকার ও মর্যাদাপ্রাপ্তিতে সহায়তাকরণ
  • মৃত্যুদণ্ডাদেশ রহিতকরণ
  • অভিবাসীশরণার্থীদের অধিকার রক্ষাকরণ
  • ন্যায়বিচারের স্বার্থে কারাদণ্ডে দণ্ডিত ব্যক্তির অধিকার রক্ষাকরণ
  • মানুষের মর্যাদা রক্ষাকরণ
  • বৈশ্বিক পর্যায়ে অস্ত্র ব্যবসায় নিয়ন্ত্রণ

পুরস্কার ও সম্মননা

তথ্যসূত্র

  1. "History – The Meaning of the Amnesty Candle"। Amnesty International। ১৮ জুন ২০০৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৪ জুন ২০০৮
  2. "ভারতে সরকারের 'প্রতিশোধে' পাট গোটাতে বাধ্য হল অ্যামনেস্টি"BBC News বাংলা। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৯-২৯
  3. "'প্রতিশোধমূলক' আচরণে ভারতে কার্যক্রম স্থগিত করলো অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল"The Daily Star Bangla। ২০২০-০৯-২৯। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৯-২৯
  4. "ভারতে কার্যক্রম স্থগিত করল অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল"m.bdnews24.com। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৯-২৯
  5. "Amnesty International. "About Amnesty International." http://www.amnesty.org/en/who-we-are/about-amnesty-international (accessed November 10, 2010)."। ডিসেম্বর ২৫, ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ জানুয়ারি ১৯, ২০১৩ |title= এ বহিঃসংযোগ দেয়া (সাহায্য)

আরও দেখুন

This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.