অ্যান্থনি ম্যাকগ্রা
অ্যান্থনি ম্যাকগ্রা (ইংরেজি: Anthony McGrath; জন্ম: ৬ অক্টোবর, ১৯৭৫) পশ্চিম ইয়র্কশায়ারের ব্রাডফোর্ড এলাকায় জন্মগ্রহণকারী ইংরেজ কোচ ও সাবেক আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার।[2] ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ২০০০-এর দশকের শুরুরদিকে সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্যে ইংল্যান্ডের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছেন।
ব্যক্তিগত তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | অ্যান্থনি ম্যাকগ্রা | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জন্ম | ব্রাডফোর্ড, পশ্চিম ইয়র্কশায়ার, ইংল্যান্ড | ৬ অক্টোবর ১৯৭৫|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ডাকনাম | ম্যাগস[1], গ্রিপার | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উচ্চতা | ৬ ফুট ২ ইঞ্চি (১.৮৮ মিটার) | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যাটিংয়ের ধরন | ডানহাতি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বোলিংয়ের ধরন | ডানহাতি মিডিয়াম | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ভূমিকা | অল-রাউন্ডার, কোচ | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
আন্তর্জাতিক তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জাতীয় দল |
| |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
টেস্ট অভিষেক (ক্যাপ ৬১৪) | ২২ মে ২০০৩ বনাম জিম্বাবুয়ে | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ টেস্ট | ৩১ জুলাই ২০০৩ বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ওডিআই অভিষেক (ক্যাপ ১৭৫) | ১৭ জুন ২০০৩ বনাম পাকিস্তান | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ ওডিআই | ৫ সেপ্টেম্বর ২০০৪ বনাম ভারত | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ওডিআই শার্ট নং | ৩০ | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ঘরোয়া দলের তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বছর | দল | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
১৯৯৫–২০১২ | ইয়র্কশায়ার (জার্সি নং ১০) | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ১২ জানুয়ারি ২০২১ |
ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর ইংরেজ কাউন্টি ক্রিকেটে ইয়র্কশায়ার দলের প্রতিনিধিত্ব করেন। দলে তিনি মূলতঃ অল-রাউন্ডার হিসেবে খেলতেন। ডানহাতে ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি ডানহাতে মিডিয়াম বোলিংয়ে পারদর্শী ছিলেন ‘গ্রিপার’ ডাকনামে পরিচিত অ্যান্থনি ম্যাকগ্রা। বর্তমানে তিনি এসেক্স দলের প্রধান কোচের দায়িত্বে রয়েছেন।
প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট
মার্টার্স কলেজিয়েট স্কুলে অধ্যয়ন করেছেন তিনি। ১৯৯৫ সাল থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত অ্যান্থনি ম্যাকগ্রা’র প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান ছিল। তন্মধ্যে, ২০০৩ ও ২০০৯ সালে ইয়র্কশায়ার দলের অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। রাগবি লীগ ও রাগবি ইউনিয়ন কোচ ড্যামিয়েন ম্যাকগ্রা’র কনিষ্ঠ ভ্রাতা তিনি।
পরিচ্ছন্ন ও উদীয়মান ব্যাটসম্যান হিসেবে ১৯ বছর বয়সে ১৯৯৫ সালে ইয়র্কশায়ার দলের পক্ষে খেলোয়াড়ী জীবনের সূত্রপাত ঘটান। তবে, ক্যাপ লাভ করেন ১৯৯৯ সালে।[2] মূলতঃ ড্রাইভের দিকেই অধিক মনোনিবেশ ঘটাতেন। ঐ বছরে উইজডেনে তার খেলোয়াড়ী জীবনের ভবিষ্যৎ সম্পর্কে উত্তরণের কথা প্রকাশ করা হয়। পরের মৌসুমে ৯৯৯ রান তুলে নাসের হুসেনের নেতৃত্বে পাকিস্তানে ইংল্যান্ড এ দলের সদস্যরূপে খেলার সুযোগ পান।
তবে, এর পরপরই তার খেলোয়াড়ী জীবন উল্টোদিকে বাঁক নেয়। তাকে দলে সুইং বোলার হিসেবে রাখা হয় ও মাঝে-মধ্যে কিছু দর্শনীয় ব্যাটিংশৈলী উপহার দিতেন। ২০০২ সালে ইয়র্কশায়ারের পক্ষে চ্যাম্পিয়নশীপের বোলিং গড়ে শীর্ষ স্থানে ছিলেন। ২৭.৬৬ গড়ে ১৮ উইকেট পান। পাশাপাশি ৩২.২২ গড়ে ৮০৩ রান তুলে ষষ্ঠ স্থান অধিকার করেছিলেন। এ পর্যায়ে গোলাপের খেলায় ব্যক্তিগত সেরা ১৬৫ রান করেন।
অধিনায়কত্ব লাভ
২০০৩ সালে ড্যারেন লেহম্যান কাউন্টি ক্রিকেট থেকে এক বছরের জন্যে না খেলার সিদ্ধান্ত নেন ও ইয়র্কশায়ার কর্তৃপক্ষ ইংল্যান্ড দলের খেলোয়াড় মাইকেল ভনকে অধিনায়কের অতিরিক্ত চাপ থেকে অব্যাহতি প্রদান করে অনেকটা বিস্ময়করভাবেই তাকে অধিনায়কের দায়িত্ব প্রদান করে। এর কয়েক সপ্তাহ পর জাতীয় দল নির্বাচকমণ্ডলীর কাছ থেকে আমন্ত্রণ বার্তা পান।
২০০৩ সালে অধিনায়কের দায়িত্বপ্রাপ্ত হন। তবে, এক বছর পরই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে মনোনিবেশ ঘটানোর লক্ষ্যে এ দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি নেন। ২০০৬ সালটি সফলতার সাথে অতিবাহিত করেন। ৬০-এর অধিক গড়ে ১,২৯৩ রান সংগ্রহ করেছিলেন তিনি। তবে, ক্লাবের ফলাফলে তার এ সাফল্য অনেকাংশেই ম্লান হয়ে পড়ে। অল্পের জন্যে দলটি কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশীপের প্রথম বিভাগ থেকে অবনমনের কবলে পড়েনি। ড্যারেন গফকে ইয়র্কশায়ারের অধিনায়কত্ব প্রদান এবং জ্যাকুয়েস রুডল্ফ ও ইউনুস খানকে চুক্তিবদ্ধ করার ফলে তিনি দলে অবস্থান করার সিদ্ধান্ত নেন।[3] এরপর, ইয়র্কশায়ার দলে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করেন ও দীর্ঘদিন দলে অবস্থানের আশাবাদ ব্যক্ত করেন।[4]
ঐ মৌসুমের শুরুতে ধীরলয়ে যাত্রা শুরু করেন তিনি। সম্ভবতঃ মৌসুম বহির্ভূত পরিবেশের কারণে তার এ অবস্থান। ২০০৬ সালের গ্রীষ্মকালে বেশ ফলপ্রসূ খেলেন। ৬০.০০ গড়ে রান সংগ্রহের পাশাপাশি আগস্টের শেষদিকে একদিনের খেলায় ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ১৪৮ রান তুলেন। তবে, ২০০৬ সালের শরৎকালে ইয়র্কশায়ার থেকে চলে যাবার কথা ভাবছিলেন। অধিনায়কত্ব থেকে নিজেকে প্রত্যাহার করাসহ তিন বছরের চুক্তি ছিন্ন করার বিষয়টি ড্যারেন গফের আবির্ভাবে দূরে সরিয়ে রাখেন। ২০০৮ সাল শেষে তাকে অধিনায়কের দায়িত্ব দেয়া হয় ও নতুন করে তিন বছরের চুক্তিতে উপনীত করা হয়। তবে, অধিনায়ক হিসেবে নিজেকে মেলে ধরতে পারেননি ও এ দায়িত্ব থেকে নিজেকে সরিয়ে নেন।
স্বর্ণালী সময়
২০০৭ সালে ওল্ড ট্রাফোর্ডে অনুষ্ঠিত একদিনের গোলাপের খেলায় ১৩৫ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন। এরপর, ফ্রেন্ডস প্রভিডেন্ট ট্রফিতে ডারহামের বিপক্ষে ও কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশীপে কেন্টের বিপক্ষে উপর্যুপরী শতরান করেন। তার এ চমৎকার ক্রীড়াশৈলী চ্যাম্পিয়নশীপের বৃষ্টিবিঘ্নিত খেলায়ও অব্যাহত রাখেন ও ব্যক্তিগত মাইলফলক গড়েন। ১৬ জুলাই, ২০০৭ তারিখে এজবাস্টনে ওয়ারউইকশায়ারের বিপক্ষে ১৮৮ রানের অপরাজিত ইনিংস উপহার দেন।
২০০৯ সালে তার ব্যাটিংয়ে ছন্দ ফিরে আসে। কোন ক্রমে ইয়র্কশায়ার অবনমনের হাতে থেকে বেঁচে যায়। ২০০৯ সালে ক্লাবের অধিনায়কের দায়িত্ব পান। তবে, ২০০৯ সালে দল পরিচালনা করা থেকে বিরত থাকেন। এ প্রসঙ্গে মন্তব্য করেন যে, দলকে নেতৃত্ব দেয়ার ফলে তার খেলার মানে বিরূপ প্রভাব ফেলেছে।[5] তাৎক্ষণিক ফলাফল পান। ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ রানকে ২১১ রানে স্ফীত করে তুলেন। এজবাস্টনে আবারও তিনি ওয়ারউইকশায়ারের বিপক্ষে এ সফলতা পান।
২০১০ সালেও আরও সফলতর মৌসুম অতিবাহিত করেন। ঐ বছর অ্যান্ড্রু গেলের পরিবর্তে ম্যাকগ্রাকে পুনরায় অধিনায়কত্ব করা হয়। এ অবস্থানে থেকে ২০১০ সালে ১,২১৯টি প্রথম-শ্রেণীর রান তুলেন। এরফলে, তৃতীয়বারের মতো সহস্র রানের মাইলফলক স্পর্শ করেন। এছাড়াও, ৪০ ও ২০-ওভারের প্রতিযোগিতায় সফলতার স্বাক্ষর রেখেছিলেন তিনি। কিন্তু, হাঁটুর আঘাত ও পাছার সমস্যা পরবর্তী দুই মৌসুমেও প্রভাব ফেলে। এরফলে, তার খেলার সম্ভাবনাকে সীমাবদ্ধ করে তুলে।[6] কয়েকটি খেলায় জয়সূচক ইনিংস খেলেন।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট
সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে চারটিমাত্র টেস্ট ও চৌদ্দটি একদিনের আন্তর্জাতিকে অংশগ্রহণ করেছেন অ্যান্থনি ম্যাকগ্রা। ২২ মে, ২০০৩ তারিখে লর্ডসে সফরকারী জিম্বাবুয়ে দলের বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। ৩১ জুলাই, ২০০৩ তারিখে একই মাঠে সফরকারী দক্ষিণ আফ্রিকা দলের বিপক্ষে সর্বশেষ টেস্টে অংশ নেন তিনি।
অ্যান্ড্রু ফ্লিনটফের আঘাতের কারণে ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি বোলিংয়ে দক্ষ খেলোয়াড় খুঁজছিলেন ও ম্যাকগ্রাকে এ অবস্থানে সঠিক বিবেচনায় দলে রাখা হয়। তাৎক্ষণিকভাবে এর প্রভাব ফেলেন। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে উপর্যুপরী অর্ধ-শতরানের ইনিংস খেলেন। নিজস্ব প্রথম ছয় ওভারে তিন উইকেট তুলে নেন তিনি। ইংল্যান্ডের কোচ ডানকান ফ্লেচার তাকে একদিনের ক্রিকেটেও যুক্ত করেন। তবে, ফিল্ডিংয়ের কারণে সুবিধে পাননি তিনি।
২২ মে, ২০০৩ তারিখে লর্ডসে সফরকারী জিম্বাবুয়ে দলের বিপক্ষে অ্যান্থনি ম্যাকগ্রা’র টেস্ট অভিষেক ঘটে। অভিষেক ইনিংসে ৬৯ রান তুলেন। পাশাপাশি, বল হাতে নিয়ে ৩/১৬ বোলিং পরিসংখ্যান গড়েন। দ্বিতীয় টেস্টেও ৮১ রান তুলে নিজস্ব দ্বিতীয় অর্ধ-শতরানের ইনিংস হাঁকান তিনি। তৃতীয় টেস্ট খেলেন দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে। এ পর্যায়ে ৩৪ রান করেন। নিজস্ব চতুর্থ ও চূড়ান্ত টেস্টে করেন ৪ ও ১৩ রান এবং ১/৪০ বোলিং পরিসংখ্যান গড়েন। এরপর, দল থেকে বাদ পড়েন তিনি।
অবসর
ক্রমাগত আঘাত ও হতাশায় কবলিত হয়ে ২০১৩ সালের পূর্বে অবসর গ্রহণের সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হন। ২০১২ সাল শেষে পেশাদারী পর্যায়ের ক্রিকেট খেলা থেকে অবসর গ্রহণ করেন।[1] ক্রিকেট থেকে অবসর গ্রহণের পর ইয়র্কশায়ার দলের পক্ষে কোচিং পরামর্শকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হন। ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সালে এসেক্সের সহকারী প্রধান কোচ হিসেবে মনোনীত হন। সাবেক ইয়র্কশায়ারীয় সহকর্মী ক্রিস সিলভারউডের সহকারী হন তিনি।[7]
নভেম্বর, ২০১৭ সালে এসেক্সের প্রধান কোচের পদ লাভ করেন। ২০১৯ সালে এসেক্সের দ্বৈত শিরোপা বিজয়ী দলকে কোচ হিসেবে পরিচালনা করেন ও প্রথমবার যে-কোন ক্লাবের পক্ষে এ সাফল্য পান। এক সপ্তাহের ব্যবধানে টি২০ ব্ল্যাস্ট ও কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশীপের শিরোপা জয় করে তার দল।
তথ্যসূত্র
- Warner, David (২০১৩)। The Yorkshire County Cricket Club: 2013 Yearbook (115th সংস্করণ)। Ilkley, Yorkshire: Great Northern Books। পৃষ্ঠা 36/44। আইএসবিএন 978-0-9572951-8-6।
- Warner, David (২০১১)। The Yorkshire County Cricket Club: 2011 Yearbook (113th সংস্করণ)। Ilkley, Yorkshire: Great Northern Books। পৃষ্ঠা 374। আইএসবিএন 978-1-905080-85-4।
- McGrath agrees to stay with Tykes BBC Sport 2 March 2007
- "McGrath vows to stay at Tykes"। Sky Sports.com। ১৬ জুলাই ২০০৭। সংগ্রহের তারিখ ১৭ জুলাই ২০০৭।
- "Anthony McGrath steps down as captain"। Yorkshire County Cricket Club। ১০ ফেব্রুয়ারি ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২১ ডিসেম্বর ২০০৯।
- "Anthony McGrath | Cricket Players and Officials"। ESPN Cricinfo। সংগ্রহের তারিখ ১৫ এপ্রিল ২০১৩।
- "Essex appoint McGrath as Yorkshire links stay strong"। Cricinfo। সংগ্রহের তারিখ ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৬।
আরও দেখুন
বহিঃসংযোগ
- ইএসপিএনক্রিকইনফোতে অ্যান্থনি ম্যাকগ্রা (ইংরেজি)
- ক্রিকেটআর্কাইভে অ্যান্থনি ম্যাকগ্রা (সদস্যতা প্রয়োজনীয়) (ইংরেজি)