অ্যান্ডি গ্যানটিউম
অ্যান্ড্রু অ্যান্ডি গর্ডন গ্যানটিউম (ইংরেজি: Andrew "Andy" Gordon Ganteaume; জন্ম: ২২ জানুয়ারি, ১৯২১ - মৃত্যু: ১৭ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬) ত্রিনিদাদ ও টোবাগো’র বেলমন্ট এলাকায় জন্মগ্রহণকারী ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিশিষ্ট আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার ছিলেন।[1][2] ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট দলের সদস্যরূপে ১৯৪৮ সালে একটিমাত্র টেস্টে অংশ নিয়েছিলেন।[3] একমাত্র টেস্ট ইনিংসে ১১২ রান করেন। এরফলে তিনি টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে ব্যাটিং গড়ে শীর্ষস্থান দখল করেন।[3]
ব্যক্তিগত তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | অ্যান্ড্রু গর্ডন গ্যানটিউম | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জন্ম | বেলমন্ট, ত্রিনিদাদ ও টোবাগো | ২২ জানুয়ারি ১৯২১|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
মৃত্যু | ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ ৯৫) | (বয়স|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যাটিংয়ের ধরন | ডানহাতি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ভূমিকা | উইকেট-রক্ষক | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
আন্তর্জাতিক তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জাতীয় দল | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
একমাত্র টেস্ট (ক্যাপ ৬০) | ১১ ফেব্রুয়ারি ১৯৪৮ বনাম ইংল্যান্ড | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ঘরোয়া দলের তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বছর | দল | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
১৯৪০-১৯৬৩ | ত্রিনিদাদ ও টোবাগো | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ১৮ অক্টোবর ২০১৭ |
ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে ত্রিনিদাদ দলের প্রতিনিধিত্ব করেছেন অ্যান্ডি গ্যানটিউম। এছাড়াও, জানুয়ারি, ২০১৬ সাল পর্যন্ত গ্যানটিউম ওয়েস্ট ইন্ডিজের সর্বাপেক্ষা প্রবীণ টেস্ট ক্রিকেটার ছিলেন।
প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট
ক্রিকেট খেলায় তার কোন প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা ছিল না। তাস্বত্ত্বেও ১৯৪১ সালে ১৯ বছর বয়সে উইকেট-রক্ষক হিসেবে ত্রিনিদাদ দলের পক্ষে অভিষেক ঘটে। আট নম্বরে ব্যাটিংয়ে নেমে ৮৭ তোলেন।[4] এরপর পরবর্তী কয়েক মৌসুম নিয়মিতভাবে ত্রিনিদাদের পক্ষে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট প্রতিযোগিতাসহ প্রথম-শ্রেণীবিহীন দ্বীপপুঞ্জের প্রতিযোগিতায় অংশ নেন গ্যানটিউম।[5] এছাড়াও, ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটের ইতিহাসে সর্বনিম্ন পূর্ণাঙ্গ ইনিংসে শীর্ষ রান সংগ্রাহক হিসেবেও চিত্রিত হয়ে আছেন। জুলাই, ১৯৪২ সালে ত্রিনিদাদের দলীয় সংগ্রহ মাত্র ১৬ হলে তিনি সর্বোচ্চ ৯ রান তোলেন বার্বাডোসের বিপক্ষে।[6] এ সময়ে ত্রিনিদাদ দলের পক্ষে ফুটবলেও অংশ নিয়েছিলেন। কিন্তু সরকারি চাকুরীতে কর্মরত থাকায় ক্রীড়ায় অংশগ্রহণে তার সীমাবদ্ধতা ছিল।
মাঝারিসারিতে ব্যাটিংয়ে নামতেন তিনি। পরবর্তীতে উইকেট-রক্ষণে পীচ পর্যবেক্ষণে সম্পৃক্ততা থাকায় উইকেট-রক্ষকেরা ব্যাটিং উদ্বোধনে ভাল করবেন এ ধারনার বশবর্তী হয়ে তাকে শুরুতেই নামানো হয়েছে। কিন্তু গ্যানটিউম এ তত্ত্বে বিশ্বাসী ছিলেন না ও ব্যাটিং উদ্বোধনে তেমন স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেননি।[4] ১৯৪৬ সালে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে অভিষেক সেঞ্চুরি হাঁকান। পরের বছর আরও একটি সেঞ্চুরি করেন।[5]
টেস্ট ক্রিকেট
১৯৪৭-৪৮ মৌসুমে সফরকারী ইংল্যান্ড দলের বিপক্ষে ত্রিনিদাদে অনুষ্ঠিত প্রথম খেলায় তিনি ১০১ ও অপরাজিত ৪৭* রান তোলেন। ব্যাটিং উপযোগী পীচে ধীরগতিতে রান সংগ্রহ করায় সাংবাদিকদের কাছ থেকে ব্যাপক সমালোচনার মুখোমুখি হন।[4] দ্বিতীয় খেলায় ৫ ও ৯০ রান তুললেও তার দূর্বল ক্রীড়াশৈলীর ফলে টেস্ট দলে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। কিন্তু, উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান জেফ স্টলমেয়ারের আঘাতপ্রাপ্তিতে শূন্যস্থান পূরণে তাকে দলে নেয়া হয়।[4]
১৯৪৮ সালে চমকপ্রদ ব্যাটিং নৈপুণ্যতার স্বাক্ষর রাখায় ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট খেলায় তাকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। পোর্ট অব স্পেনের কুইন্স পার্ক ওভালে প্রথম উইকেট জুটিতে জর্জ ক্যারিও’র সাথে ১৭৩ রানের জুটি গড়েন। নিজে করেন ১১২ রান। কিন্তু অত্যন্ত ধীরগতিতে রান সংগ্রহ করায় তাকে দল থেকে বাদ দেয়া হয়। এরপর আর তাকে কোন টেস্ট খেলায় দেখা যায়নি; যদিও ৩৬ বছর বয়সে ১৯৫৭ সালে ইংল্যান্ড সফরে দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি।[4]
অবসর
১৯৭৩-৭৪ মৌসুমে গ্যানটিউম দলীয় ম্যানেজারের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছিলেন।[7] ২০০৭ সালে নিজস্ব আত্মজীবনী 'মাই স্টোরি: দি আদার সাইড অব দ্য কয়েন' প্রকাশ করেন। গ্রন্থে তিনি তার খেলোয়াড়ী জীবনে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ভূমিকা নিয়ে সমালোচনা করেন।[8] ২০১৫ সাল পর্যন্ত তিনি ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রবীণতম ও বিশ্বে দ্বিতীয় প্রবীণতম ক্রিকেটারের মর্যাদা লাভ করেন।[9]
তথ্যসূত্র
- "One-Test wonder Andy Ganteaume dies aged 95"। ESPN Cricinfo। সংগ্রহের তারিখ ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৬।
- "Andy Ganteaume"। CricketArchive। সংগ্রহের তারিখ ৩১ ডিসেম্বর ২০১২।
- "West Indies: Players: Andy Ganteaume"। ESPNCricinfo। সংগ্রহের তারিখ ৩১ ডিসেম্বর ২০১২।
- Williamson, Martin (৩১ ডিসেম্বর ২০০৫)। "The ultimate one-Test wonder"। ESPNCricinfo। সংগ্রহের তারিখ ৩১ ডিসেম্বর ২০১২।
- "Player Oracle AG Ganteaume"। CricketArchive। সংগ্রহের তারিখ ৩১ ডিসেম্বর ২০১২।
- "Strange Career of Andy Ganteaume" (পিডিএফ)। The Cricket Society। ২১ জুলাই ২০১৫ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৮ জুলাই ২০১৫।
- "Kanhai to lead West Indies against England"। The Times। London। ৮ নভেম্বর ১৯৭৩। পৃষ্ঠা 15। সংগ্রহের তারিখ ৩১ ডিসেম্বর ২০১২।
- Mohammed, Fazeer (১৫ ডিসেম্বর ২০০৭)। "Andy and the 'Establishment'"। Trinidad and Tobago Express, reprinted by ESPNCricinfo। সংগ্রহের তারিখ ৩১ ডিসেম্বর ২০১২।
- "Records: Test matches: Oldest living players"। ESPNCricinfo। সংগ্রহের তারিখ ২৬ মার্চ ২০১৪।
আরও দেখুন
বহিঃসংযোগ
- ইএসপিএনক্রিকইনফোতে অ্যান্ডি গ্যানটিউম (ইংরেজি)
- ক্রিকেটআর্কাইভে অ্যান্ডি গ্যানটিউম (সদস্যতা প্রয়োজনীয়) (ইংরেজি)