অহ্রাসযোগ্য জটিলতা

Irreducible Complexity (IC) বা অহ্রাসযোগ্য জটিলতা হচ্ছে, এমন একটা বিতর্ক; যেখানে বলা হয়, প্রাকৃতিক নির্বাচনের দ্বারা জীববিজ্ঞানের ব্যবস্থা successive small modifications থেকে pre-existing functional systems বিবর্তিত হতে পারে না। অহ্রাসযোগ্য জটিলতা হচ্ছে সৃষ্টিবাদীদের বুদ্ধিদীপ্ত অনুকল্পেরই একটা ধারণা, যা বৈজ্ঞানিক মহল দ্বারা বাতিল করা হয়েছে।[1] যাদের মতে বুদ্ধিদীপ্ত অনুকল্প এক প্রকার অপবিজ্ঞান[2] বুদ্ধিদীপ্ত অনুকল্পের প্রবক্তারা তাদের মতের সমর্থনে দুইটি প্রধান বক্তব্য তুলে ধরেন, যার একটি হলো অহ্রাসযোগ্য জটিলতা এবং অপরটি হলো বিশেষায়িত জটিলতা.[3]

ধর্মতাত্ত্বিক অনুকল্প মুলক বিতর্ক; সৃষ্টিবাদ বিজ্ঞান দ্বারা প্রকাশ করা হয়। যেখানে বলা হয়, বিবর্তন অনুজীবগত কলাকৌশলকে ব্যাখ্যা করতে পারি না। ১৯৯৩ সালে, লেহিগ বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োকেমিস্টের অধ্যাপক মাইকেল বেহে এই বিতর্ককে Of Pandas and People এ প্রকাশ করেন। তিনি ১৯৯৬ সালে তার বই Darwin's Black Box এ এই বিষয়টিকে irreducible complexity (অহ্রাসযোগ্য জটিলতা) বলে অভিহিত করেন এবং বলেন, এর মাধ্যমে এটা বুঝা যায়, প্রাকৃতিক নির্বাচনের মাধ্যমে র‍্যাণ্ডম মিউটেশনের ফলে বিবর্তন সংগঠিত হওয়া অসম্ভব।[4] এই বিতর্কটি- বিবর্তনের ফলে জীবের অভ্যন্তরীণ বৃত্তিমুলক কাজের সর্বদা উন্নয়ন সাধিত হয়- এই ভুল ধারণার উপর ভিত্তি করে গড়ে উঠেছে, যেখানে ফাংশনে(বৃত্তিতে) পরিবর্তন কীভাবে জটিল অভিযোজন সৃষ্টি হয় তাকে এড়িয়ে যাওয়া হয়েছে এবং বিভিন্ন সময় প্রকাশিত গবেষণাকে আমলে নেওয়া হয় নি। বিবর্তনীয় জীববিজ্ঞানীরা বেহের যুক্তিকে খণ্ডন করে বিভিন্ন আর্টিকেল প্রকাশ করেন, এবং কম্পেরাটিভ জিনোমিক্সকে ব্যবহার করে বিভিন্ন ডকুমেন্ট প্রকাশ করেন, যেখানে দেখানো হয়, কীভাবে জটিল আণবিক ব্যবস্থা তৈরী হতে পারে।[5][6]

২০০৫ সালে Kitzmiller v. Dover Area School District বিচারে, বেহে irreducible complexity এর পক্ষে আদালতে সাক্ষ্য দেয়। আদালত তার পর্যবেক্ষণে বলে, "অধ্যাপক বেহের irreducible complexity এর পক্ষে যে দাবী, তা পিয়ার রিভিউ গবেষণা দ্বারা খারিজ হয়ে গেছে, আর বৈজ্ঞানিক মহলের দ্বারা এটা বিস্তৃত পরিসরেই বাতিল হয়ে গেছে।"[1]

সংজ্ঞা

মাইকেল বেহে তার বই "ডারউইন ব্ল্যাকবক্সে ইরিডিউসিবল কমপ্লেক্সিসিটি কে প্রাকৃতিক নির্বাচনে ব্যাখ্যা করতে গিয়ে বলেছেন:

... বিভিন্ন জোটবদ্ধ অংশ নিয়ে একটি একক সিস্টেম গঠিত, যেখানে প্রত্যেকটা অংশ একে অপরের উপর ক্রিয়া করে একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ হয়, এবং সেখান থেকে যদি একটা অংশও অপসারণ করা হয়, তাহলে সেই কাজ বন্ধ হয়ে যায়[7]

(a single system which is composed of several well-matched, interacting parts that contribute to the basic function, and where the removal of any one of the parts causes the system to effectively cease functioning.)

পরবর্তীতে এর সংজ্ঞাদান প্রসঙ্গে বেহে বলেন:

অহ্রাসযোগ্য জটিল বিবর্তনীয় পথটা হচ্ছে এমনই; যা এক বা একাধিক অনির্বাচিত ধাপ ধারণ করে (এটা হলো: এক বা একাধিক প্রয়োজনীয় মিউটেশন কিন্তু তা প্রাকৃতিকভাবে নির্বাচিত নয়)। অহ্রাসযোগ্য জটিলতার স্তর হলো এই পথে অনির্বাচিত ধাপের সংখ্যা।[8]

An irreducibly complex evolutionary pathway is one that contains one or more unselected steps (that is, one or more necessary-but-unselected mutations). The degree of irreducible complexity is the number of unselected steps in the pathway.

ইন্টেলিজেন্ট ডিজাইনের উকিল উইলিয়াম এ. ডেম্বস্কি এর সংজ্ঞায়নে বলেছেন :

একটি সিস্টেম যদি একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ করে, এবং সেই সিস্টেমে গুরুত্বপূর্ণ অংশ যুক্ত থাকে, যারা একে অপরের উপর মিথস্ক্রিয়া করে ও যার প্রত্যেকটাই অপরিহার্য; তাহলে সেই সিস্টেম ইরিডিউসিবল কমপ্লেক্স এবং সেই অপরিহার্য অংশ গুলো সেই সিস্টেমের ইরিডিউসিবল কোর বলে বিবেচিত হবে।[9]

(A system performing a given basic function is irreducibly complex if it includes a set of well-matched, mutually interacting, nonarbitrarily individuated parts such that each part in the set is indispensable to maintaining the system's basic, and therefore original, function. The set of these indispensable parts is known as the irreducible core of the system).

অগ্রগামী

পরম কারণ মুলক যুক্তির (প্রকৃতির নকশা বা তার জটিলতার প্রসঙ্গে বিতর্ক) উত্তরসূরি হলো হ্রাস অযোগ্য জটিলতা মুলক বিতর্ক। এর দ্বারা বুঝানো হয় প্রকৃতির কিছু কিছু জিনিস এত বেশি জটিল যে; সেটা নিশ্চিত ভাবে প্রমাণ করে কোন কৌশলী এর নকশা করেছেন। এ বিষয়টি ১৮০২ সালে উইলিয়াম প্যালে তার বিখ্যাত ঘড়িনির্মাতার উপমাতে উদ্ধৃত করেন। এই উপমার মাধ্যমে বোঝানো হয় একটি ঘড়ির জটিল নকশা দেখে বুঝা যায়; তা নিজে নিজে প্রকৃতিতে কখনো আসতে পারে না। ঘড়ির প্রকৃতিতে বিদ্যমান থাকার অর্থ যেমন ঘড়িটির নির্মাতা আছে। একইভাবে এই বিশ্বচরাচর নির্মাণের জন্য এর কোন নকশাকারীর প্রয়োজন আছে। এই ধরনের বিতর্কের একটি দীর্ঘ ইতিহাস আছে। কেও কেও বলেন এই ধরনের বিতর্কমুলক ইতিহাসের যাত্রা ৪৫ খ্রিষ্ঠপুর্বে সিসেরোর' লেখা ডি নাটুরা ডিওরাম থেকে শুরু হয়েছে।[10][11]

Up to the 18th century

গ্যালেন (প্রথম ও দ্বিতীয় শতকে) শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের মধ্যে সম্পর্ক নিয়ে বিস্তৃত পরিসরে লেখা লিখেন; এই পর্যবেক্ষণ সৃষ্টিবাদের উদাহরণ হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে।[12] শরীরের অঙ্গপ্রত্যঙ্গের এরুপ আন্তনির্ভরশীলতা জীবনের উদ্ভবে ভূমিকা রেখেছে এরুপ ধারণা ১৭ শতকের মধ্যভাগে পিয়েরে গাসেন্দীজন উইলকিন্সের (১৬১৪-১৬৭২) দ্বারা উত্থান ঘটে।[13] গ্যালেনকে উদ্ধৃত করে লিখেন, "Now to imagine, that all these things, according to their several kinds, could be brought into this regular frame and order, to which such an infinite number of Intentions are required, without the contrivance of some wise Agent, must needs be irrational in the highest degree."[14] In the late 17th-century, Thomas Burnet referred to "a multitude of pieces aptly joyn'd" to argue against the eternity of life.[15] In the early 18th century, Nicolas Malebranche[16] wrote "An organized body contains an infinity of parts that mutually depend upon one another in relation to particular ends, all of which must be actually formed in order to work as a whole", arguing in favor of preformation, rather than epigenesis, of the individual;[17] and a similar argument about the origins of the individual was made by other 18th-century students of natural history.[18] In his 1790 book, The Critique of Judgment, Kant is said by Guyer to argue that "we cannot conceive how a whole that comes into being only gradually from its parts can nevertheless be the cause of the properties of those parts".[19]

তথ্যসূত্র

  1. "We therefore find that Professor Behe's claim for irreducible complexity has been refuted in peer-reviewed research papers and has been rejected by the scientific community at large." Ruling, Judge John E. Jones III, Kitzmiller v. Dover Area School District
  2. "True in this latest creationist variant, advocates of so-called intelligent design ... use more slick, pseudoscientific language. They talk about things like "irreducible complexity" Shulman, Seth (২০০৬)। Undermining science: suppression and distortion in the Bush Administration। Berkeley: University of California Press। পৃষ্ঠা 13আইএসবিএন 0-520-24702-7। "for most members of the mainstream scientific community, ID is not a scientific theory, but a creationist pseudoscience."
    David Mu (Fall ২০০৫)। "Trojan Horse or Legitimate Science: Deconstructing the Debate over Intelligent Design" (পিডিএফ)Harvard Science Review19 (1)। ২০০৭-০৭-২৪ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা।
    Perakh M (Summer ২০০৫)। "Why Intelligent Design Isn't Intelligent — Review of: Unintelligent Design"Cell Biol Educ.4 (2): 121–2। ডিওআই:10.1187/cbe.05-02-0071পিএমসি 1103713অবাধে প্রবেশযোগ্য
    Mark D. Decker. College of Biological Sciences, General Biology Program, University of Minnesota Frequently Asked Questions About the Texas Science Textbook Adoption Controversy ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১০ তারিখে "The Discovery Institute and ID proponents have a number of goals that they hope to achieve using disingenuous and mendacious methods of marketing, publicity, and political persuasion. They do not practice real science because that takes too long, but mainly because this method requires that one have actual evidence and logical reasons for one's conclusions, and the ID proponents just don't have those. If they had such resources, they would use them, and not the disreputable methods they actually use."
    See also list of scientific societies explicitly rejecting intelligent design
  3. Ker Than (সেপ্টেম্বর ২৩, ২০০৫)। "Why scientists dismiss 'intelligent design' - LiveScience"msnbc.com। সংগ্রহের তারিখ ২০১০-০৫-১৭
  4. http://www.nature.com/nature/journal/v481/n7381/full/nature10724.html
  5. http://www.biomedcentral.com/1471-2148/10/341
  6. Darwin's Black Box page 39 in the 2006 edition
  7. In Defense of the Irreducibility of the Blood Clotting Cascade: Response to Russell Doolittle, Ken Miller and Keith Robison, July 31, 2000, Discovery Institute article
  8. No Free Lunch: Why Specified Complexity Cannot Be Purchased without Intelligence. by William Dembski pp. 285
  9. On the Nature of the Gods, translated by Francis Brooks, London: Methuen, 1896.
  10. See Henry Hallam Introduction to the Literature of Europe in the Fifteenth, Sixteenth, and Seventeenth Centuries Boston: Little, Brown and Company, 1854 volume 2 page 385 part iii chapter iii section i paragraph 26 footnote u
  11. De Formatione Foetus=The Construction of the Embryo, chapter 11 in Galen: Selected Works, translated by P. N. Singer, The World's Classics, Oxford, Oxford University Press, 1997 আইএসবিএন ৯৭৮-০-১৯-২৮২৪৫০-৯. One 18th-century reference to Galen is David Hume Dialogues Concerning Natural Religion, 1779, Part 12 ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২২ নভেম্বর ২০০৫ তারিখে, § 3, page 215. Also see Galen's De Usu Partium=On the Usefulness of the Parts of the Body, translated and edited by Margaret Tallmadge May, Ithaca, New York, Cornell University Press, 1968, especially book XVII. For a relevant discussion of Galen and other ancients see pages 121-122, Goodman, Lenn Evan (২০১০)। Creation and evolution। Milton Park, Abingdon, Oxon and New York: Routledge। আইএসবিএন 978-0-415-91380-5।
  12. De Generatione Animalium, chapter III. Partial translation in: Howard B. Adelmann, Marcello Malpighi and the Evolution of Embryology Ithaca, New York, Cornell University Press, 1966, volume 2, pages 811-812.
  13. John Wilkins,Of the Principles and Duties of Natural Religion, London, 1675, book I, chapter 6, page 82.
  14. The Sacred Theory of the Earth ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২০ অক্টোবর ২০০৭ তারিখে, 2nd edition, London: Walter Kettilby, 1691. Book I Chapter IV page 43
  15. Nicolas Malebranche (১৭১২)। De la recherche de la verité: où l'on traite de la nature de l'esprit de l'homme, & de l'usage qu'il en doit faire pour éviter l'erreur dans les sciences (6ième সংস্করণ)। Paris: Chez Michel David। Livre 6ième, 2ième partie, chapître 4; English translation: Nicholas Malebranche (১৯৯৭)। Thomas M. Lennon; Paul J. Olscamp, সম্পাদকগণ। The Search After Truth: With Elucidations of The Search After Truth। Cambridge: Cambridge University Press। আইএসবিএন 0-521-58004-8। Second paragraph from the end of the chapter, on page 465.
  16. Pages 202-204 of Andrew Pyle (২০০৬)। "Malebranche on Animal Generation: Preexistence and the Microscope"। Smith JH। The problem of animal generation in early modern philosophy। Cambridge, UK: Cambridge University Press। পৃষ্ঠা 194–214। আইএসবিএন 0-521-84077-5।
  17. "The Chicken or the Egg"talkreason.org। ২৯ এপ্রিল ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৭ মে ২০১৮
  18. This is Guyer's exposition on page 22 of Paul Guyer (১৯৯২)। "Introduction"। Paul Guyer। The Cambridge Companion to Kant। Cambridge: Cambridge University Press। পৃষ্ঠা 1–25। আইএসবিএন 978-0-521-36768-4। Guyer adds this parenthetical comment: "(here is where the theory of natural selection removes the difficulty)". See Kant's discussion in section IX of the "First Introduction" to the Critique of Judgment and in §§61, 64 (where he uses the expression wechselsweise abhängt="reciprocally dependent"), and §66 of "Part Two, First Division". For example, Immanuel Kant (২০০০)। "§64"। Paul Guyer; Eric Matthews। Critique of the power of judgment। Cambridge: Cambridge University Press। পৃষ্ঠা 243–244। আইএসবিএন 0-521-34447-6। German original Kritik der Urtheilskraft। Kants gesammelte Schriften। 5 (Königlich Preußischen Akademie der Wißenschaften সংস্করণ)। Berlin: Georg Reimer। ১৯১৩। পৃষ্ঠা 371। আইএসবিএন 978-3-11-001438-9।

 

অতিরিক্ত তথ্যসূত্র

 

বহিঃস্থ লিঙ্ক

Supportive

 

Critical
This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.