অশান্ত ডিমেল
অশান্ত লাকদাসা ফ্রান্সিল ডি মেল (সিংহলি: අශාන්ත ද මෙල්; জন্ম: ৯ মে, ১৯৫৯) কলম্বোয় জন্মগ্রহণকারী সাবেক শ্রীলঙ্কান আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার ও দল নির্বাচক।[1] শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট দলে তিনি মূলতঃ মিডিয়াম-ফাস্ট বোলারের দায়িত্ব পালন করেন।
ব্যক্তিগত তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | অশান্ত লাকদাসা ফ্রান্সিল ডি মেল | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জন্ম | কলম্বো, শ্রীলঙ্কা | ৯ মে ১৯৫৯|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যাটিংয়ের ধরন | ডানহাতি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বোলিংয়ের ধরন | ডানহাতি মিডিয়াম-ফাস্ট | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ভূমিকা | বোলার, দল নির্বাচক | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
আন্তর্জাতিক তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জাতীয় দল | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
টেস্ট অভিষেক (ক্যাপ ১) | ১৭ ফেব্রুয়ারি ১৯৮২ বনাম ইংল্যান্ড | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ টেস্ট | ১৭ ডিসেম্বর ১৯৮৬ বনাম ভারত | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ওডিআই অভিষেক (ক্যাপ ২০) | ১৩ ফেব্রুয়ারি ১৯৮২ বনাম ইংল্যান্ড | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ ওডিআই | ৩০ অক্টোবর ১৯৮৭ বনাম ইংল্যান্ড | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ৪ জানুয়ারি ২০১৫ |
১৯৮০-এর দশকে স্বল্প কয়েকজন বোলারের অন্যতম হিসেবে মিডিয়াম পেসের বাইরে বোলিংয়ে সক্ষম ছিলেন অশান্ত ডিমেল। এছাড়াও তিনি বলকে সুইং আউট করানোয় দক্ষ ছিলেন। বর্তমানে তিনি শ্রীলঙ্কার জাতীয় দলে নির্বাচকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছেন।
কলম্বোর ইসিপাথানা কলেজে অধ্যয়ন করেন তিনি। তারপর তিনি কলম্বোর রয়্যাল কলেজে স্থানান্তরিত হন।
খেলোয়াড়ী জীবন
শ্রীলঙ্কার টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসের প্রথম বোলিং করেছিলেন তিনি।[2] ১৯৮০-এর দশকে শ্রীলঙ্কার স্বল্প কয়েকজন মিডিয়াম পেস বোলারদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন তিনি। এছাড়াও তিনি বলকে সুইং আউট করার ক্ষমতা রাখতেন।
ভারতীয় উপমহাদেশের বাইরে তিনি একটিমাত্র টেস্টে অংশগ্রহণ করেন। সুইং বোলারের উপযোগিতা না থাকায় তার টেস্টে বোলিং গড় বেশ উচ্চ পর্যায়ের ছিল। ব্যাট হাতে তিনি তেমন সফলতা দেখাতে পারেননি। তিনবার তিনি শূন্য রানে আউট হন।
১৯৮৫ সালে ভারতের বিপক্ষে অনুষ্ঠিত টেস্টে ৬৪ রানে ৫ উইকেট পান। প্রথম ইনিংসে ১২৯ রানে এগিয়ে থেকেও দ্বিতীয় ইনিংসে কোন উইকেট সংগ্রহ করতে পারেননি। এরফলে টেস্টটি ড্রয়ে পরিণত হয়।
ক্রিকেট বিশ্বকাপ, ১৯৮৩
ইংল্যান্ডে অনুষ্ঠিত ১৯৮৩ সালের ক্রিকেট বিশ্বকাপের তৃতীয় আসরে তিনি দূর্দান্ত বোলিং প্রদর্শন করেন। ঐ প্রতিযোগিতায় তিনি তার খেলোয়াড়ী জীবনের একদিনের আন্তর্জাতিকের দুইবার পাঁচ-উইকেট লাভ করেন। হেডিংলিতে পাকিস্তানের বিপক্ষে ৩৯ রানে ৫ উইকেট পেলেও তার দল পাকিস্তানের লক্ষমাত্রাকে অতিক্রম করতে পারেনি। শেষ ১০ বলে মাত্র ১২ রানের প্রয়োজন ছিল। দুইদিন পর ডার্বির কাউন্টি গ্রাউন্ডে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ৩২ রানে ৫ উইকেট পান্ এরফলে তার দল ৩ উইকেট হাতে রেখে লক্ষ্যমাত্রা অতিক্রম করে ও প্রতিযোগিতায় একমাত্র জয়ের সন্ধান পায়। ভারতের রজার বিনি’র পর ১৭ উইকেট নিয়ে তিনি দ্বিতীয় সর্বোচ্চ উইকেট শিকারী হন। বেশ কয়েকবছর পর প্রকাশিত হয় যে, রুমেশ রত্নায়েকেকে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে উইকেট প্রাপ্তির কথা উল্লেখ করা হয় যা তখন স্কোরকার্ডে প্রদর্শিত হয়নি।
অবসর
১৯৮৭ সালে হাঁটুর আঘাতপ্রাপ্তির কারণে তার খেলোয়াড়ী জীবনের সমাপ্তি ঘটে ও অবসর নেন। মে, ২০০৪ সালে শ্রীলঙ্কা দলের প্রধান নির্বাচক মনোনীত হন যা একবছর পর্যন্ত স্থায়ী ছিল। পদত্যাগের একমাস পর ক্রীড়ামন্ত্রী জীবন কুমারানাতুঙ্গা তাকে পুনরায় একবছরের জন্য এ দায়িত্বে বহাল রাখে।
কমনওয়েলথ গেমসে কন্ট্রাক্ট ব্রিজ খেলায়ও তিনি অংশগ্রহণ করেন।
শ্রীলঙ্কা ক্রিকেটের (এসএলসি) নির্বাচক কমিটির সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। এ কমিটি খেলোয়াড় নির্বাচন ও সফর আয়োজনের সাথে জড়িত। এছাড়াও তিনি রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রণাধীন সিলন পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশনের সভাপতি ছিলেন।
তথ্যসূত্র
- "Ashantha de Mel's Cricinfo Profile"। Cricinfo। সংগ্রহের তারিখ ৪ মার্চ ২০১৬।
- "Packer's revolution"। ESPN Cricinfo। সংগ্রহের তারিখ ১০ মে ২০১৭।
আরও দেখুন
বহিঃসংযোগ
- ইএসপিএনক্রিকইনফোতে অশান্ত ডিমেল (ইংরেজি)
- ক্রিকেটআর্কাইভে অশান্ত ডিমেল (সদস্যতা প্রয়োজনীয়) (ইংরেজি)