অমলেন্দু মিত্র
অমলেন্দু মিত্র (৪ এপ্রিল ১৯৩০ - ১৭ ডিসেম্বর ১৯৯৬) ছিলেন একজন ভারতীয় বাঙালি লেখক, সংগ্রাহক এবং লোকসংস্কৃতিবিদ। [1]
অমলেন্দু মিত্র | |
---|---|
জন্ম | বড়রা সিউড়ি, বীরভূম ব্রিটিশ ভারত (বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গ) ভারত | ৪ এপ্রিল ১৯৩০
মৃত্যু | ১৭ ডিসেম্বর ১৯৯৬ ৬৬) | (বয়স
পেশা | শিক্ষকতা |
ভাষা | বাংলা |
জাতীয়তা | ভারতীয় |
উল্লেখযোগ্য রচনাবলি | রাঢ়ের সংস্কৃতি ও ধর্মঠাকুর |
উল্লেখযোগ্য পুরস্কার | রবীন্দ্র পুরস্কার (১৯৭৩) |
সংক্ষিপ্ত জীবনী
অমলেন্দু মিত্রের জন্ম ১৯৩০ খ্রিস্টাব্দের ৪ এপ্রিল ব্রিটিশ ভারতের অধুনা পশ্চিমবঙ্গের বীরভূম জেলার সিউড়ি সদর মহকুমার খয়রাশোল সমষ্টি উন্নয়ন ব্লকের বড়রা গ্রামে। পিতা গৌরীহর মিত্র ছিলেন বীরভূমের ইতিহাস প্রণেতা এবং মাতা মৃণালিনী দেবী। তার পিতামহ শিবরতন মিত্রের একার চেষ্টায় 'বঙ্গীয় সাহিত্য সেবক' জীবনী অভিধানের সংকলন ও মফস্বলে 'রতন লাইব্রেরি'র গ্রন্থ ও পুঁথির সংগ্রহ সম্ভব হয়ছিল। অমলেন্দু ১৯৪৪ খ্রিস্টাব্দে বীরভূম জিলা স্কুল থেকে ম্যাট্রিক, সিউড়ি বিদ্যাসাগর কলেজ থেকে আইএসসি ও বি.এসসি পাশ করেন। ১৯৫৩ খ্রিস্টাব্দে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে এম.এ পাশ করেন এবং ১৯৬৭ খ্রিস্টাব্দে পিএইডি ডিগ্রি লাভ করেন। শিক্ষকতা দিয়ে কর্মজীবন শুরু করে ড.অমলেন্দু বিভিন্ন বিষয়ে লেখালেখি, লোকসংস্কৃতি নিয়ে গবেষণা, ফটোগ্রাফি ইত্যাদি বিষয়ে ব্যস্ত থাকতেন। বাল্যকালে তার সচিত্র ভ্রমণকাহিনী প্রকাশিত হয় যোগেন্দ্রনাথ গুপ্ত সম্পাদিত "কৈশোরক" পত্রিকায়। পরবর্তীতে বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় পাঁচ শতাধিক গল্প ও প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়েছিল। তিনি বীরভূমের বিভিন্ন গ্রামে পায়ে হেঁটে ঘুরে গ্রামীণ সংস্কৃতির তথ্য সংগ্রহ করেন। সংগৃহীত তথ্য নিয়ে ১৯৭২ খ্রিস্টাব্দে রচনা করেন- রাঢ়ের সংস্কৃতি ও ধর্মঠাকুর শীর্ষক নাটক গ্রন্থ। তার রচিত অন্য গ্রন্থ দুটি হল-
- গান হল শেষ
- রাঢ়ের গল্পস্বল্প
খ্যাতনামা শিক্ষক হিসাবে ড.অমলেন্দু মিত্র বীরভূমের চণ্ডীদাস পুরস্কারসহ জেলাভিত্তিক বহু সম্মান পেয়েছেন। ১৯৭৩ খ্রিস্টাব্দে রাঢ়ের সংস্কৃতি ও ধর্মঠাকুর গ্রন্থটির জন্য পশ্চিমবঙ্গ সরকার তাকে রবীন্দ্র পুরস্কার প্রদান করে।
তথ্যসূত্র
- অঞ্জলি বসু সম্পাদিত, সংসদ বাঙালি চরিতাভিধান, দ্বিতীয় খণ্ড, সাহিত্য সংসদ, কলকাতা, জানুয়ারি ২০১৯ পৃষ্ঠা ২৪, আইএসবিএন ৯৭৮-৮১-৭৯৫৫-২৯২-৬