অভিভাবক

অভিভাবক (ইংরেজি: Parent) মানবজাতিকূলে জন্মগ্রহণকারী সন্তানের মা অথবা বাবা অথবা অন্য যে-কোন প্রজাতি কর্তৃক নিজ সন্তানের রক্ষণাবেক্ষনকারীকে বুঝায়। ল্যাটিন ভাষার প্যারেন্স থেকে প্যারেন্ট শব্দটি উদ্ভূত হয়েছে। একজন শিশুর এক বা একাধিক অভিভাবক থাকতে পারে। তবে তাকে অবশ্যই দু'জন পিতা-মাতার যৌনসম্পর্কের মাধ্যমে জন্ম হতে হয়। মানব সমাজে ও জীববিদ্যা সম্বন্ধীয় মাতা এবং পিতা উভয়েই শৈশবকালীন সময়ে সন্তানের বৃদ্ধিতে যাবতীয় দায়ভার বহন করেন।

A parent with her child.

কিছু পিতা-মাতা আছেন যারা জৈবিক সম্পর্কবিহীন অবস্থায়ও সন্তানের অভিভাবক হতে পারেন। দত্তক অভিভাবক জন্মগ্রহণকারী শিশুর ভরণ-পোষণ এবং রক্ষণাবেক্ষনের দায়িত্ব নেন। কিন্তু ঐ শিশুর সাথে তার রক্তসম্পর্ক নেই। দত্তক অভিভাবকের পরিবর্তে শিশু তার দাদা-দাদী কিংবা পরিবারের অন্যান্য সদস্যের তত্ত্বাবধানেও বড় হতে পারে।

এছাড়াও, অভিভাবক পূর্ব-পুরুষ হয়ে নুতন প্রজন্মকে উত্তরাধিকার হিসেবে রেখে লোকান্তরিত হন।

বংশানুক্রমিক ধারা

মায়ের ন্যায় বাবাকেও তাদের জৈবিক, সামাজিক অথবা বৈধভাবে ব্যক্তিগত সম্পর্কের মাধ্যমে শ্রেণীবিন্যাস করা যায়। ঐতিহাসিকভাবে জৈবিক সম্পর্কের মাধ্যমে পিতৃত্ব নির্ধারণ ও বংশ রক্ষা করা হয়। কিন্তু, সাম্প্রতিককালে পিতৃত্বের দাবী নির্ধারণে উত্তরোত্তর সমস্যা সৃষ্টিসহ সামাজিক নিয়ম-কানুনের প্রয়োজনে বাবা তথা সন্তানের মায়ের স্বামী হিসেবে উপযুক্ত স্বাক্ষ্য-প্রমাণের দরকার পড়ে।

অভিভাবকজনিত সমস্যা

পিতৃত্ব নির্ধারণে পরীক্ষার ব্যবস্থা রয়েছে যা পৈতৃক সমস্যা দূরীকরণে সহায়তা করে। সন্তানের প্রকৃত পিতা নির্ধারণের লক্ষ্যে এটির প্রয়োজন। পিতার অধিকার ও দায়িত্ববোধের সাথে তা জড়িত। একইভাবে মাতৃত্ব নির্ধারণেও পরীক্ষার ব্যবস্থা আছে। তবে তা তেমন গুরুত্বপূর্ণ নয়; কেননা প্রাকৃতিকভাবেই মা কর্তৃক গর্ভধারণ ও শিশুর জন্ম দিয়ে থাকেন। যদি ভ্রুণ অথবা ডিম্বানু দান জড়িত থাকে তাহলে সুষ্পষ্টভাবে জানা যায় যে, কে প্রকৃত মাতা। কিন্তু সন্তানের মাতৃত্ব নিয়ে কেউ আপত্তি জানালেই কেবল এ প্রশ্নটি আসে।

অভিভাবকত্বজনিত সমস্যা নিবারণে ডিএনএ প্রযুক্তি যা জেনেটিক ফিঙ্গারপ্রিন্টিং ব্যবহৃত হয়। এটি সবচেয়ে বিশ্বস্ত পন্থা ও প্রযুক্তি। এছাড়াও, বর্তমানে পিসিআর বা পলিমেরাজ চেইন রিয়্যাকশন এবং আরএফএলপি বা রেস্ট্রিকশন ফ্র্যাগম্যান্ট লেন্থ পলিমরফিজমের ন্যায় উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে।

মা-বাবা

প্রকৃতিগতভাবে একজন নারী বা মহিলাই সন্তানকে জন্ম দেয়ার অধিকারীনি। নারী হিসেবে যিনি গর্ভধারণ, সন্তানের জন্ম তথা সন্তানকে বড় করে তোলেন - তিনিই অভিভাবকের ভূমিকা পালনে সক্ষম ও মা হিসেবে সর্বত্র পরিচিত।[1] গর্ভধারণের ন্যায় জটিল এবং মায়ের সামাজিক, সাংস্কৃতিক এবং ধর্মীয় অবস্থানে থেকে এ সংজ্ঞাটি বিশ্বজনীন গৃহীত হয়েছে। তার সমকক্ষ পুরুষ হচ্ছেন বাবা

পুরুষ অভিভাবক হিসেবে যে-কোন ধরনের সন্তানের জনককে বাবা বা পিতা নামে সংজ্ঞায়িত করা হয়।[2]

তথ্যসূত্র

  1. "Definition from"। Allwords.com। ২০০৭-০৯-১৪। সংগ্রহের তারিখ ২০১১-১১-০৪
  2. "WordNet"। সংগ্রহের তারিখ ২০০৭-১২-১৪

বহিঃসংযোগ

  • National Educational Network, Inc. (NENI) – free online resources for parent education, curriculum. They also have a parent blog with information about child care, afterschool, trends in education, tutoring, college, grants, etc.
  •  "Parents"। ক্যাথলিক বিশ্বকোষ। নিউ ইয়র্ক: রবার্ট অ্যাপলটন কোম্পানি। ১৯৯৩। – A Roman Catholic view of the position of parents.
This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.