অন্নপূর্ণা দেবী

অন্নপূর্ণা দেবী আসল নাম রওশন আরা বেগম (জন্ম: ১৯২৭, মৃৃৃত্যু: ১৩ অক্টোবর, ২০১৮[1]) একজন স্বনামধন্য সুরবাহার শিল্পী এবং উত্তর ভারতীয় সনাতনী শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের গুরু। তিনি ভারতীয় শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের দিকপাল ওস্তাদ আলাউদ্দীন খানের কন্যা এবং পণ্ডিত রবি শঙ্করের প্রাক্তন স্ত্রী।

এই নিবন্ধটি ভারতীয় সেতারবাদক সম্বন্ধীয়। হিন্দু দেবীর জন্য, দেখুন অন্নপূর্ণা
অন্নপূর্ণা দেবী
জন্ম
রোশনারা খান

(১৯২৭-০৪-২৩)২৩ এপ্রিল ১৯২৭
মৃত্যু১৩ অক্টোবর ২০১৮(2018-10-13) (বয়স ৯১)
মুম্বই, ভারত
দাম্পত্য সঙ্গী
সন্তানশুভেন্দ্র শঙ্কর
পিতা-মাতা
  • আলাউদ্দিন খান (পিতা)
আত্মীয়আলী আকবর খান (ভাই)

অন্নপূর্ণা দেবী ২৩ এপ্রিল ১৯২৭ সালে চৈতি পূর্ণিমা তিথিতে মধ্য প্রদেশের মাইহারে জন্ম গ্রহণ করেন ।তার পিতা বিখ্যাত ভারতীয় সঙ্গীতজ্ঞ ওস্তাদ আলাউদ্দীন খান। পিতার কাছ থেকে দীক্ষা নিয়ে রওশন তার পিতার যোগ্য কন্যা হয়ে ওঠেন এবং ভারতীয় কিংবদন্তি সঙ্গীত শিল্পী হয়ে ওঠেন। তিনি মুম্বাইতে ভারতীয় ক্লাসিক্যাল সঙ্গীত শিক্ষা দিয়েছেন অনেক দিন। তার শিশ্যদের মধ্যে হরিপ্রসাদ চৌরসিয়া,নিখিল বন্দ্যোপাধ্যায়,আমিত ভট্টাচার্য,প্রদীপ বারত সহ অনেকে সুপ্রতিষ্ঠিত। [2][3]

ব্যক্তিগত জীবন

তার পিতা ওস্তাদ আলাউদ্দীন খান হিন্দুস্তানি ক্লাসিক্যাল মিউজিকের মাইহার ঘরানার প্রতিষ্ঠাতা এবং ভাই আলী আকবর খান ভারতের কিংবদন্তি সরোদ বাদক।

অন্নপূর্ণা তার বাবার কাছে শিক্ষা নেন। তার বাবার ছাত্র পরবর্তীকালে বিখ্যাত সেতার বাদক রবি শঙ্করকে বিয়ে করেন। বিয়ের সময় অন্নপূর্ণার বয়স ছিল ১৪ এবং রবিশঙ্করের বয়স ছিল ২১। বিয়ের পর অন্নপূর্ণা হিন্দু ধর্ম গ্রহণ করেন।[4] তাদের একটি পুত্র সন্তানের জন্ম হয় যার নাম শুভেন্দ্র শঙ্কর বা শুভ যাকে অন্নপূর্ণা সেতার বাজানো শেখান। শুভ অল্প বয়সেই মারা যান এবং তার তিন সন্তান রয়েছে।

রবিশঙ্করের সাথে বিবাহ বিচ্ছেদের পর তিনি মুম্বাই চলে যান।অন্নপূর্ণা ১৯৮২ সালের ৯ ডিসেম্বর বোম্বেতে নিজের ছাত্র ঋষিকুমার পাণ্ড্যকে বিয়ে করেছিলেন।[5]তাদের বিয়ের সময় যার বয়স ছিল ৪২ বছর। তিনি ছিলেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে একজন সুপরিচিত যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ এবং একজন সফল সেতারবিদ। রুশিকুমার ১৯৭৩ সাল থেকে তার ভাই আলী আকবর খানের পরামর্শে তাঁর কাছ থেকে সেতার শিখছিলেন। যিনি ছিলেন তাঁর গুরু যেমন রবিশঙ্কর ও ছিলেন। তিনি ২০১৩ সালে ৭৩ বছর বয়সে হঠাৎ কার্ডিয়াক অ্যারেস্টের কারণে মারা যান।[6][7]

সম্মাননা

অন্নপূর্ণা ভারতের সর্বোচ্চ বেসামরিক পদক পদ্মভূষণ লাভ করেন ১৯৭৭ সালে।

মৃত্যু

১৩ অক্টোবর ২০১৮ শনিবার স্থানীয় সময় ভোর ৩টা ৫১ মিনিটে মুম্বাইয়ের ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতালে অন্নপূর্ণা দেবী মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৯১ বছর। গত কয়েক বছর ধরেই বার্ধক্যজনিত নানা জটিলতায় ভুগছিলেন তিনি।[8]

তথ্যসূত্র

This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.