অন্ধ্রপ্রদেশের ইতিহাস

অন্ধ্রপ্রদেশ ভারতের ২৪টি অঙ্গরাজ্যের মধ্যে একটি।

অন্ধ্র নামক এই প্রদেশের উল্লেখ বহু প্রাচীন সংস্কৃত গ্রন্থ, যেমন ৮০০ খ্রীস্টপূর্বাব্দের বেদের ঐতরিয় ব্রাহ্মণে পাওয়া যায়। বিভিন্ন বৌদ্ধ ধর্মগ্রন্থ অনুসারে, অসসক (পালি) বা অশ্মক (আইএএসটি : Aśmaka) নামে খ্রিস্টপূর্ব ৭০০ থেকে ৪২৫ বা ৩৪৫ খ্রিস্টপূর্বাব্দের এক মহাজনপদের নাম পাওয়া যায়। এই মহাজনপদ গোদাবরী ও কৃষ্ণা নদীর মাঝে অবস্থিত ছিল।

বর্তমানের অন্ধ্রপ্রদেশ ভারতের স্বাধীনতা লাভের পরে একটি অঙ্গরাজ্য হিসেবে জন্মলাভ করে। তার পূর্বে এটি মাদ্রাজ প্রেসিডেন্সির অন্তর্গত ছিল।

সারাংশ

খ্রিষ্টপূর্ব ষষ্ঠ শতাব্দীতে, ভারতের ষোড়শ মহাজনপদের একটি ছিল অশ্মক। পরবর্তীকালে এটি সাতবাহন সাম্রাজ্যের (২৩০ খ্রিস্টপূর্বাব্দ - ২২০ খ্রিস্টাব্দ) অন্তর্গত হয়, যারা অমরাবতী শহরটি তৈরি করে। সাতবাহন সাম্রাজ্য উন্নতির শিখরে ওঠে গৌতমীপুত্র সাতকর্ণীর রাজত্বকালে। সাতবাহন সাম্রাজ্যের পতনের পরে মাৎসান্যয় শুরু হয়, এবং অঞ্চলটি ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র অংশে বিভক্ত হয়ে স্থানীয় রাজাদের দ্বারা শাসিত হতে শুরু করে। পরবর্তীকালে ইক্ষাবু সাম্রাজ্যের সূচনা হলে এই কৃষ্ণা নদীর তীর পর্যন্ত এই অঞ্চল তাদের শাসনাধিকারে আসে।

চতুর্দশ শতাব্দীতে, পল্লবরা অন্ধ্রপ্রদেশের দক্ষিণ থেকে তামিলাকম পর্যন্ত তাদের সাম্রাজ্য বিস্তৃত করে। তাদের রাজধানী হয় কাঞ্চিপুরম। প্রথম মহাদেববর্মন (৫৭১-৬৩০ খ্রিঃ) ও প্রথম নরসিংহবর্মনের (৬৩০ -৬৬৮ খ্রিঃ) রাজত্বকালে এই সাম্রাজ্য সবথেকে শক্তিশালী হয়। নবম শতাব্দীর শেষপর্যন্ত দক্ষিণের তেলেগুভাষী অঞ্চল ও তামিলাকমের উত্তরাঞ্চলে পল্লবদের আধিপত্য বজায় ছিল।

তথ্যসূত্র

    বহিঃসংযোগ

    This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.