অন্তরক

অন্তরক বা বিদ্যুত কুপরিবাহী পদার্থের মধ্য দিয়ে বিদ্যুৎ চলাচল করতে পারে না। এদের পরমাণুর সর্ব বহিঃস্থ খোলকে অবস্থিত ইলেকট্রন মুক্তভাবে চলাচল করতে না পারায় বৈদ্যুতিক ক্ষেত্রের উপস্থিতিতে বহিস্থ প্রনোদনা দেয়া হলেও এদের মধ্য দিয়ে তড়িৎ প্রবাহিত হতে পারে না। আদর্শ অন্তরক বাস্তবে পাওয়া না গেলেও কিছু পদার্থ যেমন কাচ, শুকনো কাগজ, টেফলন, ইত্যাদির বৈদ্যুতিক রোধ অনেক বেশি থাকায় এরা অন্তরক হিসেবে খুব ভালো কাজ করে। আবার কিছু পদার্থ যেমন প্লাস্টিক বা রাবারের ন্যায় পলিমারের রোধ তুলনামূলকভাবে কম হলেও এরা তড়িৎ পরিবাহী পদার্থের উপরে অন্তরক আবরণ হিসেবে ভালো কাজ করে। এসব পদার্থকে অল্প থেকে মাঝারি ভোল্টে (কয়েক হাজার ভোল্ট পর্যন্ত) অন্তরক হিসেবে নিরাপদে ব্যবহার করা যায়।

তড়িৎ সুপরিবাহী তামার তারের বাইরে পলিইথিলিনের আবরন দিয়ে অন্তরিত করা হয়েছে

বৈদ্যুতিক যন্ত্রে অন্তরক বিপুল পরিমাণে ব্যবহৃত হয়। প্রধানত বিদ্যুৎ পরিবাহী তার বা অংশকে আলাদা রাখতে ও এদেরকে ধরে রাখতে অন্তরক ব্যবহৃত হয়। বিদ্যুৎ সঞ্চালন তারকে পোলের সাথে আটকে রাখতে অন্তরকের ব্যবহার অহরহ চোখে পড়ে। তাছাড়া কাছাকাছি স্থাপিত দুটি পরিবাহকের মধ্যবর্তী স্থানে অন্তরক পদার্থ রেখে তড়িৎ আধান রূপে শক্তি সঞ্চয় করে রাখা যায়।

রেলওয়েতে ব্যবহৃত অন্তরক
কোন পদার্থ অন্তরক কিনা তা তার পরমাণুর ব্যান্ড ফাঁক (ব্যান্ড গ্যাপ)এবং পরিবাহী ইলেক্ট্রনে পরিনত হতে প্রয়োজনীয় শক্তির উপরে নির্ভর করে। সাধারনত অন্তরক পদার্থের ব্যান্ড গ্যাপ বেশি থাকে
তামার তিন তারের বিদ্যুত পরিবাহী তার। প্রত্যেক তার আলাদা রংএর অন্তরক দ্বারা আবরিত এবং এরা সবাই আবার আলাদা একটি অন্তরক দ্বারা আবরিত
পিভিসি আবরন সংবলিত মিনারেল ইনসুলেটেড তামার তার, দুই তার দ্বারা গঠিত

তথ্যসূত্র

    This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.