অনিল ভৌমিক
অনিল ভৌমিক (১৯৩২ - ?) একজন প্রখ্যাত শিশুসাহিত্যিক। তিনি মূলত তার সৃষ্ট কাল্পনিক চরিত্র ফ্রান্সিস এবং তার বন্ধুদের অ্যাডভেঞ্চার কাহিনীর জন্য বিখ্যাত।
অনিল ভৌমিক | |
---|---|
জন্ম | ১৯৩২ |
নাগরিকত্ব | ব্রিটিশ ভারত (১৯৪৭ সাল পর্যন্ত) পাকিস্তান (১৯৬৪ সাল পর্যন্ত) ভারত |
পেশা | শিক্ষকতা |
পরিচিতির কারণ | ফ্রান্সিস কাহিনী |
প্রারম্ভিক জীবন
অনিল ভৌমিকের জন্ম হয় ১৯৩২ সালের ব্রিটিশ ভারতের বর্তমান বাংলাদেশের চট্টগ্রামে। তার বাল্যকাল এবং প্রথম যৌবন কেটেছিল ময়মনসিংহ জেলার জামালপুর শহরে। ১৯৫০ খ্রিষ্টাব্দের সাম্প্রদায়ীক দাঙ্গার সময় তিনি দেশত্যাগ করে পশ্চিমবঙ্গে চলে আসেন। এরপর তিনি কেন্দ্রীয় সরকারের অ্যাকাউনটেন্ট জেনারেল অফিসে পেশাগত জীবন শুরু করেন। এরপর তিনি এই চাকরি ছেড়ে শিক্ষকতার পেশা গ্রহণ করেন। তার শিক্ষাগত যোগ্যতা ছিলে এমএ বিটি।[1] তিনি আকাশবাণীতে বিখ্যাত লেখকদের গল্প উপন্যাসের বেতার নাট্যরূপ লিখেছেন। 'পরাশর রায়' এই ছদ্মনামে তিনি আকাশবাণীর তালিকাভুক্ত গীতিকার।[1]
সাহিত্যকর্ম
কিশোর বয়সে 'পাঠশালা' পত্রিকায় প্রথম তার 'সে' গল্পটি প্রকাশিত হয়।[1] শিক্ষকতার সময়ে তিনি ছাত্রদের কাছে বলতে শুরু করেন দুঃসাহসী ফ্রান্সিস এবং তার বন্ধুদের গল্প। ছাত্রদের আগ্রহ দেখে তিনি এই গল্পগুলি লেখার পরিকল্পনা করেন। 'শুকতারা' পত্রিকার অন্যতম কর্ণধার ক্ষীরোদ চন্দ্র মজুমদারকে একটি পরিচ্ছেদ লিখে পড়তে দেওয়ার পরে তিনি খুশি হন এবং উৎসাহ দান করেন। এরপর তিনি প্রথম ফ্রান্সিসের কাহিনী 'সোনার ঘণ্টা' সমাপ্ত করেন। এটি শুকতারা পত্রিকায় ধারাবাহিকভাবে প্রকাশিত হয়। এর পরের ফ্রান্সিস কাহিনী 'হীরের পাহাড়'ও শুকতারাতেই প্রকাশিত হয়। এর পরের কাহিনীগুলি প্রকাশে সবথেকে বেশি উৎসাহ দেন 'উজ্জ্বল সাহিত্য মন্দির' প্রকাশনা সংস্থার কর্ণধার কিরীটিকুমার পাল।[1] তিনি ফ্রান্সিসের কাহিনী ছাড়াও আরো কিছু কাহিনী রচনা করেছেন। পরাশর রায় ছদ্মনামে শুকতারায় তার রচিত ত্রয়ী সত্যসন্ধানীর কাহিনী প্রকাশিত হয়।
ফ্রান্সিস কাহিনী[1]
|
|
|
অন্যান্য কাহিনী
- সোনার শেকল
- সর্পদেবীর গুহা
- মেরীর স্বর্ণমূর্তি
- হাতিপাহাড়ের গুপ্তধন
- অ্যাডভেঞ্চার সমগ্র
- কিশোর গল্পসম্ভার
- একটি ঘরের রহস্য
- পোড়া বাড়ির রহস্য
- ত্রয়ীর অভিযান
তথ্যসূত্র
- ফ্রান্সিস সমগ্র - অনিল ভৌমিক - উজ্জ্বল সাহিত্য মন্দির কলিকাতা