অনলাইন সংবাদপত্র

অনলাইন সংবাদপত্র হলো একটি সংবাদপত্রের অনলাইন সংস্করণ যা একক ভাবে শুধুমাত্র অনলাইনে প্রকাশিত অথবা কোন মুদ্রিত সংবাদপত্রের অনলাইন সংস্করণ হিসেবেও প্রকাশিত হতে পারে।

সংবাদপত্রের অনলাইন সংস্করণে ব্রেকিং নিউজ প্রচারের সুবিধা সম্প্রচার সাংবাদিকতার সাথে সংবাদপত্রের প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক অবস্থান নিশ্চিত করে। সংবাদপত্র শিল্পে একটি সংবাদপত্র টিকে থাকার শর্ত হিসেবে এর বিশ্বাসযোগ্যতা, শক্তিশালী ব্র্যান্ড স্বীকৃতি এবং বিজ্ঞাপনদাতাদের সাথে প্রতিষ্ঠিত ঘনিষ্ঠ সম্পর্ককে নির্দেশ করা হয়।[1] এছাড়াও মুদ্রণ প্রক্রিয়ার তুলনায় অনলাইন প্রকাশনা সাশ্রয়ী বলে এই আন্দোলন আরো বেগবান হয়েছে।

অনলাইন সংবাদপত্রে মুদ্রিত সংবাদপত্রের মতোই আইনি সীমা নির্ধারিত রয়েছে; যুক্তরাজ্যর ধারায় অন্যান্য দেশেও আইন অনুযায়ী অপলেখ, ব্যক্তিগত গোপনীয়তা এবং কপিরাইটের মতো বিষয়সমূহ অনলাইন সংবাদপত্রের জন্য সমানভাবে প্রযোজ্য।[2] তবে ডাটা সংরক্ষণ আইন এবং এর পাশাপাশি পিসিসি'র নির্দিষ্ট আইন অনলাইন সংবাদপত্র এবং সবাদপত্রের জন্য প্রয়োগ হয়,[3] কিন্তু অধিকাংশ যুক্তরাজ্যবাসীর নিকট এই দুই ধরনের আইন ও নীতিমালার মধ্যকার পার্থক্য ব্লগ বা ফোরাম সাইটের এবং অনলাইন সংবাদপত্রের প্রেক্ষাপটে পরিষ্কার নয়। ২০০৭ সালে যুক্তরাজ্যভিত্তিক অনলাইন সংবাদপত্র, সংবাদ অডিও, সংবাদ ভিডিও ইত্যাদি উপস্থাপনকারী সকল ওয়েবসাইটের জন্য একটি আইন পাশ করা, হয় যাতে এই ধরনের অনলাইন প্রচারমাধ্যম কি বা কি নয় তার সম্পর্কে বিস্তারিত বর্ণনা করা হয়েছে।[4]

ইতিহাস

১৯৭৪ সালে ব্রুস পারেলউ ইলিয়ন বিশ্ববিদ্যালয়ে প্লাটো প্রক্রিয়ায় একটি অনলাইন সংবাদপত্রের চালু করেন "অনলাইন অনলি" ধারায় "নিউজ রিপোর্ট"-ই প্রথম অনলাইন সংবাদপত্র বা সাময়িকীর উদাহরণ হিসেবে বিবেচিত হয়। ১৯৮৭ সালের শুরু হওয়া সরকারি মালিকানাধীন ব্রাজিলীয় সংবাদপত্র জর্নালদোদিঅ্যা ৯০এর দশকের দিকে অনলাইন সংস্করনের সূচনা করে। তবে ১৯৯০ সালের শেষার্ধে যুক্তরাস্ট্রে ১০০শ' অধিক সংবাদপত্র অনলাইনে প্রকাশনা শুরু করে যদিও সেসময় পারস্পরিক মিথস্ক্রিয়ার সুযোগ সেভাবে শুরু হয়নি।[5]

দৃষ্টান্ত

বিনামূল্যে পাঠকদের জন্য উন্মুক্ত এমন কয়েকটি ওয়েবসাইট ২০০৬ সালে দাবি করে যে, তারা অর্থ উপার্জনে সমর্থ হয়েছে। ক্রমশ লোকসানের সম্মুখীন দৈনিক সংবাদ পত্রের নির্বাহীগণ নিজেদের লগ্নি তুলে আনার জন্য ভিন্ন কোন উপায় হিসেবে সাবস্ক্রিপ্সশন চার্জ ব্যতিরেকে ওয়েবসাইট থেকে আয় করার বিষয়টি গুরুত্ব লাভ করে। তবে ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল এবং দ্য ক্রোনিকল অফ হায়ার এডুকেশন-এর মতো বিশেষায়িত সাময়িকীগুলো মুলত সাবস্ক্রিপশন নির্ভর ছিল তাদের জন্য বিষয়টি ছিল ভিন্ন। কিন্তু বর্তমানে প্রায় সবক'টি পত্রিকা যেমনঃ "দ্য লসঅ্যাঞ্জেলস টাইমস", দ্য ওয়াশিংটন পোস্ট, "ইউএস টুডের অনলাইন সংস্করণ রয়েছে। দ্য গার্ডিয়ান ২০০৫ সালে রিকি জারভাইসের বারো পর্বের সাপ্তাহিক পডোকাস্ট প্রচারের মাধ্যমে পরীক্ষামুলকভাবে তাদের অনলাইন সংস্করণ চালু করে।[6] এছাড়া দ্য ডেইলি টেলিগ্রাফ একই সময়ে নিজেদের অনলাইন সংস্করণ চালু করেছিল।

আরো দেখুন

তথ্যসূত্র

  1. "Newspapers Recreate Their Medium" eJournal USA, March 2006 LINK ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ১৪ মার্চ ২০০৭ তারিখে
  2. UK Copyright Law info. website
  3. Data Protection Act 1998
  4. See Journalism Mag. and also the PCC website ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ৮ জুন ২০১৩ তারিখে AOP (UK Association of Online Publishers)
  5. Schultz, Tanjev (১৯৯৯)। "Interactive Options in Online Journalism: A Content Analysis of 100 U.S. Newspapers"Journal of Computer-Mediated Communication5 (1): 1। ডিওআই:10.1111/j.1083-6101.1999.tb00331.x। ৩১ জুলাই ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৫
  6. Jason Deans, 2005-12-08. "Gervais to host Radio 2 Christmas show." The Guardian.

আরো পড়ুন

  • Herre van Oostendorp and Christof van Nimwegen (সেপ্টেম্বর ১৯৯৮)। "Locating Information in an Online Newspaper" (পিডিএফ)Journal of Computer-Mediated Communication4 (1)। ২৩ এপ্রিল ২০১২ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৫
  • McAdams, Melinda (জুলাই ১৯৯৫)। "Inventing an Online Newspaper" (– Scholar search)Interpersonal Computing and Technology3 (3): 64–90।
  • Hsiang Iris Chyi and George Sylvie (১৯৯৮)। "Competing With Whom? Where? And How? A Structural Analysis of the Electronic Newspaper Market"। Journal of Media Economics11 (2): 1–18। ডিওআই:10.1207/s15327736me1102_1
  • CARINA IHLSTRÖM, MARIA ÅKESSON, an STIG NORDQVIST (২০০৪-০৭-০৭)। "FROM PRINT TO WEB TO E-PAPER — THE CHALLENGE OF DESIGNING THE E-NEWSPAPER" (পিডিএফ)। ২০২১-০২-২৫ তারিখে মূল (PDF) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৫-০২-১১
  • Hanluain, D. O. (২০০৪-০২-১৩)। "Free content becoming thing of the past for UK's online newspaper sites"Online Journalism Review
  • Hsiang Iris Chyi and Dominic L. Lasorsa (২০০২)। "An Explorative Study on the Market Relation Between Online and Print Newspapers"। Journal of Media Economics15 (2): 91–106। ডিওআই:10.1207/S15327736ME1502_2

বহিঃসংযোগ

This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.