অধিজগৎ (জীববিদ্যা)
জীববৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিভাজনএ অধিজগৎ বলতে, আমেরিকান অণুজীববিদ ও জৈবপদার্থবিদ কার্ল বেইসের ত্রি-সাম্রাজ্য পদ্ধতির সর্বোচ্চ বর্গীয় স্থানকে বোঝায়। ১৯৯০ খ্রিষ্টাব্দে তার প্রকাশ করা তিনটি অধিজগতের জীবনবৃক্ষ অনুসারে, তিনটি অধিজগৎ হ'ল - আর্কিয়া, ব্যাক্টেরিয়া ও ইউকারিয়া (সংকোষকেন্দ্রীয়)।[1] একে প্রথম দুটি অধিজগতের সকল সদস্য প্রকোষকেন্দ্রীয় অণুজীব বা কোষকেন্দ্রহীন এককোষী অণুজীব। সুনির্দিষ্ট কোষকেন্দ্র থাকা ও প্রায় সকল বহুকোষী জীব সংকোষকেন্দ্রীয় অধিজগতের অন্তর্ভুক্ত। অধিজগৎসমূহকে কয়েকটি জগতে ভাগ করা হয়েছে।
বিকল্প শ্রেণীবিভাজন সমূহ
জীবজগতের এসব প্রস্তাবিত বিকল্প শ্রেণীবিভাজন সমূহঃ
- দ্বি-সাম্রাজ্য পদ্ধতি বা অতিঅধিরাজ্য পদ্ধতিঃ প্রকোষকেন্দ্রীয় (মোনেরা) ও সংকোষকেন্দ্রীয় নামে দুটি ভাগে বিভক্ত করা হয়।[2]
- ইউকাইট হাইপোথিসিসঃ ব্যাকটেরিয়া ও আর্কিয়া (আর্কিয়া ও ইউকারিয়াকে ধরে) নামে দুটি অধিজগতে ভাগ করা হয়েছিল। এই প্রস্তাবটি জেমস অ্যা লেক ও সঙ্গীরা, ১৯৮৪ সালে প্রকাশ করেন।[3][4][5]
ভাইরাস বহিষ্করণ
উপরের কোনো একটি পদ্ধতিতেও কোষবিহীন জীবসমূহ অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি৷ ২০১১ সালে ভাইরাস দের নিয়ে একটি চতুর্থ অধিরাজ্যের সম্ভাবনার কথা আলোচনা করা হয়।
তথ্যসূত্র
- Woese C, Knor O, Wheelis M (১৯৯০)। "Towards a natural system of organisms: proposal for the domains Archaea, Bacteria, and Eucarya."। Proc Natl Acad Sci USA। 87 (12): 4576–9। ডিওআই:10.1073/pnas.87.12.4576। পিএমআইডি 2112744। পিএমসি 54159 । বিবকোড:1990PNAS...87.4576W। ২৭ জুন ২০০৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১০।
- Mayr, Ernst (১৯৯৮)। "Two empires or three?"। Proc Natl Acad Sci USA। 95 (17): 9720–9723। ডিওআই:10.1073/pnas.95.17.9720। পিএমআইডি 9707542। পিএমসি 33883 । ১৩ জুন ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৫ সেপ্টেম্বর ২০১১।
- Archibald, John M. (২০০৮-১২-২৩)। "The eocyte hypothesis and the origin of eukaryotic cells"। Proceedings of the National Academy of Sciences (ইংরেজি ভাষায়)। 105 (51): 20049–20050। আইএসএসএন 0027-8424। ডিওআই:10.1073/pnas.0811118106। পিএমআইডি 19091952। পিএমসি 2629348 । ২০২১-১০-১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-১০-১৮।
- Lake, J. A.; Henderson, E.; Oakes, M.; Clark, M. W. (১৯৮৪-০৬-০১)। "Eocytes: a new ribosome structure indicates a kingdom with a close relationship to eukaryotes"। Proceedings of the National Academy of Sciences (ইংরেজি ভাষায়)। 81 (12): 3786–3790। আইএসএসএন 0027-8424। ডিওআই:10.1073/pnas.81.12.3786। পিএমআইডি 6587394। পিএমসি 345305 । ২০২১-১০-১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-১০-১৮।
- Williams, Tom A.; Foster, Peter G.; Cox, Cymon J.; Embley, T. Martin (২০১৩)। "An archaeal origin of eukaryotes supports only two primary domains of life"। Nature (ইংরেজি ভাষায়)। 504 (7479): 231–236। আইএসএসএন 1476-4687। ডিওআই:10.1038/nature12779।
This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.